নিজস্ব প্রতিনিধি :
সাতক্ষীরায় কলারোয়ায় সাবেক বিরাধী দলীয় নেত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গাড়ি বহরে হামলার ঘটনায় অস্ত্র ও বিষ্ফোরক দ্রব্য আইনের দু’টি মামলায় ধার্য্য দিনে আসামীরা আদালতে হাজিরা দিয়েছেন। মঙ্গলবার আদালতে আসামী পক্ষ সাফাই সাক্ষীর জন্য আবেদন জানালে আগামী ১০ জানুয়ারী এ মামলার সাফাই সাক্ষ্য ও যুক্তি তর্কের দিন ধার্য্য করেন সাতক্ষীরার স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক বিশ্বনাথ মন্ডল। আদালতের কাঠগড়ায় এ সময় বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ ৩৯ জন আসামী উপস্থিতি ছিলেন।
সাতক্ষীরা জজ কোর্টের পিপি অ্যাড. অব্দুল লতিফ বলেন, মঙ্গলবার ৩৪২ ধারায় আসামী পরীক্ষার কার্যক্রম শেষ হয়েছে। আসামীপক্ষে এসটিসি ২০৭/১৫ মামলায় নয়জন ও এসটিসি ২০৮/১৫ নং মামলায় আটজন সাঁফাই সাক্ষী দেওয়ার জন্য তালিকা আদালতে পেশ করেছেন।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন, পিপি অ্যাড. আব্দুল লতিফ। এ সময় তাকে সহায়তা করেন, জিপি অ্যাড. শম্ভুনাথ সিংহ, অতিরিক্ত পিপি অ্যাড. আব্দুল বারি, অতিরিক্ত পিপি অ্যাড. ফাহিমুল হক কিসলু প্রমুখ।
অপরদিকে, আসামীপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন, অ্যাড. আব্দুল মজিদ (২), বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের অ্যাড. শাহানারা অঅক্তার বকুল, অ্যাড. মিজানুর রহমান পিন্টু, অ্যাড. কামরুজ্জামান ভুট্টো প্রমুখ।
প্রসঙ্গত : ২০০২ সালের ৩০ আগষ্ট সকাল ১০টায় তৎকালিন বিরোধী দলীয় নেত্রী বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক মুক্তিযোদ্ধার ধর্ষিতা স্ত্রীকে দেখতে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে আসেন। সেখান থেকে যশোরে ফিরে যাওয়ার পথে সকাল ১১টা ৪০ মিনিটের দিকে কলারোয়ায় বিএনপি’র অফিসের সামনে একটি যাত্রীবাহি বাস রাস্তার উপরে আড় করে দিয়ে তার গাড়ি বহরে হামলা চালানো হয়। হামলায় আওয়ামী লীগের ১ ডজন নেতা-কর্মী আহত হন। এঘটনায় দায়ের করা হামলা মামলায় ২০২১ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি তালা-কলারোয়ার বিএনপি দলীয় সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ ৫০ জন নেতা-কর্মীকে চার থেকে ১০ বছর মেয়াদে সাজা প্রদান করেন সাতক্ষীরার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হুমায়ুন কবির। এর মধ্যে নয়জন আসামী পলাতক রয়েছেন ও দুই জন মারা গেছেন। গত ১৪ জুন অস্ত্র ও বিস্ফোরক আইনের অপর দুটি মামলায় চার্জ গঠন করা হয়। এ দুটি মামলায় এ পর্যন্ত ১৩ জন আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন।
