মোঃ মুনসুর রহমান:
ব্রিটিশ আমলে উচ্চ শিক্ষার জন্য সাতক্ষীরায় কোন কলেজ ছিলনা। উচ্চ শিক্ষার জন্য সাতক্ষীরা এলাকার শিক্ষার্থীরা খুলনা, বাগেরহাট এবং পার্শ্ববর্তী কলকাতায় যেতো। তৎকালীন সাতক্ষীরা মহকুমা প্রশাসক পি.সি মজুমদার (১৯৩৬-১৯৪০) এর সময়ে সাতক্ষীরা পৌরসভার চেয়ারম্যান লীলাপদ মজুমদার, আব্দুল বারী খান, নিরোধ চ্যাটার্জী, আব্দুর রউফ খান, আব্দুল হাফিজ খান, মীর আহম্মদ আলী সহ শহরের কতিপয় বিদ্দ্যোৎসাহী ব্যক্তি একটি কলেজ স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেন এবং ১৯৪৬ সালের ফেব্রুয়ারির ১ম সপ্তাহে সুলতান আহমেদ মহকুমা প্রশাসকের দায়িত্ব নিয়ে সাতক্ষীরা পরিদর্শনে আসেন এবং তাকে কলেজ সম্পর্কে অভিহিত করা হলে তিনি কলেজ স্থাপনের উপর গুরুত্ব দেন। তিনি পূর্বের কমিটিতে এম.এ গফুর, আব্দুল বারী খান এবং অরবিন্দু নাথ মহোদয়বৃন্দকে সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করেন। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও কলেজ প্রতিষ্ঠা কমিটির অন্যতম সদস্য হরিচন্দ্র ঘোষের বিশেষ উদ্দ্যোগে ও অক্লান্ত প্রচেষ্টায় ১৯৪৬-৪৭ শিক্ষাবর্ষে কেবল উচ্চ মাধ্যমিক মানবিক ও বাণিজ্য বিভাগ খোলার অনুমোদন লাভ করে সাতক্ষীরা কলেজ। পরবর্তীতে ১৯৮০ সালের পহেলা মার্চ সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ নামে রুপান্তর ঘটে।
এই কলেজের রয়েছে সুদীর্ঘ ইতিহাস। দীর্ঘ ৭৫ বছর পরবর্তী আনু. ৬ লক্ষ ৫৫ হাজার শিক্ষার্থী অধ্যয়ন করেছে এই কলেজে। এরমধ্যে আনু. ২০ হাজার শিক্ষার্থী বর্তমানে অধ্যয়নরত। এদের সবাই বহন করছে কলেজ এবং নিজেদের উদাহরণ। ঘটা করে বলার অপেক্ষা রাখে না এরা ছাত্র হিসেবে যেমন উদাহরণ; তেমনি উদাহরণ দেশের নানান কাজে। কলেজের ছাত্রদের দেশের স্বাধীনতায় অবদান সবার জানা; শুধু যুদ্ধ করে নয়, দেশের অভ্যন্তরে স্বাধীনতার জন্য প্রচার করে অনেকেই দেশের খ্যাত ব্যক্তি হয়েছেন। মহান মুক্তিযুদ্ধের কথা লিখে মস্ত দলিল গড়েছেন।
অনেকেই দেশে অতিসুপরিচিত, শিক্ষক হিসেবে ছাত্রদের প্রিয়, লেখক ও সাংবাদিকতায় নজির, খেলার মাঠে তুখোড়, সংগঠনে অতুলনীয় মেধার পরিচায়ক। দেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গনের মঞ্চনাটকে, বেতারে, টেলিভিশনে, নানা ঘরানার সংগীতের জগতে কলেজের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের নাম একবাক্যে সবাই মনে করতে পারেন। কলেজ শিক্ষার্থীদের রাজনীতি শেখায় না; কিন্তু ছাত্ররাজনীতি, সাম্প্রতিক সময়ের রাজনীতি, দেশরক্ষা, প্রশাসন, মন্ত্রিত্ব নানা ক্ষেত্রেই এদের পরিচয় মিলে। এমনকি নিজে নিজে বা স্বউদ্যোগে কাজ করেও ধন্য অনেকে। ডাক্তার হয়ে কিংবা অন্যভাবে মানবিক সেবায়ও নিয়োজিতদের সংখ্যা কম নেই।
কলেজের প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা নানান দুর্যোগে সাহায্যে সদা প্রস্তুত থাকে। তাদের নানান দিকের সুখ্যাতি দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিদেশেও। এই কলেজটি ২০২২ সালে পঁচাত্তর বছরে পা রেখেছিল; তখন থেকে পরিচয় হতে থাকে ৭৫-বর্ষী এক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসেবে। বিগত ৩ বছর প্রাক্তনদের বারংবার বসাবসি প্রেক্ষিতে একটি ধারণা সেটি সম্ভাব্য ৩ এপ্রিল ২০২৫ তারিখে প্লাটিনাম জুবলি পালন অনুষ্ঠান। এটি ইতিহাসের সাথে মিশে যাবে। অংশগ্রহণকারীরা স্বাক্ষী হবে। সেখানে অংশগ্রহণ করার কার না প্রত্যাশা থাকে।
বাঙালি মুসলমান সমাজে নারী স্বাধীনতার পক্ষে প্রথম প্রতিবাদী কণ্ঠস্বর বেগম রোকেয়া বিশ শতকের প্রথম দিকে বাঙালি মুসলমানদের নবজাগরণের সূচনায় প্রধান নেতৃত্বে ছিলেন। বাঙালি মুসলিম সমাজে পুরুষের পাশাপাশি নারীর সমান অধিকার এবং নারী স্বাধীনতার পক্ষে নিজের মতবাদ প্রচার করেন। কিন্তু বিশেষ করে সাতক্ষীরায় আজ পিছিয়ে সেই নারীরা। এই জেলার ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠান সাতক্ষীরা কলেজের শুরু থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত প্রায় দুই লক্ষাধিক নারী শিক্ষা জীবন সমাপ্ত করে নিজেদের আলোকিত করেছেন। তাদের মধ্যে অনেকে চাকরি করছেন। অনেকে মারাও গেছেন। তবে অধিকাংশই গৃহিনী হয়ে ঘরের কাজের মধ্যে থেকেছেন। শিক্ষার আলো ওই নারীরা জ¦ালাতে পারছেন না।
কলেজের প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের রাজনীতির সাথে যুক্ত হয়েছেন। মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য রাজপথে আন্দোলন করেছেন। এদের মধ্যে বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত আনু. ২০ হাজার, জামায়াতের হাজার হাজার, আওয়ামী লীগের আনু. ৩৬ হাজার, জাতীয় পার্টির আনু. ৩ হাজার, জাসদের আনু. ২ হাজার, ওয়ার্কার্স পার্টির আনু. ১০০০, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির শতাধিক, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদের আনু. ১০০০, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডির আনু. ২০০০, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি আনু. ২০০, বাংলাদেশ জাসদের আনু. ১’শ, গণফোরাম আনু. ৩’শ, নাগরিক ঐক্য আনু. ৪৮সহ প্রায় লক্ষাধিক।
অনেক গৌরব গাঁথায় সমৃদ্ধ এই জনপদ কালের বিবর্তনে হারিয়েছে তার জৌলুস। মুছে গেছে অনেক কীর্তি। তবে জনমানুষের সামনে তুলে ধরতে ভুল করেনি জেলার ৮৪ টি সাংবাদিক সংগঠনের সাংবাদিকরা। এইসব সংগঠনের মধ্যে রয়েছে সাতক্ষীরা কলেজের প্রাক্তন আনু. ২ শতাধিক সাংবাদিক। কবি-সাহিত্যিক রয়েছে আনু. ৫’শতাধিক। ক্রীড়ামোদি আনু. ২’শতাধিক। প্রবাস ফেরত ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী হাজার হাজার। তাদের অধিকাংশই আর্থিকভাবে দুরাবস্থার মধ্যে রয়েছে। প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা সেই কালো দিনে যেতে চাই না। যে আন্দোলনে বৈষম্যের কথা বলা হয়েছে। বৈষম্য বিলোপের কথা বলা হয়েছে। সাতক্ষীরা সরকারি কলেজে প্লাটিনাম জয়ন্তী উদযাপনে নিবন্ধন ফি জমা দেওয়ার যে একটা ব্যাপার সেটা তাদের পক্ষে সম্ভব নহে।
বেগম রোকেয়ার সেই অবরোধ বাসিনীর কথা মাথায় রেখে অধিকাংশ প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা মনে করেন- কোনো অবরোধের দায় এভাবে তাদের মাথার উপর রেখে সমাজের পরতে পরতে চাপিয়ে দিলে মেনে নেবে না। একটি বড় কাজ হচ্ছে। এটি সম্মিলিতভাবে করা দরকার। কালকে যে এটা শেষ করতে হবে এমন নহে। বিনাশ্রমে কাজ করার অনেক উদ্যোগী ব্যক্তি আছেন তাদের চিহ্নিত করতে হবে। এমন কোনো খরচ নেই যে ২০০০ টাকা ফি প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও ১০০০ টাকা ফি বর্তমান শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে নিতে হবে। এই টাকা দিয়ে কেন শিক্ষার্থীরা নিবন্ধন করতে না পেরে ঘরের কোণে মুখ লুকিয়ে বসে থাকবেন। অনেক বন্ধুরা আছেন তাদের এই টাকা দিয়ে নিবন্ধন করার সক্ষমতা নেই। আমাদের বান্ধবীরা অনেকে দিদিমা হয়েছেন। অনেকে মারা গেছেন। বাকিরা ঘর সংসার করছেন। যারা আছে তাদের অনেককে নাতি-নাতনির হাত ধরে এই অনুষ্ঠানে আসতে হবে। কেন তারা বঞ্চিত হবেন? এমন ভাবনায় কলেজের প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও দৈনিক কাফেলা পত্রিকার চীফ রিপোর্টার এম ঈদুজ্জামান ইদ্রিস প্লাটিনাম জুবলি অনুষ্ঠানে ঝরে পড়া শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণের পরিবেশ নিশ্চিত করার পাশাপাশি জনপ্রতি প্রাক্তন শিক্ষার্থী যারা তাদের জন্য বেকার ২’শ টাকা, কৃষক, বাস-ট্রাকের ড্রাইভার ও হেলপার, ভ্যান-ইজিবাইক চালক, ভাড়া মোটর সাইকেল চালক, অফিস সহকারী, পিয়ন ৩’শ টাকা, সাংবাদিক ৪’শ টাকা, ফটোসাংবাদিক ২’শ টাকা, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ৫’শ টাকা, স্বল্প আয়ের চাকুরীজীবী ৭’শ টাকা, প্রথম শ্রেণির চাকুরীজীবী ১ হাজার টাকা, প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী ১৫’শ টাকা নিবন্ধন ফি করতে পরামর্শ প্রদান করেছেন। তাছাড়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বিভিন্ন ব্যক্তির আইডিতে বিভিন্ন পোষ্টে প্রাক্তন শিক্ষার্থী একেকজন একেক মন্তব্য করছেন। এরমধ্যে SouRav Das লিখেছেন- ‘সাধ আছে কিন্তু সাধ্য নাই, রেজিস্ট্রেশন ফি দুই হাজার টাকা একটু বেশি হয়ে গেল।’ দীপজ্যোতি ঘোষ লিখেছেন-‘অনুষ্ঠানের সফলতা কামনা করছি সেই সাথে অনুষ্ঠানের আহ্বায়ক কমিটি কে রেজিস্ট্রেশন ফি পুনঃ বিবেচনার অনুরোধ জানাচ্ছি। প্রোগ্রাম টা আমাদের সবার জন্য এমন প্রোগ্রাম কেউ মিস করতে চাইবে না কিন্তু ছাত্রত্ব অবস্থায় ১০০০ টাকা রেজিস্ট্রেশন বেশি হয়ে যায়।’ Ehsan Jubayer লিখেছেন-‘এতো এতো এলামনাই থাকতে টাকা দিয়ে রেজিষ্ট্রেশন করতে হবে কেন? আয়োজকদের এই ফালতু সিদ্ধান্তের নিন্দা জানাচ্ছি। আয়োজকেরা স্পন্সর দিয়ে প্রোগ্রাম তুলে দিতে পারে। তা না করে ছাত্রদের ঘাড়ে চাপাচ্ছে। খুবই জঘন্য সিদ্ধান্ত।’ MD Mizanur Rahman লিখেছেন-‘প্রাক্তনন দের মধ্যে অনেকেই এখনো স্টুডেন্ট তাদের জন্য ২০০০ টাকা অনেক বেশি হয়ে যায়।’ Md Abdul Matin লিখেছেন-‘ছাত্র-ছাত্রীদের কাছ থেকে এত টাকা ফি নিয়ে যদি করতে হয় তাহলে সেটা ৭৫ বছর পূর্তি অনুষ্ঠান হবে কেন? সেটা হবে পুনমিলন অনুষ্ঠান! ৭৫ বছর পূর্তি অনুষ্ঠান হলে কলেজ কর্তৃপক্ষ পর্যাপ্ত পরিমাণ খরচ বহন করবে! এবং নামমাত্র কিছু টাকা ছাত্র-ছাত্রীর কাছ থেকে নেওয়া হবে! সেটা হোক রানিং ছাত্র অথবা সাবেক ছাত্র সংগীতশিল্পের অতিরিক্ত খরচ করার কোন প্রশ্নই আসে না! আর সঙ্গীত শিল্পী বা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করলেও সেটা খরচ পরিমাণ কমাতে হবে সবকিছু সমাধান হয়ে যাবে রেজিস্ট্রেশন ফিও কম ধরা সম্ভব হবে তখন অনুষ্ঠানটাও সুন্দরভাবে হবে! যেহেতু অনলাইন রেজিস্ট্রেশন হবে সুতরাং টাকার পরিমান বেশি থাকলে বেশিরভাগই স্টুডেন্ট রেজিস্ট্রেশন করবে না! সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানটি দেখার অপেক্ষা করবে সুতরাং কর্তৃপক্ষর গভীরভাবে বিবেচনা করা দরকার যে আমি কত খরচ করলাম কত বড় অনুষ্ঠান করলাম এটা বিষয় নাই বিষয় হলো অবশ্যই সবার অংশগ্রহণের সুযোগ রেজিস্ট্রেশন ফি বাবদ পূর্বের ধার্যকৃত বিষয় কমানো এবং সবাই অংশগ্রহণ করুক ৭৫ বছর পূর্তি মিলন মেলাতে প্লাটিনাম অনুষ্ঠানটি সার্থক হোক এটা সবাই চায়! Tahshin Al Noman লিখেছেন-‘রেজিস্ট্রেশন ফি নিয়ে আরেকবার বিবেচনা করা উচিত। কয়েকটা সেগমেন্টে রেজিস্ট্রেশন ফি রাখা যেতে পারে। ১. যারা কর্মজীবী প্রাক্তন শিক্ষার্থী আছেন তাদের জন্য রেজিস্ট্রেশন ফি ভিন্ন হওয়া। ২. যারা বেকার ও বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের জন্য ভিন্ন হওয়া। ৩. যারা রানিং স্টুডেন্ট তাদের জন্য ভিন্ন হওয়া। আশা করি পরামর্শগুলো বিবেচনায় রাখবেন। Adnan Sakib Khan লিখেছেন-‘যারা প্রাক্তন কিন্তু বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, তাদের জন্য টাকার অংক টা বেশি হয়ে যাচ্ছে বলে মনে করছি। যদি একটু পুনঃ বিবেচনা করে দেখতেন।’ Md Sakib Khan Chowdhury লিখেছেন-‘সফল ভাবে সকল কার্য যেন সমাপ্ত হয় সকলের অংশগ্রহণ হোক এই আশাবাদ ব্রার্ত করছি।’ Abrar Foysal লিখেছেন-‘২৪ ব্যাচের পক্ষে ২০০০ টাকা অতিরিক্ত হয়ে যাই না ভাইয়া?’ জাহিদ হোসাইন নামের আরেক প্রাক্তন শিক্ষার্থী লিখেছেন- ‘সাবেক অনেকেই দিন মজুর, ভ্যান চালক, দিন আনে দিন খায়। তাদের পক্ষে ২০০০ দিয়ে রেজিষ্ট্রেশন কখনই সম্ভব না। ফি কমানোর জোর দাবী জানাচ্ছি।’ Alamgir Hossain Titu লিখেছেন-‘চাকরি ও ব্যবসায়ী ৫০০০+ এবং চলতি শুধু রেজিস্ট্রেশন ফি ১০০ হওয়া উচিত।’ Siddiqui Sabuj লিখেছেন-‘৩০০ আর ৫০০।’ Md Idris Ali অংশগ্রহণ ফি চারটি ক্যাটাগরিতে হলে ভালো হয়। ১. চলমান শিক্ষার্থীদের জনপ্রতি ২০০ টাকা, ২. স্বল্প আয়ের শ্রম কর্ম পেশা জীব জীবীদের জনপ্রতি ৪০০ টাকা, ৩. চলমান চাকরিজীবীদের জনপ্রতি ১০০০ টাকা, ৪. উচ্চ পর্যায়ের চাকরি জীবিদের জনপ্রতি ১৫০০ টাকা। এছাড়া ধর্নাঢ্য ব্যবসায়ীদের ২০০০ টাকা করে চাঁদা নির্ধারণ করা ভালো। খন্দকার আবীর হাসান লিখেছেন-‘যাদের অতি উৎসাহ আছে তারাই করুক আমি এত টাকা দিয়ে নেই এর ভেতরে ৫০০ হলে হতো বাকিটা কলেজ বহন করলে ভালো হতো।’ Zonaid Hossain Byron লিখেছেন- ‘প্রথম মিটিংয়েই কমিটি গঠন চাঁদা নির্ধারণ কতোটা যৌত্তিক বলে মনে করেন।’ উত্তরে Sahin Mostaq লিখেছেন-‘ Zonaid Hossain Byron ভাই, এটা ভিআইপি ছাত্র-ছাত্রীদের অনুষ্ঠান হবে। এই অনুষ্ঠান তাদের জন্যে হবে, যাদের কলেজের লেখাপড়ার মান নিয়ে বিন্দুমাত্র উদ্বেগ নেই কিন্তু ৭৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে যারা নিজেদের উদরপূর্তি করবে এবং নিজেদের শো অফ করে বেড়াবে।’ Sk Harun লিখেছেন-‘মানুষের অংশগ্রহণ আরো বেশী হবে, যদি ১০০০/ ও ৫০০/ টাকা করা হয়, আর ব্যক্তিগত ভাবে অনেকেই ডোনেশন দিবে।’ Abdur Rahim লিখেছেন-‘সার্বিক বিবেচনায় একটু বেশি হয়েছে। হয়তো অনুষ্ঠানটা তারা অনেক জাকজমকপূর্ণভাবে করবে দ্রব্যমূল্যের দামও অনেক বেশি। তারপরে ও সবার দিক বিবেচনা করে একটু বেশি হয়েছে। হয়তো অনেকের ইচ্ছা থাকলেও অংশগ্রহণ করতে পারবে না।’ Mehedi Hasan লিখেছেন-‘পুরাটাই হাস্যকর,,,৫০% অংশগ্রহণ করার সম্ভবনা নাই।’ Baduen Mostafa লিখেছেন-‘আমরা যারা এখন আয়ক্ষম অবস্থায় আছি এবং ছেলেদের সংসারে অবস্থান করছি এটা আমাদের জন্য অকল্পনীয়। অর্ধেক হলে কিছুটা সম্ভব।’ মোঃ দাউদ হায়দার লিখেছেন-‘লাইব্রেরীতে ছাত্র-ছাত্রীদের জমা টাকাগুলো দিয়ে সম্ভব ছিল, এ পর্যন্ত কত হাজার ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি হতে লাইব্রেরীতে জামানত হিসেবে কত টাকা রেখেছে। অধিকাংশ ছাত্র-ছাত্রী এই লাইব্র্রেরীর টাকা উঠায় না। ২০০ ও ১০০ টাকা করা যায়, ঐ লাইব্রেরীর টাকা থেকে খরচ করতে পারে।’ Ambik Mondal লিখেছেন-‘সম্পূর্ণ অযৌক্তিক। ১০০০ এবং ৫০০ হলে ভালো হয়। Rahin Kabir Aronno লিখেছেন-‘ চলতি ছাত্রদের টাকা দিতে হবে কেন? কি কি আয়োজন হবে, তাতে কত টাকা বাজেট রাখা হয়েছে? কলেজ ফান্ডের টাকা কই গেলো? এল্যামনাইরা, কত ডোনেশন দিচ্ছে? sponsor মারফত কত টাকা আসছে? সব প্রকাশ করুক।’ Nityananda Sarkar লিখেছেন-‘রেজিস্ট্রেশন সম্পূর্ণ অর্থমূল্য ছাড়াই সম্পন্ন করা উচিৎ! আয়জকদের সিদ্ধান্ত রিভিউ করার অনুরোধ রইলো।’ Ayub Ali লিখেছেন-‘১০০০ টাকা করাই উত্তম ছিল। ২০০০ টাকায় অনেক উপস্থিতি কম হবে বলে আমার ধারণা।’ সংগী হীন জীবন সাতক্ষীরা লিখেছেন-‘রিইউনিয়ন ব্যবসা লাভজনক ব্যবসা এ ব্যবসায়ে উনারা পারদর্শী। রিইউনিয়ন নয় ব্যবসা মূল উদ্দেশ্য।’ Sheikh Rafid Rahman লিখেছেন-‘ঐতিহ্যবাহী সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের ৭৫ পুর্তি প্লাটিনাম জুবিলী অনুষ্ঠানের রেজিষ্ট্রেশনের ফি বর্তমান শিক্ষার্থীদের জন্য ১হাজার আর প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের জন্য ২হাজার টাকা নির্ধারণ করা বৈষম্য হয়ে যায় এবং রেজিষ্ট্রেশনের ফি ও বেশি হয়ে যায়। এর কারণে হাজার হাজার বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করতে পারবে না। তাই কতৃপক্ষকে জানাচ্ছি এই বৈষম্য দূর করা আর রেজিষ্ট্রেশনের ফি কমানোর দাবি জানাচ্ছি, যেন সকল বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করতে পারে। আহবানে মোঃ নুরুজ্জামান (প্লাবন), সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের বর্তমান শিক্ষার্থী। শেখ খালেদ বিন জাহেদ লিখেছেন-‘ফি কমানো উচিত। একটা শিক্ষার্থী যে এখন সবে মাত্র কলেজ ছাড়ল তার পক্ষে এত টাকা দেওয়া সম্ভব না। তবে ব্যতিক্রম থাকবে, তারা দিতে পারবে হয়ত। অনেক শিক্ষার্থী আছে যারা এখনো বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছে বা কেবল শেষ করছে, বেকার আপাতত, তাদের পক্ষে দেওয়া সম্ভব না। যারা গুরুত্বপূর্ণ সিধান্ত নিবেন, তাদের উচিত ওই শিক্ষার্থীদের অবস্থানে নিজেদের নিয়ে গিয়ে চিন্তা করা। যেহেতু কলেজের বড় একটি অনুষ্ঠানে সেহেতু সবাই অংশগ্রহণ করতে চাইবে, সেক্ষেত্রে HSC ২০১৪ ব্যাচ থেকে ২০২৪ ব্যাচ পর্যন্ত ১০০০ এবং রানিং রাও ১০০০ এর উপরে ২০১৩ থেকে ১৫০০/-.. যেহেতু জেলার সর্বোচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সেহেতু অনেক বড়বড় ব্যক্তিবর্গ রয়েছেন। সুতরাং আমরা আশা করি আ্যালাইনাম থেকে সর্বোচ্চ সহযোগীতা পাওয়া যাবে। এগুলো তুলে ধরবেন আশা করি। Subhro Biswas লিখেছেন-‘রেজিষ্ট্রেশন ফি বেশী।’ Sadik Hasan Anik লিখেছেন-‘ভাইয়া যে যা বলে বলুক আমার মনে হয় ঠিকই আছে,কারন এটা তো প্রতিবছর হয় না একবার যদি ১৫০০/২০০০ টাকা খরচ করতে না পারে তাহলে আমি মনে করবো কলেজের প্রতি তার কোনো টান নাই। যারা ছাত্র আর যারা এখনো পড়ছে আমার মনে হয় তারা পারবে। সত্যি কথা বলতে আমার মনে হয় এখানে টাকা কোনো ব্যাপার হবে না যদি তার মনে হয় পুরনো বন্ধু দের সাথে দেখা প্রিয়ো কলেজ অঙ্গনে আবার ঢোকা বন্ধু আড্ডা ইস্ খুব মিস করি আজ প্রায় ৮বছর হলো অনেক বন্ধু সাথে দেখা হয় না আবার আল্লাহ চাইলে তাদের সাথে মিলতে পারবো এটাই অনেক বড়। মোঃ রাকিবুজ্জামান জয় লিখেছেন-‘এখানে প্রাক্তন বেকারবান্ধব একটা ফি নির্ধারণ করলে ভালো হত।’ Sheikh Rafid Rahman লিখেছেন-‘বর্তমানে আমরা যারা সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ থেকে অনার্স পাশ করে মাস্টার্স এ ভর্তি হবো ২০২৫ সালে তারা কোন ক্যাটাগরিতে গণ্য হবো…???’ মোঃ আব্দুর রহিম লিখেছেন-‘ভালো কিছু আশা করছি। সুন্দর একটা মিলন মেলা হবে ইনশাআল্লাহ।’ Shahjahan Ali লিখেছেন- Sakibur Rahman Babla ভাই অনেক পুরাতন ছাত্র বলছে চাঁদা ভারী লাগছে, ডোনার এবং প্রবাসী ছাত্র খুঁজে বের করা হলে সহজতর হবে।’ Al Emran Emu লিখেছেন-‘সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ প্রাত্তন ছাত্রদের এসোসিয়েশনের সকল আপডেট গ্রুপ এবং পেইজে দেওয়া হবে। যারা কলেজের সরাসরি ছাত্র-ছাত্রী তারা গ্রুপে জয়েন হতে পারেন। শেখ সিদ্দিকুর রহমান লিখেছেন-‘যা হচ্ছে, তাতে কী মন্তব্য করবো, বিশেষ ক,জনের চিন্তা-ভাবনায় সব কিছু হচ্ছে!’
পরিশেষে সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ প্লাটিনাম জুবলী অনুষ্ঠানের যারা উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন তাদের দায়িত্ব কিভাবে নান্দনিক, সৃজনশীল ও উদ্ভাবনমুখী অনুষ্ঠান বাস্তবায়ন করবেন। প্রয়োজনে একটি গেঞ্জি, দুপুরে খাওয়া, সুভেন্যু প্রকাশ ও জেলার শিল্পী-সাহিত্যিকদের নিয়ে অনুষ্ঠান করতে সমাজে প্রতিষ্ঠিত বিত্তবানদের দ্বারে দ্বারে যেয়ে অর্থ সংগ্রহ করবেন। তবে আয়োজক কমিটির বেঁধে দেওয়া নিবন্ধন ফি সহনীয় ও গ্রহণযোগ্য না হলে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার প্রাক্তন ও চলমান শিক্ষার্থীরাদের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের সুযোগ গুড়ে বালিতে নিমিজ্জিত হবে। সেটি বন্ধ হোক, উৎসবের দিনে প্রাক্তনদের সাথে চলমান শিক্ষার্থীরা আনন্দ ভাগাভাগি করতে উদ্যোগী হোক। সেই আহবান …।
পরিশেষে সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ প্লাটিনাম জুবলী অনুষ্ঠানের যারা উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন তাদের দায়িত্ব কিভাবে নান্দনিক, সৃজনশীল ও উদ্ভাবনমুখী অনুষ্ঠান বাস্তবায়ন করবেন। প্রয়োজনে একটি গেঞ্জি, দুপুরে খাওয়া, সুভেন্যু প্রকাশ ও জেলার শিল্পী-সাহিত্যিকদের নিয়ে অনুষ্ঠান করতে সমাজে প্রতিষ্ঠিত বিত্তবানদের দ্বারে দ্বারে যেয়ে অর্থ সংগ্রহ করবেন। তবে আয়োজক কমিটির বেঁধে দেওয়া নিবন্ধন ফি সহনীয় ও গ্রহণযোগ্য না হলে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার প্রাক্তন ও চলমান শিক্ষার্থীরাদের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের সুযোগ গুড়ে বালিতে নিমিজ্জিত হবে। সেটি বন্ধ হোক, উৎসবের দিনে প্রাক্তনদের সাথে চলমান শিক্ষার্থীরা আনন্দ ভাগাভাগি করতে উদ্যোগী হোক। সেই আহবান …।