হোম খুলনাসাতক্ষীরা সাতক্ষীরায় জনস্বাস্থ্য নির্বাহী প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে টেন্ডার বানিজ্যের অভিযোগ

সাতক্ষীরায় জনস্বাস্থ্য নির্বাহী প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে টেন্ডার বানিজ্যের অভিযোগ

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 5 ভিউজ
নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
যোগাদানের শুরুতে টেন্ডার বানিজ্যের অভিযোগ উঠেছে সাতক্ষীরার জনস্বাস্থ্যের নির্বাহী প্রকৌশলী ইব্রাহিম মো. তৈমুরের বিরুদ্ধে। তার সহযোগী হিসাবে রয়েছে গাজী ইমরান হোসেনের বিরুদ্ধে। অভিযোগ রয়েছে কুষ্টিয়া জেলায় আ”লীগ নেতার জামানত হওয়ার সময়ে চাকরির জীবনে বেপরয়া হয়ে ওঠেন তৈমুর। এরপর নিজেকে শেখ সোহেলের আত্মীয় পরিচয় দিয়ে শুরু করেন টেন্ডার বানিজ্য। গেল ৫আগষ্ট গন অভ্যুথানে শেখ হাসিনা পালিয়ে গেলে ভোল পাল্টিয়ে নিজেকে জামায়তের সহযোগি হিসাবে প্রমানে জোর চেষ্টা চালাচ্ছেন তিনি।
নাম না জানানোর শর্তে জনস্বাস্থ্যের এক ঠিকাদার জানান, চলতি বছরের শুরুতে যেগদান করেন ইব্রাহিম মো তৈমুর। এরপর থেকে অফিসের টেন্ডার দূনীতির এক সিন্ডিকেট গড়ে তোলেন।তার একান্ত সহযোগী হিসাবে কাজ করত তারই অফিসের সাবেক কম্পিউটার অপারেটর (বর্তমান চুয়াডাঙ্গা কর্মরত) গাজী ইমরান হোসেন। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি তে জনস্বাস্থ্যের তিনিটি প্রকল্পে টেন্ডার( ১০৭১১১৯, ১০৭১১৪৯, ১০৪১ ৪৭৯,) ঘোষনা করে  সাতক্ষীরা জনস্বাস্থ্য। ওই টেন্ডার পান গোপালগঞ্জ জেলার   এম এম এন্টার প্রাইজের মাসুদ রানা নামে এক ঠিকাদার। দরপত্র যাচাই বাচাই করে  জাল সনদ পাওয়ার তার কাজ বাতিল করা হয়। এরপরের টেন্ডারে জামালাপুরের ভূয়া অভিজ্ঞতার সনদ দেখিয়ে আরেকটি দরপত্র গ্রহন করেন তিনি। এরপর বিষয়টি নিয়ে কর্তৃপক্ষ বার বার জানালে অদৃশ্যকারনে ব্যাবস্থা নেয়নি তারা। পিপি আর  ২০০৮ সালের বিধি মোতাবেক কোন দরদাতার সনদ যদি জাল হয় তার সেক্ষেত্রে ওই ঠিকাদারের জামানত( টেন্ডার সিকুরিটি)   বাজেয়াপ্ত করা সহ কালো তালিকাভুক্ত করার বিধান রয়েছে তবে তার কিছুই মানছেনা বলে অভিযোগ তোলেন তিনি।
তিনি আরো জানান, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী ইব্রাহিম মো. তৈমুর বেশির ভাগ সময় কুষ্টিয়াতে কর্মরত ছিলেন।তার শ্বশুর এড আক্তারুজামান মাসুম কুষ্টিয়া সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ছিলেন।তিনি ওই পরিচয়কে কাজে লাগিয়ে গোপালগঞ্জের শেখ পরিবারের লোকজনের সাথে গভীর সখ্যতা গড়ে তোলেন।কূষ্টিয়া থাকা কালিন সময়ে তিনি শ্বশুরের পরিচিত ২জনকে ২কোটি টাকার টেন্ডার পাইয়ে দেন। এরপর সাতক্ষীরায় এসে একই কাজ করে যাচ্ছেন তিনি। সম্প্রতি সময়ে তিনি জাল সনদের টেন্ডার ধরলেও তিনি কোন ব্যাবস্থা নাও নেওয়া ঠিকাদার মহলে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে।
সাতক্ষীরা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী অফিসের সাবেক কম্পিউটার  অপারেটর গাজী ইমরান হোসেন  জানান, আমি টেন্ডার সংক্রান্ত কোন বিষয়ে জড়িত নই।এছাড়া আমি আর সাতক্ষীরাতে নাই। বিষয়টি নিয়ে সাতক্ষীরা উর্ধতন কতৃপক্ষের সাথে কথা বলেন।
এবিষয়ে এম এন এন্টার প্রাইজের ঠিকাদার মাসুদ রানা জানান, বিষয়টি প্রকৌশলী  স্যার জানেন বলে সংযোগটি বিচ্ছিন্ন করে দেন।
অভিযোগ অস্বীকার করে সাতক্ষীরা জনস্বাস্থ্য নির্বাহী প্রকৌশলী ইব্রাহিম মো.তৈমুর জানান, আমি কোন টেন্ডার ছাড় দেইয়নি তবে এম,  এম, এন্টারপ্রাইজের  একটি টেন্ডার পেয়েছিল তার কাগজ পত্রে ঝামেলা ছিল বলে তাকে সোকেজ করা হয়েছে।পরে তিনি ক্ষমা চেয়ে নেন। জাল কাগজ নিয়ে   অফিসের  কম্পিটার অপারেটর  গাজী ইমরান হোসেন টেন্ডার ড্রপ করেনএসমন  প্রস্নের জবাবে তিনি বলেন,  বিষয়টি আমি শুনেছি তবে কোন প্রমান পাইনি এছাড়া ইমরান এখন সাতক্ষীরায় আর নেই। তবে শ্বশুর কুষ্টিয়ার আ’লীগ নেতার সুবাদে টেন্ডার সিন্ডেকেটের বিষয়ে প্রস্ন ছুড়ে দিলে তিনি কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন