হোম অন্যান্যসারাদেশ সাতক্ষীরার শ্যামনগরের কৈখালী ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎ ও গৃহবধূকে ধর্ষন চেষ্টার অভিযোগ

সাতক্ষীরার শ্যামনগরের কৈখালী ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎ ও গৃহবধূকে ধর্ষন চেষ্টার অভিযোগ

কর্তৃক
০ মন্তব্য 125 ভিউজ

নিজস্ব প্রতিনিধি :

সাতক্ষীরার শ্যামনগর কৈখালী ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ঘর দেয়ার প্রতিশ্রতি দিয়ে অর্থ আত্মসাৎ ও গৃহবধূকে ধর্ষন চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। রবিবার সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন শ্যামনগর উপজেলার শৈলখালী গ্রামের মোঃ আবু বক্কার সিদ্দিক এর স্ত্রী মোছাঃ মনোয়ারা বেগম। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, রুট রুজির জন্য আমার স্বামী প্রায়ই বাড়ির বাইরে থাকেন।

স্বামীর অনুপস্থিতিতে আমার ওপর কুনজর পড়ে জয়াখালী গ্রামের শেখ আবু দাউদের ছেলে কৈখালী ইউপি চেয়ারম্যান শেখ আব্দুর রহিমের। এজন্য প্রায়ই সে আমাকে বিভিন্ন প্রলোভন দেখাতো। একই সাথে বসত ঘর না থাকায় হত-দরিদ্রদের পুনঃবাসন/গ্রহ নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় আমাকে একটি সরকারি ঘর দেয়ার আশ্বাস প্রদান করেন চেয়ারম্যান। এই ঘর দেয়ার জন্য তিনি আমাকে ৫০ হাজার টাকা তাকে দেয়ার জন্য বলে। আমি তার কথা বিশ্বাস করে শৈলখালী গ্রামের মৃত পিয়ার আলী মল্লিকের ছেলে এমএম সিরাজুল ইসলামে উপস্থিতিতে চেয়রম্যানকে ৫০ হাজার টাকা প্রদান করি। কিন্তু নির্দিষ্ট সময় পার হয়ে গেলেও ঘর না দিয়ে তালবাহনা শুরু করেন।

একপর্যায় আমার প্রতিবেশী সবিতা রানী রপ্তান কে চেয়ারম্যানের সাথে অবৈধ সর্ম্পক স্থাপনের জন্য আমার মাধ্যমে প্রস্তাব দেয়। কিন্তু আমি অপারগতা প্রকাশ করলে চেয়ারম্যান আমাকে তার সাথে অবৈধ সর্ম্পক স্থাপনের প্রস্তাব দেয় এবং তার ব্যবহৃত -০১৯১১-৭০৮৩৯৫ ও ০১৭১৫-৬৬০২১৩ নং মোবাইল থেকে আমাকে কুপস্তাব দিতে থাকে। আমি ঘুণ্যভরে তার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করি এবং বিষয়টি অমার স্বামীকে জানাই। পরবর্তীতে স্বামীর পরামর্শে চেয়ারম্যানের মোবাইল কল রেকড করি। তিনি অভিযোগ করে বলেন, গত ৯ সেপ্টেম্বর বিকালে আমার ৫০ হাজার টাকা ফেরত দেয়ার কথা বলে চেয়ারম্যান আমাকে ইউনিয়ন পরিষদে যেতে বলেন। তার কথায় বিশ্বাস স্থাপন করে বিকাল ৫টার দিকে আমি ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যানের কক্ষে হাজির হয়ে তার সহযোগি মোজাম্মেল গাজীর ছেলে শাহীন আলমের উপস্থিতিতে টাকা ফেরত চাই।

তখন টাকা দেয়ার জন্য শাহীন আলমের সাথে আমাকে পরিষদের তৃতীয় তলায় চেয়ারম্যানের রেস্ট রুমে পাঠিয়ে দেন। ৫/৭ মিনিট পর চেয়ারম্যান শেখ আব্দুর রহিম রেস্ট রুমে আসলে শাহীন আলম দরজা বন্ধ করে দিয়ে পাহার দিতে থাকে। এই সুযোগে চেয়ারম্যান আমাকে ধর্ষনের চেষ্টা চালায়। এসময় আমি প্রাণপন চেষ্টা করে চেয়ারম্যানের হাত থেকে নিজেকে রক্ষা করে দৌড়ে পরিষদের বাইরে চলে আসি। এসময় চেয়ারম্যান আব্দুর রহিম ও শাহীন আলম আমাকে হুমকি দিয়ে বলে এঘটনা স্বামী বা অন্য কাউকে জানালে তোর স্বামী ও সন্তানকে খুন করে কালিন্দি নদীতে ভাসিয়ে দিব এবং মিথ্যে মামলায় জড়িয়ে হয়রানি করবো। এঘটনার পর আমি দ্রæত ইউনিয়ন পরিষদের বাইরে এসে সেখানে অবস্থানরত ব্যক্তিদের ঘটনা অবহিত করি। তিনি আরো বলেন, চেয়ারম্যান শেখ আব্দুর রহিম ও তার সহযোগিরা আমার ৫০ হাজার টাকা ফেরত দেয়নি উল্টো আমাকে ধর্ষনের চেষ্টা করলো। এখন আমার স্বামী সন্তানসহ আমাকে খুন জখমের হুমকি দিচ্ছে। ফলে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বর্তমানে আমি চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। তিনি চেয়ারম্যান শেখ আব্দুর রহিম ও তার সহযোগিদরে বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেন। এসময় তার স্বামী আবু বক্কর উপস্থিত ছিলেন।

 

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন