হোম খুলনাসাতক্ষীরা সাতক্ষীরায় যুবলীগ নেত্রী সীমা পারভীনের কাছে ৫২ হাজার টাকা আদায়ের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

সাতক্ষীরায় যুবলীগ নেত্রী সীমা পারভীনের কাছে ৫২ হাজার টাকা আদায়ের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 35 ভিউজ

নিজস্ব প্রতিনিধি:
সাতক্ষীরায় যুবলীগ নেত্রী সীমা পারভীনের বিরুদ্ধে পানির ট্ট্যাংকি ও প্রতিবন্ধী কার্ড,  বয়স্ক ভাতা ও বিধবা ভাতা দেয়ার নামে গ্রাহকের কাছ থেকে ৫২ হাজার টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। টাকা না দিয়ে উল্টো গ্রাহকদের নামে মিথ্যে সংবাদ প্রকাশ ও সন্ত্রাসী দিয়ে তিন লক্ষ টাকা চাঁদা দাবিসহ প্রাণনাশের হুমকি দেয়া হচ্ছে। মঙ্গলবার (১১ মার্চ) সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে অশাশুনি উপজেলার পাইথালী গ্রামের ওবায়দুল্লাহ গাজীর স্ত্রী সাথী খাতুন।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, কাদাকাটি ইউনিয়নের মহিলা ইউপি সদস্য কাদাকাটি গ্রামের জিয়াদ সরদারের মেয়ে সীমা পারভীন ৩০০০ লিটারে পানির ট্যাংকি, প্রতিবন্ধী কার্ড, বয়স্ক ভাতা ও বিধবা ভাতা দেয়ার নাম করে আমাদের ১০ জন গ্রাহকের কাছ থেকে ৫২ হাজার টাকা গ্রহণ করে। কিন্তু দীর্ঘদিন হয়ে গেলেও উল্লেখিত কোনটিই না দিতে পারায় আমরা টাকা ফেরত চাইলে তিনি তালবাহানা শুরু করেন। টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য বারবার তাগিত দিলে তিনি আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। এক পর্যায়ে গত ২০ জানুয়ারি সকাল ৯টার দিকে নৈকাটি থেকে বাড়ি ফেরার পথে সীমা পারভীন, মাজেদা খাতুন ও কুরমান আমার উপর অতর্কিতে হামলা চালায়। এ ঘটনায় আমি উক্ত তিনজনকে আসামি করে থানায় একটি মামলা দায়ের করি।

সাথী খাতুন আরো বলেন, থানায় মামলা দায়ের করার পর সীমা পারভীন সহ অন্যান্য আসামিরা আমার উপর প্রচন্ডভাবে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। তারা আমাকে বিভিন্নভাবে হুমকি-ধমকি দিতে থাকে। এক পর্যায়ে সীমা পারভিন  জনৈক সোহাগ, মনির ও সাংবাদিক আলমগীরকে দিয়ে আমার কাছে তিন লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। ১১ মার্চ সন্ধ্যার মধ্যে দাবিকৃত তিন লাখ টাকা না দিলে আমাকে প্রাণে মেরে ফেলবে বলে হুমকি দেয় তারা। এঘটনার পর থেকে আমি পরিবারের সদস্যদের নিয়ে দারুন ভাবে আতঙ্কিত হয়ে পয়েছি। যুবলীগ নেত্রী সিমা পারভীন শহরের ল-কলেজের সামনে ও সাতক্ষীরা জজ কোর্টে দেখা গেলেও পুলিশ তাকে গ্রেফতার করছেনা।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, নিজেদের অপরাধ ঢাকতে সীমা পারভিন একজন পানির টাংকির গ্রাহকের স্বামী আরিফুল ও আমার নামে গত ১০ মার্চ প্রকাশিত দৈনিক সাতনদী পত্রিকায় একটি মিথ্যে সংবাদ প্রকাশ করিয়েছে। সেখানে মাজেদা খাতুন ১২ হাজার টাকা পাবে ও তার উপর মিথ্যা হামলার ঘটনা উল্লেখ করা হয়েছে। যা সম্পূর্ণ মিথ্যে ও বানোয়াট। প্রকৃতপক্ষে গ্রাহকের ৫২ হাজার টাকা না দেয়ার জন্য সীমা পারভিন সন্ত্রাসীদের দিয়ে গ্রাহকদের প্রাণনাশের হুমকি প্রদানের পাশাপাশি  বিভিন্ন ধরনের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে।
তিনি যুবলীগ নেত্রী সিমা পারভীনের কাছে গ্রাহকের পাওনা ৫২ হাজার টাকা আদায় ও তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন