হোম অন্যান্যসারাদেশ সাতক্ষীরায় জীবনের নিরাপত্তার দাবিতে পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করে এক আ’লীগ নেতার সংবাদ সম্মেলন

নিজস্ব প্রতিনিধি :

সাতক্ষীরায় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে সন্ত্রাসীরা এক আওয়ামী লীগ নেতাকে কাশ্যে অস্ত্র উঁচিয়ে হত্যার হুমকি দিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বুধবার সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে সদর উপজেলার কুশখালী গ্রামের আহম্মদ আলী গাজীর ছেলে মোঃ গোলাম মোস্তফা বাবু জীবনের নিরাপত্তা দাবি করে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আমি সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করছি। আমি কুশখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দেয়ার পর থেকেই কুশখালী সীমান্তে চোরাচালান ও মাদক ব্যবসায়িদের শেল্টার দাতা গোলাম মোর্শেদ ও মৃত দাউদ সরদারের ছেলে জিয়াউল আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। তারা বিভিন্ন সময় আমাকে হয়রানিসহ হত্যার চক্রান্ত চালিয়ে যাচ্ছে।

এক পর্যায় গত ২৮ এপ্রিল স্থানীয় একটি সালিশ নিয়ে গোলাম মোর্শেদ এর শ্যালক ভারতীয় নাগরিক পেশাদার কিলার আজহারুল ইসলামের নেতৃত্বে একই এলাকার গোলাম মোস্তফার ছেলে গোলাম মোর্শেদ, মোর্শেদের ছেলে সাঈদ, সাতানী গ্রামের ফজলুর রহমানের ছেলে চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম শ্যামল, কুশখালী গ্রামের মৃত মোর আলী ঢালীর ছেলে সন্ত্রাসী বাবু ঢালী ও আমান ঢালী প্রকাশ্যে অস্ত্র উঁচিয়ে আমাকে হত্যার হুমকি দেয়। এঘটনায় জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে আমি সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করি।

গোলাম মোস্তফা বাবু অভিযোগ করে বলেন, থানায় ডায়েরির খবর পেয়ে গোলাম মোর্শেদ এর নেতৃত্বে তার শ্যালক আজারুল, বাবু ঢালী ও আমান ঢালী আমার বাড়িতে গিয়ে প্রকাশ্যে পিস্তল উঁচিয়ে আমাকে হত্যার হুমকি দিয়ে সাধারণ ডায়েরি তুলে নিতে বলেন। এসময় বাবু ঢালী প্রকাশ্যে আমাকে গুলি করে হত্যার জন্য অন্যদের নির্দেশ দেয়। আমি ভয়ে ঘর থেকে বের হইনি। এসময় মোর্শেদের ছলে সাঈদের হাতে একটি শটগান এবং বাবু ঢালি ও আজহারুল ইসলামের কাছে পিস্তল ছিল।

তিনি আরো বলেন, গোলাম মোর্শেদ সীমান্তে মাদক চোরাচালান ও অস্ত্র পাচারসহ সকল অপকর্মের সাথে জড়িতদের আশ্রয় প্রশ্রয় দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকার মালিক বনে গেছেন। এসব অবৈধ কাজ পরিচালনার জন্য এলাকায় গড়ে তুলেছেন একটি সন্ত্রাসী বাহিনী। এলাকায় তাদের বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুললে তাকে খুন জখমের হুমকিসহ মিথ্যে মামলায় জড়িয়ে হয়রানি করা হয়।

অবৈধ অস্ত্রধারী গোলাম মোর্শেদ ছোটখাটো বিষয়ে অস্ত্র উঁচিয়ে মানুষকে হুমকি দেয়। তার শ্যালক আজারুল ভারত থেকে অস্ত্র নিয়ে আসে। সে একজন পেশাদার কিলার ও চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ি। তার বিরুদ্ধে অস্ত্র ও হত্যা মামলা রয়েছে। এদেশে তাকে সহযোগিতা করে গোলাম মোর্শেদ। এছাড়া অবৈধ অস্ত্রধারী বাবু ঢালী টাকার বিনিময় বিভিন্ন এলাকার মানুষকে খুন জখম সহ মারপিট করতে যায়।

গোলাম মোস্তফা বাবু বলেন, উল্লিখিত সন্ত্রাসীদের ভয়ে আমি জীবনের চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। আমি সন্দেহ করছি তারা যে কোনো সময় আমাকে খুন করে লাশ গুম করতে পারে। তিনি উল্লেখিত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের পাশাপাশি জীবনের নিরাপত্তার দাবিতে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন