নিজস্ব প্রতিনিধি :
সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বালিয়াডাঙ্গা গ্রামে একটি মামলায় জামিনে থাকার পরও প্রতিপক্ষরা কাউকে বাড়িতে উঠতে না দিয়ে বাড়িঘর ভাংচুর ও লুটপাট করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের মৃত পরান সরদারের ছেলে মোঃ মোতালেব।
রিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, বালিয়াডাঙ্গা গ্রামে মৃত আহম্মাদ সরদারের ছেলে একাধিক মামলার আসামী গফফার সরদারের সাথে আমাদের জমি-জমা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এর জের ধরে গত ২০১৯ সালের ১৩ জুলাই গফফার গংয়ের সাথে আমাদের মারামারির ঘটনা ঘটে। এঘটনায় উভয়পক্ষ কমবেশি আহত হয়। কিন্তু ঘটনার ৭দিন পর গফফারের ছোট ভাই আকবর আলী চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
এঘটনায় সদর থানায় একটি হত্যা মামলা হয়। মামলার আসামীদের মধ্যে অনেকে জামিনে আছেন, আবার কয়েকজন কারাগারে আছেন। কিন্তু এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে গফফার সরদারের নেতৃত্বে তার ছেলে আয়নাল সরদার, মৃত আমের আলী সরদারের ছেলে মিজানুর রহমান, হাফিজুর রহমানের স্ত্রী রাবেয়া খাতুন, মৃত কোরবান আলীর ছেলে সাইদুল মোল¬া, মৃত শামছুদ্দীন সরদারের ছেলে জাহাঙ্গীর, মৃত ইমাদ আলীর ছেলে মুজিবর রহমান মুজি, মনিরুল ইসলামের স্ত্রী সাবিনা খাতুন,
মৃত আহম্মদ সরদারের ছেলে রইচ উদ্দিন, মনিরুল ইসলামের ছেলে শাহিন ও মৃত আফসার গাজীর স্ত্রী নুর জাহান বেগমসহ ১৫/২০ জন দা, লাঠি, লোহার রড, শাবল, হাতুড়ী নিয়ে একে একে আমার (মতলেব), ভাই আব্দুল¬াহ, বেয়াই ওয়াছের আলী, আমার জামাতা ইদ্রিস তার ভাই কুদ্দুস, বোনাই আব্দুস সাত্তারের বাড়িতে ঢুকে বাড়ি ঘর ভাংচুর ও লুটপাট চালায়। এসময় তারা র্স্বণের গহনা,
আলমারি, আসবাবপত্র, ঘরের দরজা ও জালানা এবং বাড়িতে থাকা টিউবওয়েলটি ও ২ হাজার ইট তুলে নিয়ে যায়। একই সাথে আমাদের ৬টি বাড়ি ভেঙ্গে মাটির সাথে মিশিয়ে দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকার ক্ষতি সাধন করেছে। বিলের জমি-জমা, মৎস্যঘেরও দখল করে নিয়েছে। তুলে নিয়েছে বিলের পাটসহ অন্যান্য ফসল।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, আমাদের বাড়িঘর ভাংচুর, লুটপাট ও ধ্বংস যজ্ঞ চালিয়েও তারা ক্ষ্যান্ত হয়নি। দেশীয় অস্ত্র সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে তারা আমাদেরকে তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে। আদালত থেকে জামিনে থাকার পরও তাদের ভয়ে আমরা বাড়িতে উঠতে পারছি না। উল্লে¬খিত গফফার এর কাছে একটি অবৈধ পিস্তল রয়েছে। সে ডাকাতি, ছিনতাইসহ প্রায় ৩৯ টি মামলার আসামী। এতগুলো মামলা থাকার পরও গফ্ফার প্রকাশ্যে বিভিন্ন অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, মারামারির ঘটনায় আকবরের মৃত্যুতে আমারও অত্যান্ত মর্মাহত। কিন্তু এই ঘটনায় অনেক নিরাপরাধ লোককে মামলার আসামী করে হয়রানি করা হচ্ছে। আবার জামিন প্রাপ্ত আসামীদের বাড়ি ঘর ভাংচুর লুটপাট করেছে। এমনকি তাদের বাড়িতে উঠতে দিচ্ছে না। তিনি উল্লেখিত ভাংচুরকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের দাবিতে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারসহ সংশি¬ষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।