কালিগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
গত ৫ আগস্ট সোমবার বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে ভারতে যাওয়ার পর শুধুমাত্র আওয়ামী লীগ করার অপরাধে সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার ভাড়া সিমলা ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী বরুণ কুমার ঘোষের ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান মা লক্ষী ভান্ডার এবং মা লক্ষ্মী মুড়ির মিল ও বাড়িতে ভাঙচুর হামলা চালিয়ে দেড় কোটি টাকার চাউল এবং মুড়ির বস্তা লুট করে নিয়ে যায় বিএনপি জামাত শিবিরের সশস্ত্র ক্যাডারাা এ ছাড়াও থানার সামনে তার আরো একটি দোকান দখল করে তালা ঝুলিয়ে বাড়িতে হামলা চালিয়ে বাড়িছাড়া করে দেয়। ওই সময় জীবন বাঁচাতে ব্যবসায়ী বরুন কুমার ঘোষ জীবন বাঁচাতে পরিবার পরিজন নিয়ে পালিয়ে গোপন স্থানে গিয়ে জীবন রক্ষা পায়। ঘটনাটি ঘটেছে ৫ আগস্ট সোমবার রাত ১১টায় এবং ৬ আগস্ট সকাল ১০ টায় সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার ভাড়াসিমলা ইউনিয়নের কাকশিয়ালী গ্রামের হাসপাতাল রোড ও বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর হইতে সন্ত্রাসীদের জীবননাশের হুমকিতে বর্তমান পালিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে ওই ব্যবসায়ী । বরুণ ঘোষ পূর্ব নারায়নপুর গ্রামের অসীম কুমার ঘোষের পুত্র এবং ভাড়া সিমলা ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ কালিগঞ্জ উপজেলা শাখার কোষাধাক্ষ এবং হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ কালিগঞ্জ উপজেলা শাখার যুগ্ন সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করে আসছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে ভারতের চলে যাওয়ার খবরে বিএনপি-জামায়াত, শিবিরের সশস্ত্র কাডাররা ঐদিন রাত ১১ টায় প্রথমে এসে কালিগঞ্জ হাসপাতাল রোডে অবস্থিত তার ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান মা লক্ষী ভান্ডার এবং মা লক্ষ্মী মুড়ির মিলে লাগানো সমস্ত সিসি ক্যামেরা ভেঙে দিয়ে যায়। পরদিন সকালে শত শত বিএনপি, জামাত শিবিরের সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা হাতে লাঠি সোটা, রামদা নিয়ে এসে প্রথমে দোকানের শাটার ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করে হাজার হাজার বস্তা চাউল এবং মুড়ির মিলে ঢুকে মুড়ির বস্তা লুট করে নিয়ে যায়। ওই সময় ভ্যান লাগিয়ে চাউল বহন করা ছাড়াও মাথায় করে লুট এবং ভাঙচুর করে চলে যায়। পরে ব্যবসায়ী বরুণ ঘোষ কে দেশছাড়া করতে তার বাড়িতে যেয়ে সশস্ত্র ক্যাডাররা হুমকি দিয়ে ভারতে চলে যেতে বলে। পরে সেখান থেকে যেয়ে কালিগঞ্জ থানার সামনে অবস্থিত তারা আরো একটি দোকান দখল করে তালা ঝুলিয়ে দেয়। বর্তমান তার ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান মা লক্ষী ভান্ডার এবং মা লক্ষী মুড়ির মিলের প্রায় ৩০/৪০ জন কর্মচারী মানবতার জীবন যবন করছে। ঐ দিনে ঘটনা ছাড়াও বিকালে কালিগঞ্জ কাকশালি ব্রীজ সংলগ্ন বঙ্গবন্ধু মুরাল ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া, কালিগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ অফিস ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ, উপজেলা পরিষদের সামনে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু মুরাল ভাঙ্গা সহ কালিগঞ্জ মুক্তি যোদ্ধা সংসদ ভাঙচুর, উত্তর কালিগঞ্জ মহিলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় ভাঙচুর, লুটপাট সহ কালিগঞ্জ উপজেলার আওয়ামী লীগ নেতাদের বাড়িতে হামলা জমি দখল সহ বিভিন্ন জনের জমি দখল করে নেওয়া হয়। প্রাণভয়ে উপজেলার অনেক আওয়ামী লীগ নেতা কর্মীরা কেউ পালিয়ে ভারতে আশ্রয় ছাড়াও বিভিন্ন জায়গায় আত্মগোপনে থেকে জীবন রক্ষা করে আছে। উপজেলা জুড়ে নৈরাজ্য সৃষ্টি হয়েছে।