নিজস্ব প্রতিনিধি:
সাতক্ষীরার সাহসী সাংবাদিকতার পথিকৃৎ মোঃ আনিসুর রহিমের দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে শুক্রবার (০৩ জানুয়ারি) সকালে মরহুমের কবর জিয়ারত, কোরআনখানী, প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন, প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর সকাল ১০টায় সাতক্ষীরা প্রি-ক্যাডেট স্কুলে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন, উপাধ্যক্ষ ছন্দা রাহা।
সভায় উপস্থিত ছিলেন ও বক্তব্য রাখেন মরহুমের স্ত্রী ড. দিলারা বেগম, ভ্রাতা সাবেক যুগ্ম সচিব আহমেদুর রহিম, সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর আব্দুল হামিদ, অধ্যক্ষ আশেক-ই-এলাহী, অধ্যাপক পবিত্র মোহন দাস, জেলা নাগরিক কমিটির আহবায়ক অ্যাড. শেখ আজাদ হোসেন বেলাল, সাংবাদিক কল্যাণ ব্যানার্জি, আবুল কালাম আজাদ, মমতাজ আহমেদ বাপি, শরিফুল্লাহ কায়সার সুমন, রাজনীতিবীদ শেখ হারুণ অর রশিদ, আবুল হোসেন, অধ্যাপক ইদ্রিস আলী, অ্যাড. খগেন্দ্র নাথ ঘোষ, রবিউল ইসলাম রবি, আলী নুর খান বাবলু, অধ্যক্ষ মোবাচ্ছেরুল হক জ্যোতি, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব শেখ মুসফিকুর রহমান মিল্টন, সুরেশ পান্ডে, আমিনা বিলকিস ময়না, মানবাধিকার কর্মী অ্যাড. মনির উদ্দীন, শিক্ষক আশরাফুল ইসলাম সানা প্রমুখ।শিশুদের পক্ষ থেকে কোরআন তেলওয়াত, গীতা পাঠ এরং বক্তব্য রাখেন ফারহানুল ইসলাম লাবিব, তাজনিম জাহান জুই ও অংকিত মিত্র।
বক্তারা বলেন, আনিসুর রহিম শুধুমাত্র একজন সাহসী সাংবাদিকই ছিলেন না, তিনি ছিলেন একজন আদর্শ শিক্ষক, মানুষ গড়ার কারিগর। মানুষের পাশে থাকার জন্য সরকারি কলেজের চাকুরী ছেড়ে বেসরকারি কলেজের অধ্যক্ষের দায়িত্ব নিয়েছিলেন। শিশুদের যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে শিশু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়েছিলেন। মুক্তিযুদ্ধে দুঃসাহসিক ভূমিকা পালন করেও তিনি মুক্তিযোদ্ধার সনদ নেননি। পারিবারিক বিত্ত বৈভবের মধ্যে আয়েশে জীবন কাটানোর সুযোগ ফেলে আজীবন চলেছেন গরীব দুখী মেহনতী মানুষের সাথে। তিনি ছিলেন একজন অনুকরণীয় ব্যক্তিত্ব।