হোম অন্যান্যসারাদেশ সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে ছেলেকে শ্বাসরোধ করে হত্যার দু’ মাস ২০ দিন পর বাবা ও বিমাতা গ্রেপ্তার, কবর থেকে লাশ উত্তোলন,আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান

সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে ছেলেকে শ্বাসরোধ করে হত্যার দু’ মাস ২০ দিন পর বাবা ও বিমাতা গ্রেপ্তার, কবর থেকে লাশ উত্তোলন,আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান

কর্তৃক
০ মন্তব্য 122 ভিউজ

নিজস্ব প্রতিনিধি:

সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে মোবাইল কেনার টাকা চাওয়ায় শ্বাসরোধ করে ছেলেকে হত্যা করে লাশ মাটিতে পুঁতে ফেলার দু’ মাস ২০ দিন পর স্থানীয়রা নিহতের বাবা ও বিমাতাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে। উপজেলার চম্পাফুল গ্রাম থেকে শুক্রবার রাতে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর আজ শনিবার বিকালে পুলিশ নিহতের লাশ উত্তোলন করে ময়না তদন্তের জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। এদিকে, গ্রেপ্তারকৃতরা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।

নিহতের নাম আরিফ বিল্লাহ (১৭)। সে কালিগঞ্জ উপজেলার চম্পাফুল গ্রামের ইমান আলী মোড়লের ছেলে।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, নিহতের বাবা ইমান আলী মোড়ল(৫৫) ও তার বিমাতা (ইমান আলীর দ্বিতীয় স্ত্রী) জোহরা বেগম (৪২)।

কালিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) আজিজুর রহমান জানান, চম্পাফুল গ্রামের ইমান আলী মোড়ল পাঁচ বছর আগে ছেলে আরিফ বিল্লাহকে তার কাছে রেখে প্রথম স্ত্রী খালেদাকে তালাক দেন। পরে খালেদা অন্যত্র বিয়ে করেন। এরপর ইমান আলী জোহরা বেগমকে দ্বিতীয় বিয়ে করেন। বিয়ের পর থেকে তার জোহরা আরিফ বিল্লাহ’র সাথে খারাপ ব্যবহার করতেন।  এক পর্যায়ে আরিফ বিল্লাহ মোবাইল কেনার টাকা চাওয়ায় চলতি বছরের ২৫ জুন রাত সাড়ে ১১টার দিকে তার বিমাতা জোহরা ও তার বাবা ইমান আলী তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। এরপর তারা আরিফ বিল্লাহ নিখোঁজ হয়ে গেছে মর্মে প্রচার দেয়। পরে তারা কাইকে কিছু না জানিয়ে গোপনে নিজেদের জমিতে তারা তার লাশ পুতে রাখে। এদিকে, ঘটনাটি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে গত পহেলা সেপ্টেম্বর ছেলে পাগল হয়ে নিখোঁজ হয়ে গেছে মর্মে  ইমান আলী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেন। তবে শুক্রবার বিকেলে স্থানীয় একটি চায়ের দোকানে ইমান আলী তার ছেলে আরিফকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে নিজের জমিতে পুঁতে রেখেছে মর্মে এক ব্যক্তির কাছে স্বীকার করে। বিষয়টি কয়েকজনের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ায় রাতে স্থানীয়রা ইমান আলী ও তার দ্বিতীয় স্ত্রী জোহরাকে আটক করে পুলিশ সোপর্দ করে। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে ইমান আলী ও জোহরা তাদের ছেলে আরিফকে হত্যার কথা স্বীকার করে লাশ কোথায় পুঁতে রাখা হয়েছে মর্মে পুলিশকে অবহিত করেন। খবর পেয়ে আরিফের মা খালেদা বেগম রাতেই ইমান আলী ও জোহরার নাম উল্লেখ করে শুক্রবার রাতে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ইমান আলী ও জোহরার স্বীকারোক্তি অনুযায়ি শনিবার বিকেলে নিহত আরিফের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।

এদিকে, গ্রেপ্তারকৃত ইমান আলী ও জোহরা সাতক্ষীরার জ্যেষ্ট বিচারিক হাকিম রেজোয়ানুজ্জামানের কাছে হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন