হোম অন্যান্যসারাদেশ সাতক্ষীরার উপকূলীয় এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত বেড়িবাঁধ সংস্কার ও জলাবদ্ধতা নিরসনের দাবীতে মানববন্ধন

সাতক্ষীরার উপকূলীয় এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত বেড়িবাঁধ সংস্কার ও জলাবদ্ধতা নিরসনের দাবীতে মানববন্ধন

কর্তৃক
০ মন্তব্য 110 ভিউজ

নিজস্ব প্রতিনিধি :

সাতক্ষীরার উপকূলীয় এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত বেড়িবাঁধ সংস্কার ও জলাবদ্ধতা নিরসনের দাবীতে মানববন্ধন ও স্মারক লিপি প্রদান করা হয়েছে। জেলা নাগরিক কমিটির আয়োজনে বুধবার বেলা ১১ টায় সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের সামনে দূর্যোগ আবহাওয়ার মধ্যে ঘন্টাব্যাপী উক্ত মানববন্ধন কর্মসুচি পালিত হয়। মানববন্ধন শেষে সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ড বিভাগ-১ ও ২ এর নির্বাহী প্রকৌশলীর মাধ্যমে পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী বরাবর সাতক্ষীরাসহ উপকূলবাসীর বর্তমান অবস্থা তুলে ধরে বিভিন্ন দাবী দাওয়া সম্বলিত স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।

জেলা নাগরিক কমিটির আহবায়ক আনিসুর রহিমের সভাপতিত্বে মানবন্ধনে বক্তব্য রাখেন, অধ্যক্ষ আবু আহমেদ, প্রফেসর আব্দুল হামিদ, সুধাংশু শেখর সরকার, এড. শেখ আজাদ হোসেন বেলাল, ওবায়দুস সুলতান বাবলু, এড. আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ। বক্তারা বলেন, পানিতে ডুবে রয়েছে সাতক্ষীরার অধিকাংশ এলাকা। লাখ লাখ মানুষ পানির উপর ভাসছে। ফসলের ক্ষেত, মাছের ঘের, শাকসজ্বিসহ সবধরণের কৃষি খামার সম্পূর্ণভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। বহু এলাকায় মানুষের রান্না-বান্না করারও জায়গা নেই। মৃত মানুষের দাফন ও সৎকার করতে এক এলাকা থেকে অপর এলাকায় ছুটে বেড়াতে হচ্ছে।

পয়ঃনিষ্কাশন, স্যানিটেশন, বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়েছে। বক্তারা আরো বলেন, ঘূর্ণিঝড় আম্পান এর পরপরই পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী ও সচিবসহ সরকারের উচ্চ পর্যায়ের অনেকেই এই এলাকা পরিদর্শন করেন। এলাকায় নদীর পানি প্রবেশ বন্ধ করা, দ্রæত বাঁধ নির্মাণসহ সবধরণের প্রতিশ্রতিও দেওয়া হয়। স্থানীয় জনসাধারণ স্বেচ্ছাশ্রমে নিজেরা অর্থ দিয়ে বাঁশ, বস্তা, পেরেক কিনে সাতক্ষীরা জেলার বড়ধরণের তিনটি পয়েন্ট ছাড়া আর সকল স্থানে রিংবাঁধ নির্মাণ করে নদীর পানি প্রবেশ বন্ধ করে। কিন্তু স্বেচ্ছাশ্রমে যেনতেনভাবে পানি বন্ধের পর বাঁধগুলো আরও মজবুত করতে আর কোন তৎপরতা দেখা যায়নি।

ভেঙে যাওয়া এসব বাঁধের অনেকস্থানে পূর্ব থেকেই ঠিকাদার নিয়োগ করা হয়েছিল। অনেকস্থানে ভাঙার পর ডিপিএম এর মাধ্যমে ইমার্জেন্সি কাজ করার জন্য নতুন করে ঠিকাদারও নিয়োগ করা হয়। কিন্তু ইমার্জেন্সি কাজের ও পূর্ব নির্ধারিত অধিকাংশ ঠিকাদার এলাকার কোন কাজ করেননি। এরফলে সাম্প্রতিক অমাবশ্যায় জোয়ারের পানির প্রবল চাপে পূর্বের ভেঙে যাওয়া বাঁধগুলো নতুন করে ভেঙে গিয়ে এলাকায় এক দুর্বিসহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। বক্তারা এ সময় এই পরিস্থিতির জন্য দায়ীদের চিহ্নিত করনসহ উপকুলীয় এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত বেড়িবাঁধ সংস্কার ও জলাবদ্ধতা নিরসনের জোর দাবী জানান।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন