নিজস্ব প্রতিনিধি :
সাতক্ষীরায় মামা’র বিরুদ্ধে ভাগ্নেদের জমি দখলের চেষ্টায় বার বার হয়রানি এবং মিথ্যেচারের অভিযোগ উঠেছে। বুধবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এই অবিযোগ করেন সদর উপজেলার পায়রাডাঙ্গা গ্রামের মৃত. জালাল উদ্দিন সরদারের ছেলে মোঃ মশিউর রহমান।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, পায়রাডাঙ্গা মৌজায় হাল ৩৬২ খতিয়ানের ২০৯ দাগে ১১ শতক সম্পত্তির মধ্যে পৌনি দুই শতক সম্পত্তি পৈত্রিক সূত্রে প্রাপ্ত হন মৃত. নুর আলী মোল্লার তিন ছেলে মোক্তার মোল্লা, শওকত মোল্লা ও লিয়াকত মোল্যা। তাদের প্রাপ্য সম্পত্তি তারা দীর্ঘদিন ধরে ভোগ দখলে আছেন। গত ৪ বছর পূর্বে আমাদের সম্পত্তিতে ভবন নির্মাণ কাজ করি। কিন্তু অর্থিক সংকটে কাজ শেষ করতে পারেনি।
সম্প্রতি ওই স্থানে আমরা নির্মাণ কাজ শুরু করলে শিবপুর ইউনিয়ন আ’লীগ সভাপতি শওকত আলীর ইন্ধনে শওকত মোল্লা ও লিয়াকত মোল্যা বাধা দেয় এবং আমাদের সম্পত্তি অবৈধভাবে দখলের চেষ্ট করে। গত ১৯ জুলাই সদর থানায় আমাদের বিরুদ্ধে একটি মামরা করে। পুলিশ মিমাংসার জন্য পর পর দুইবার সময় নির্ধারণ করলেও তারা থানায় হাজির হয়নি। এমনকি তাদের অভিযোগের তদন্তপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এস আই জাকির তাদের ডাকলেও তারা থানায় আসেনি।
মশিউর রহমান আরো বলেন, মোক্তার মোল্লা, শওকত মোল্লা ও লিয়াকত মোল্যার মাতা রাহেলা খাতুন সম্পর্কে আমাদের নানী হন। আমাদের নানা মারা যাওয়ার পর নানী নুর আলীর সাথে বিয়ে করেন। নূর আলীর ঔরশ জাত সন্তান তারা। সে অনুযায়ী তারা আমাদের নানা মৃত. আব্দুল গফুরের সাবেক স্ত্রী হিসেবে দুই আনা অংশ পাবেন।
অন্যদিকে আমাদের নানার ঔরশজাত সন্তান একমাত্র আমাদের মাতা জবেদা খাতুন। উল্লেখিত মোক্তার মোল্লা, শওকত মোল্লা ও লিয়াকত গং আমাদের আপন মামা নন। এতদিন তারা শান্তিপূর্ণভাবে ভোগদখল করলেও শুধুমাত্র ওই ইউনিয়ন আ‘লীগ সভাপতি শওকত আলীর ইন্ধনে আমাদেরকে হয়রানি করে আসছে।
লিয়াকত গং গত ১৬ আগস্ট সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে ৪৬ শতক সম্পত্তির দাবি করে চরমভাবে মিথ্যোচার করেছেন। তারা উল্লেখিত দাগে সম্পত্তি পাবেন পৌনে দুই শতক যা তাদের দখলে রয়েছে। তিনি আরো বলেন, আমি শিবপুর ইউনিয়নের ওয়ার্ড আ’লীগের সহ-সভাপতি হওয়ায় গত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নৌকার পক্ষে কাজ করার জন্য আমার বড়ভাই অবসরপ্রাপ্ত সেনা সার্জেন্ট আজিজুল ইসলাম একটি ঘর অস্থায়ীভাবে নির্বাচনী অফিস করার জন্য দেন।
কিন্তু আ‘লীগ নেতা শওকত আলী ওই ঘরটি আ’লীগের নাম ভাঙ্গিয়ে উল্লেখিত ব্যক্তিদের নিয়ে পরবর্তীতে দখলের চেষ্টা করেন। শওকত আমার প্রবাসী মেঝ ভাই হাফিজুর রহমান লাল্টুর বিরুদ্ধে উল্লেখিত ব্যক্তিদের দিয়ে থানায় মিথ্যে মামলা দায়ের করে হয়রানি করে যাচ্ছে, যাতে সে আর বিদেশে যেতে না পারে। শওকতের কারণে শিবপুর ইউনিয়নের মানুষ অতীষ্ট হয়ে উঠেছে।
তিনি উল্লেখিত লিয়াকত গং ও আ’লীগ নোত শওকত মোল্লার চক্রান্তের হাত থেকে রক্ষা পেতে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন।