নিজিস্ব প্রতিনিধি:
সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সর্দি-কাশি ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে এক ব্যক্তি ভর্তি হওয়ার খবরে জেলার কালীগঞ্জ উপজেলায় পাঁচটি বাড়ি লকডাউন করার চান ঘন্টা পর তা প্রত্যাহার করা হয়।
কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সাঈদ মেহেদি সাংবাদিকদের বলেন, প্রাথমিকভাবে সর্দি-কাশি ও শ্বাসকষ্টের উপসর্গ থাকায় ওই ব্যক্তিকে ফায়ার সার্ভিসের গাড়িতে করে গতকাল সোমবার সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। চিকিৎসকেরা তাঁকে দেখে আইসোলেশন ইউনিটে ভর্তি করেন। এমন খবরে এলাকার লোকজন আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।
ফলে মঙ্গলবার সকাল আটটার দিকে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ও চৌকিদারকে পাঠিয়ে ওই ব্যক্তির বাড়িসহ আশেপাশের পাঁচটি বাড়ি লকডাউন করা হয়। দুপুর ১২টার দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা তবিবুর রহমান জানান যে ওই রোগীর অবস্থা ভালো। ওই ব্যক্তির নিউমনিয়া। তাই তাঁর বাড়ি ও আশপাশের এলাকা লকডাউন করার দরকার নেই। পরে স্থানীয় ইউপি সদস্য ও চৌকিদারকে বলা হয়েছে, ওইসব বাড়ির লকডাউন তুলে নিতে।
সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ওই ব্যক্তির স্ত্রী বলেন, ‘ডাক্তাররা বলছেন নিউমনিয়া। কিন্তু এ অবস্থায় আমি বাড়িতে গেলে গ্রামের লোকজন তো তাকে ঢুকতে দেবে না।’
কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা তবিবুর রহমান বলেন, লকডাউন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। ওই রোগী ভালো আছেন।
সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন বিশেষঞ্জ মানস কুমার মন্ডল বলেন, সর্দি-কাশির সঙ্গে হালকা শ্বাসকষ্ট নিয়ে দুপুরের দিকে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আসেন ওই ব্যক্তি। তবে ওই ব্যক্তি জানিয়েছিলেন, ৪-৫ দিন তাঁর জ্বর ছিল। তিনি কয়েক বছর ধরে ডায়াবেটিসে ভুগছেন। এ জন্য তাঁকে আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি রাখা হয়। তাঁর উপসর্গ ও এক্সরে দেখে ধারণা করা হচ্ছে, তিনি নিউমনিয়ার রোগী। তারপরও নিশ্চিত হওয়ার জন্য তাঁর নমুনা পরীক্ষার জন্য ঢাকার আইইডিসিআর এ পাঠানো হবে ।