হোম খুলনাসাতক্ষীরা সাতক্ষীরায় বিদেশ পাঠানোর নামে তিন ব্যক্তির কাছ থেকে ৮ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ

সাতক্ষীরায় বিদেশ পাঠানোর নামে তিন ব্যক্তির কাছ থেকে ৮ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 38 ভিউজ

নিজস্ব প্রতিনিধি :
পুরাতন সাতক্ষীরার মৃত বাবুজানের ছেলে আজিহার রহমানের বিরুদ্ধে বিদেশে পাঠানোর কথা বলে তিন ব্যক্তির কাছ থেকে ৮ লাখ ১০ হাজার নিয়ে প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে। বুধবার (১৪ মে) সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত হয়ে পুরাতন সাতক্ষীরার শেখ মোঃ মহাসিনের ছেলে শেখ মুনসুর হাসান, শহরের হটাগাছা পশ্চিম পাড়ার মোঃ মোজাম উল্লাহ (মোজাম্মেল হক) এর ছেলে মোঃ জসিম উদ্দীন ও ঢাকার খিলখেত উপজেলার নয়ানগর গ্রামের মোঃ আব্দুল বারীর ছেলে মোঃ রেজাউল ইসলাম এই অভিযোগ করেন।

লিখিত বক্তব্যে শেখ মুনসুর হাসান বলেন, অজিহার রহমান একজন প্রতারক ও আদম ব্যবসায়ী। দীর্ঘদিন ধরে সে বিভিন্ন মানুষকে বিদেশে নিয়ে যাওয়ার ফাঁদে ফেলে তাদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়ে প্রতারণা করে আসছে। একইভাবে আমরা তিনজনও তার প্রতারণার শিকার। আমাকে সিঙ্গাপুর নিয়ে যাওয়ার জন্য ২০২৪ সালের প্রথম দিকে নগদ ১ লাখ ৯০ হাজার টাকা গ্রহণ করে আজহার রহমান। কিন্তু বিদেশ তো দূরের কথা টাকা নেওয়ার পরপরই নিজের ছেলেকে বিদেশে পাঠিয়ে দেয় এবং আমার সাথে আর কোন যোগাযোগ করে না। আমি দেখা করতে গেলে তাকে বাড়িতেই পাওয়া যায় না। এক পর্যায়ে গত ১ ফেব্রুয়ারি সে আমাকে ইসলামী ব্যাংক, সাতক্ষীরা শাখার অনুকূলে একটি চেক এবং অঙ্গীকারনামাও প্রদান করে। কিন্তু বর্তমানে চেকের ডেট ওভার হয়ে গেলেও আমি টাকা পাইনি। বর্তমানে আমি ও আমার পরিবার সম্পূর্ণ মানবেতর জীবন যাপন করছি।

মুনসুর হাসান আরো বলেন, একইভাবে জসিম উদ্দীনকে মালয়েশিয়া নিয়ে যাওয়ার জন্য  অজিহার রহমান তার কাছ থেকে ২ লাখ ৪০ হাজার টাকা গ্রহণ করে। কিন্তু তাকে বিদেশ না পাঠিয়ে সব টাকা আত্মসাৎ করে তার সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। পরে টাকা ফেরত চাইতে গেলে হাকিয়ে দেয়। এক পর্যায়ে অনেক জোরাজুরি করার পর স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় গত ১ ফেব্রুয়ারি ইসলামী ব্যাংক, সাতক্ষীরা শাখার অনুকূলে একটি চেক প্রদান করে। কিন্তু উক্ত চেকের তারিখ উত্তীর্ণ হওয়ার পরও সে কোন টাকা ফেরত পাইনি।

তিনি আরো বলেন, মালয়েশিয়া নিয়ে যাওয়ার কথা বলে ঢাকার খিলখেত এলাকার রেজাউল ইসলামের কাছ থেকে অজিহার রহমান ৩ লাখ ৮০ হাজার টাকা গ্রহণ করে। কিন্তু বিদেশ নেওয়া তো দূরের কথা টাকা গ্রহণ করার পর প্রায় ২ বছর যাবৎ তার সাথে কোন প্রকার যোগাযোগ করে না সে। এক পর্যায়ে তার বাড়িতে গেলে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সহযোগিতায় তাকে ডকুমেন্ট হিসেবে ইসলামী ব্যাংক সাতক্ষীরা শাখার অনুকূলে একটি চেক  এবং সাথে অঙ্গীকারনামাও প্রদান করে। কিন্তু চেকের তারিখ উত্তীর্ণ হওয়ার পরও তিনি টাকা পাইনি। এ ব্যাপারে আমরা কয়েকবার তার সাথে যোগালেন্স করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হই। সর্বশেষ সে হুমকি দিয়ে বলছে আমাদের কারো টাকা দিতে পারবে না। টাকা ফেরত না পেয়ে আমরা তিনজন বর্তমানে অসহায়ত্বের মধ্যে জীবন যাপন করছি। আমাদের শেষ সম্বল হারিয়ে আজ পথে বসার উপক্রম হয়েছি। তিনি প্রতারক অজিহার রহমানের কাছ থেকে তিনজনের ৮ লাখ ১০ টাকা আদায়ে স্থানীয় প্রশাসনসহ জেলা প্রশাসক, জেলা পুলিশ সুপার ও মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন