নিজস্ব প্রতিনিধি :
সাতক্ষীরা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. আলাউদ্দীন এঁর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় হাতে কলমে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সমন্বিত শিক্ষা প্রদানের মাধ্যমে ভালো ফলাফলের সুনাম বহন করে চলেছে। সাতক্ষীরা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের এই উদ্যোগ সত্যিই প্রশংসনীয়। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সমন্বিত শিক্ষা হাতে কলমে দেওয়ার বিষয়ে সাতক্ষীরা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. আলাউদ্দীন বলেন, “আমরা বিশ্বাস করি, হাতে-কলমে শিক্ষা শিক্ষার্থীদের জন্য সবচেয়ে ফলপ্রসূ। আমাদের ল্যাব ও আইসিটি ক্লাসের নিয়মিত কার্যক্রম তাদের জ্ঞানকে কেবল বাড়াচ্ছে না, বরং তাদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস তৈরি করছে।” বিজ্ঞানের এক চরম উন্নতির যুগে বাস করছি আমরা। এটি বিশ্বায়নের যুগ। বিজ্ঞান, বিশ্বায়ন ও ডিজিটালের এই যুগে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সমন্বিত শিক্ষা প্রদানের মাধ্যমে সাতক্ষীরা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা কেবল ভালো ফলাফল নিশ্চিত করছে না, বরং শিক্ষার্থীদের একটি উন্নত ভবিষ্যৎ গঠনে সহায়তা করছে। ‘বিজ্ঞান কোনো জটিল-কঠিন বিষয় নয়। বিজ্ঞানকে আনন্দদায়ক মনে করে হাতে-কলমে আয়ত্ত করতে পারলেই তা সহজ হয়ে যায়। যারা বিজ্ঞানকে মুখস্থ করে আয়ত্ত করতে চায়; তাদের কাছে বিজ্ঞান জটিল আকার ধারণ করে। সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. আলাউদ্দীনের প্রচেষ্টা ও তদারকীতে ‘বিজ্ঞান ও আইসিটিকে সহজ করতে হাতে কলমে শিক্ষা দিয়ে যাচ্ছে বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। সাতক্ষীরা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণীর বিজ্ঞান ক্লাসের অধিকাংশ ক্লাস গুলো হাতে কলমে শিক্ষা দেওয়ার জন্য শিক্ষার্থীদেরকে বিজ্ঞানাগারে নিয়মিত নেয়া হচ্ছে। সেখানে শিক্ষার্থীরা খুবই মনোযোগী হয়ে বিজ্ঞান শিক্ষকদের নির্দেশনায় নিজেরাই হাতে-কলমে শিক্ষা লাভ করছে। সাতক্ষীরা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় শুধু একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নয়, এটি জ্ঞান ও প্রযুক্তির সমন্বয়ে আগামী প্রজন্মকে গড়ে তোলার একটি আদর্শ কেন্দ্র। বর্তমানে বিদ্যালয়ে বিজ্ঞান ল্যাব ও আইসিটি ক্লাসের নিয়মিত কার্যক্রম শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ সৃষ্টি করেছে, যা বিদ্যালয়ের ভালো ফলাফল ও সুনাম বৃদ্ধিতেও বড় ভূমিকা রাখবে।’
ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আরো বলেন, “শিক্ষা ক্ষেত্রে তত্ত্বের পাশাপাশি হাতে-কলমে শেখার কোনো বিকল্প নেই। সাতক্ষীরা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য নিয়মিত ল্যাব ক্লাস অনুষ্ঠিত হয়। এখানকার সুসজ্জিত ল্যাবগুলোতে পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন ও জীববিজ্ঞানের জটিল বিষয়গুলো শিক্ষকরা হাতে-কলমে শেখান। এর ফলে শিক্ষার্থীরা কেবল বই পড়ে নয়, বরং পরীক্ষার মাধ্যমে বিজ্ঞানের নীতিগুলো গভীরভাবে বুঝতে পারে। এই ব্যবহারিক শিক্ষা তাদের মধ্যে বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধিৎসা তৈরি করছে এবং ভবিষ্যতে উচ্চশিক্ষার জন্য প্রস্তুত করছে। সাতক্ষীরা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় আধুনিকতাকে গুরুত্ব দিয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য নিয়মিত আইসিটি ক্লাস পরিচালনা করে আসছে। প্রতিটি ক্লাস ল্যাবে হয়, যেখানে শিক্ষার্থীরা সরাসরি কম্পিউটার ব্যবহার করে শিক্ষা গ্রহণ করে থাকে। এখানে টাইপিং, ইন্টারনেট ব্যবহার এবং বিভিন্ন সফটওয়্যার সম্পর্কে তাদের ধারণা দেওয়া হয়। এর ফলে তারা ডিজিটাল যুগে নিজেদের দক্ষ নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার সুযোগ পাচ্ছে। শিক্ষকরা আইসিটি ল্যাবের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করছেন, যা শিক্ষার্থীদের পড়ালেখাকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলেছে। বিজ্ঞান কোনো তত্ত্ব নয়। মুখস্থ করে বিজ্ঞান আয়ত্ত করা যায় না। বিজ্ঞানের মূল শক্তি হচ্ছে উদ্ভাবন ও গবেষণা। সারাবিশ্ব আজ নতুন নতুন উদ্ভাবন আর নানা কিছু আবিস্কার করে এগিয়ে যাচ্ছে। আগামী দিনে আমাদের এই শিক্ষার্থীরা হবে এ দেশের একেকজন বিজ্ঞানী, একেকজন উদ্ভাবক, একেকজন আবিস্কারক। বাংলাদেশে তোমাদের হাত ধরেই হবে বিজ্ঞানের জয়যাত্রা।
বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জানায়, “আগে বিজ্ঞানের বিষয়গুলো কঠিন লাগত, কিন্তু এখন ল্যাবে পরীক্ষাগুলো করার পর সেগুলো অনেক সহজ মনে হয়। আইসিটি ক্লাসে আমরা অনেক নতুন কিছু শিখছি যা আমাদের ভবিষ্যতের জন্য খুবই দরকারি।” বিজ্ঞান আসলে মজার বিষয়। এটাকে কেউ কঠিন ভাবলে তার কাছে আর সহজ হবে না। বিজ্ঞান হাতে-কলমে শেখা যায় ও আনন্দ পাওয়া যায়। বিজ্ঞানমনস্কতায় , সৃজনশীলতায় ও উন্নত জীবনের স্বপ্ন দর্শনে উদ্বুদ্ধ করাই হলো শিক্ষার লক্ষ্য । শিক্ষার্থীদেরকে বিজ্ঞানমনস্ক করে গড়ে তুলতে হলে শ্রেণিকক্ষে হাতে কলমে বিজ্ঞান শিক্ষার গুরত্ব অপরিসীম। বিজ্ঞানের নীতি পদ্ধতি ও প্রযুক্তির জ্ঞান অর্জন সমস্যা সমাধানে তার ব্যবহার এবং বিজ্ঞানমনস্ক ও অনুসন্ধিৎসু করে গড়ে তুলতে এবং চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে নেতৃত্ব দিতে সক্ষম মানব সম্পদ উন্নয়নের লক্ষ্যে হাতে কলমে বিজ্ঞান শিখার কোন বিকল্প নেই।