নিজস্ব প্রতিনিধি:
সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে বিএনপি’র বিবাদমান দুই গ্রæপের মধ্যে ধাওয়া, পাল্টা ধাওয়া, ইট-পাটকেল নিক্ষেপ ও সংঘর্ষে ঘটনা ঘটেছে। আহত হয়েছে উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব আব্দুল আজিজসহ উভয় গ্রæপের ৪জন। ভাংচুর করা করা হয়েছে কয়েকটি মোটরসাইকেল। সোমবার বিকাল সাড়ে ৫ টার দিকে উপজেলার তারালী মোড়ে এ ঘটনাটি ঘটে। এদিকে, সব ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট অনুজা মন্ডল সন্ধ্যা ৬ টা থেকে উপজেলা সদরে ১৪৪ ধারা জারি করেছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচী পালনে বিএনপির পৃথক দুই গ্রুপ মিছিল ও সমাবেশ শুরু করে সোমবার বিকেল ৪টা থেকে। উপজেলা বিএনপির আহবায়ক শেখ এবাদুল ইসলাম ও সদস্য সচিব ডা. শফিকুল ইসলাম বাবুর নেতৃত্বে কাকশিয়ালী ব্রিজের পশ্চিমপাশে জমায়েত হয়ে মিছিল সহকারে তারালী মোড়ে সমাবেশ করতে থাকে। অপরদিকে, থানা বিএনপির আহবায়ক শেখ নুরুজ্জামান, সদস্য সচিব চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম, নুরুজ্জামান পাড় ও এসএম বাবু গ্রুপের নেতা-কর্মীরা উপজেলা বিএনপি অফিস থেকে মিছিল সহকারে তারালী মোড় থেকে বাসটার্মিনালের দিকে যাওয়ার সময় তাদের শান্তিপূর্ণ মিছিলে অপর গ্রæপের নেতা-কর্মীরা ইট পাটকেল ছোড়ে। এতে উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব আব্দুল আজিজের মাথায় ইট লেগে গুরুতর আহত হন। ক্ষুদ্ধ নেতা-কর্মীরা এসময় পাল্টা এবাদুল ইসলাম ও ডা. শফিকুল ইসলাম বাবু গ্রুপের নেতা-কর্মীদের উপরও ইটপাটকেল ছোড়ে। এসময় ক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা কয়েকটি মোটর সাইকেল ভাংচুর করে। এতে উভয় গ্রুপের ৪জন আহত হয়।
এদিকে, অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সেখানে সাথে সাথে ছুটে আসেন কালিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনুজা মন্ডল, সহকারী কমিশনার অমিত কুমার বিশ্বাস ও ওসি তদন্ত হারুন অর রশিদ মৃধাসহ সঙ্গীয় ফোর্স ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা। তারা বিবাদমান উভয়পক্ষকে নিবৃত করার একপর্যায়ে পরিস্থিতি শান্ত করতে সন্ধ্যা ৬টা থেকে উপজেলা সদরে ১৪৪ ধারা জারি করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনুজা মন্ডল। পরবর্তী ঘোষনা না দেওয়া পর্যন্ত ১৪৪ ধারা বলবৎ থাকবে বলে তিনি আরো জানান।
উল্লেখ্য, গত ৭ জানুয়ারী উপজেলা বিএনপির আহবায়ক শেখ এবাদুল ইসলাম ও সদস্য সচিব ডাঃ শফিকুল ইসলাম বাবুর স্বাক্ষরিত তারালী ও চাম্পাফুল ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ক কমিটি ঘোষনা দেওয়ার পর থেকে ওই কমিটি বিলুপ্তির দাবীতে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ মিছিল করতে থাকে তারালী ও চাম্পাফুল ইউনিয়ন বিএনপির ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। তারা ওই কমিটিতে আওয়ামী লীগের দোসরকে নিয়ে কমিটি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করতে থাকেন। এরই জের ধরে সোমবারের এই ঘটনা ঘটেছে বলে মনে করেন সচেতন মহল।