নিজস্ব প্রতিনিধি :
সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটায় স্বামী ও শ^শুর বাড়ির লোকজন কর্তৃক এক গৃহবধুকে মারপিট ও নির্যাতনের পর গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা বলে প্রচার দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় নিহতের শ্বশুর তরিকুল ইসলামকে পুলিশ জ্ঞিাসাবাদের জন্য আটক করেছে।
এদিকে, পলাতক রয়েছে নিহতের স্বমী ইমরান হোসেন। সোমবার রাতের কোন এক সময় ঘটনাটি ঘটে। স্থানীয়দের দেয়া খবরের ভিত্তিতে পুলিশ মঙ্গলবার দুপুরে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করেছে।
নিহত গৃহবধুর নাম উর্মি খাতুন (১৮)। তিনি তালা উপজেলার পাটকেলঘাটা থানার ভার্শা গ্রামের নজরুল ইসলামের মেয়ে।
নিহতের বাবা নজরুল ইসলামসহ তার স্বজনরা জানান, বিগত ৭ মাস পূর্বে পাটকেলঘাটা থানার নগরঘাটা ইউনিয়নের দক্ষিণপাড়া এলাকার রাজমিস্ত্রী তরিকুল ইসলামের ছেলে ইমরান হোসেনের (২২) সাথে বিয়ে হয় উর্মির।
বিয়ের সময় তারা যৌতুক হিসাবে জামাই ইমরানকে একটি ডিসকভার মোটরসাইকেল দেন। বিয়ের পর থেকে ইমরান কোন কাজ না করায় বেকার থাকাতে সংসারে শুরু হয় অশান্তি। বিভিন্ন সময় সে তার স্ত্রীকে কাজ করার জন্য চাপ প্রয়োগ করতো এবং তার কাছে টাকা পয়সা চাইতো।
এক পর্যায়ে যৌতুক নেওয়া মোটরসাইকেল বিক্রয় করা নিয়ে তাদের মধ্যে দ্বন্দ শুরু হয়। এরই জেরে সোমবার (২৫ অক্টোবর) ইমরান ও তার পরিবারের লোকজন কয়েকবার উর্মিকে মারপিট ও শারীরিকভাবে নির্যাতন করে।
একপর্যায়ে রাতে তারা মৃত্যু নিশ্চিত করে ঘরের আড়াই ওড়না দিয়ে তার মরদেহ ঝুলিয়ে রাখে। এরপর মঙ্গলবার সকালে উর্মি আত্মহত্যা করেছে বলে প্রচার দিতে থাকেন ইমরানের পরিবার।
তারা আরো জানান, খাট থেকে চালের আড়ার দূরত্ব চার থেকে সাড়ে চার ফুট হবে। এই দূরত্বে কেউ চাইলেই গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করা সম্ভব নয়।
পাটকেলঘাটা থানার এস.আই কৃষ্ণপদ সমাদ্দার জানান, এ ঘটনায় নিহতের শ^শুর তরিকুল ইসলামকে জ্ঞিাসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়েছে। এছাড়া তার স্বামী ইমরান পলাতক রয়েছে।
তিনি আরো জানান, নিহত গৃহবধুর মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য সাতক্ষীরা সদরহাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ময়না তদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।