হোম অন্যান্যসারাদেশ সাতক্ষীরার আশাশুনির কপোতাক্ষ নদে ট্রলার ডুবির ঘটনায় নিখোঁজ তিন শ্রমিকের এখনও সন্ধান মেলেনি, চলছে উদ্ধার অভিযান, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে নগদ টাকা ও চাউল বিতরণ

নিজস্ব প্রতিনিধি :

দীর্ঘ প্রায় ৩৩ ঘন্টা অতিবাহিত হলেও সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার কুড়িকাউনিয়া লঞ্চঘাট এলাকায় কপোতাক্ষ নদে প্রবল স্রোতে উল্টে যাওয়া ট্রলার থেকে নিখোঁজ হওয়া তিন শ্রমিকের এখনও সন্ধান মেলেনি। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফন্স এর উদ্যোগে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামালের উপস্থিতিতে বুধবার সকাল সাড়ে ৯টা থেকে আবারো শুরু হয়েছে উদ্ধার অভিযান। এদিকে, নিঁখোজ পরিবারের সদস্যদের আহাজারিতে সেখানে পরিবেশ ভারী হয়ে উঠেছে।

এর অগে সকাল ১০টায় জেলা প্রশাসক প্রতাপনগরের কল্যাণপুর এসে ক্ষতিগ্রস্ত নিঁখোজ তিন পরিবারের মাঝে মাথা পিছু ১০ হাজার টাকা, ৫০ কেজি’র এক বস্তা চাউল ও একটি করে কম্বল তুলে দেন। এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন, আশাশুনি উপজেলা চেয়ারম্যান এবিএম মোস্তাকিম, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মীর আলীফ রেজা, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সোহাগ খান, প্রতাপনগর ইউপি চেয়ারম্যান শেখ জাকির হোসেন ও শ্রীউলা ইউপি চেয়ারম্যান আবু হেনা শাকিল।

প্রসঙ্গত ঃ মঙ্গলবার সকাল ৬টার দিকে আশাশুনির প্রতাপনগর ইউনিয়নের কুড়িকাহনিয়া লঞ্চঘাট থেকে ঘুর্ণিঝড় আম্পানে ক্ষতিগ্রস্ত ভাঙা নামকস্থানে বালি ভর্তির জন্য খালি বস্তা ও শ্রমিকদের নিয়ে যাওয়ার সময় চালক আব্দুস সাত্তার ও ১৪জন শ্রমিকসহ একটি ট্রলার প্রবল স্রোতে ঘোলে পড়ে উল্টে যায়। ট্রলার চালকসহ উদ্ধার হওয়া ১২ জন শ্রমিকের মধ্যে মাফুয়ার রহমানকে জায়গীরমহল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয় । এতে নিখোঁজ হওয়া শ্রমিক বাবুরালি সরদার, আব্দুল আজিজ ও শফিকুল ইসলামকে মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে উদ্ধার করতে পারেনি ফায়ার সার্ভিস ও ফায়ার সিভিল ডিফেন্স এবং ডুবুরীরা।

সাতক্ষীরা ফায়ার সার্ভিস সিভিল ডিফেন্স এর উপসহকারি পরিচালক তারেক হাসান ভুঁইয়া জানান, খুলনা থেকে ডুবুরী আনার পর দুপুর একটা থেকে উদ্ধার অভিযান শুরু করা হয়। নদীতে প্রবল স্রোত থাকা ও আলো স্বল্পতার কারণে মঙ্গলবার বিকেল ৫টায় উদ্ধার অভিযান বন্ধ করে দেওয়া হয়। বুধবার সকাল থেকে আবারো উদ্ধার অভিযান শুরু করা হয়েছে।

s

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন