হোম অন্যান্যসারাদেশ সাতক্ষীরায় শিক্ষার্থীদের সারাদিন শ্রেণীকক্ষে আবদ্ধ করে রাখলেন প্রধান শিক্ষক, ১০ শিক্ষার্থী অসুস্থ্য হয়ে হাসপাতালে ভর্তির পর গভীর রাতে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র গ্রহন

নিজস্ব প্রতিনিধি :

সাতক্ষীরার তালা উপজেলার খেশরা ইউনিয়নের এইচ.এম.এস মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের একটি কক্ষে দরজা জানালা বন্ধ করে তিন’শ শিক্ষার্থীকে দীর্ঘক্ষণ আবদ্ধ করে রাখার অভিযোগ উঠেছে। এতে অন্ততঃ ১০ জন শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়লে সোমবার বিকালে তাদের উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এরপর রাত ১১টার দিকে ঝামেলা এড়াতে প্রধান শিক্ষক মোবারক হোসেন অভিভাকদের ম্যানেজ করে কৌশলে সকল শিক্ষার্থীকে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে বাড়িতে নিয়ে যান ।

অসুস্থ শিক্ষার্থীরা হলেন, দশম শ্রেণীর আফসানা মিমি, নবম শ্রেণীর মহীনি আক্তার মাহী, রুকাইয়া, ফতেমা, রাবেয়া, নুসরাত, রিমি, সপ্তম শ্রেণীর নদীসহ কয়েকজন।

জানা গেছে, সোমবার ওই বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের বিদায় অনুষ্ঠান ছিল। ওই অনুষ্ঠান উপলক্ষে ৬ষ্ঠ থেকে ১০ম শ্রেণীর ছাত্র—ছাত্রীদের একটি কক্ষে সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত আবদ্ধ করে রাখা হয়। এতে শিক্ষার্থীরা অসুস্থ হয়ে পড়েন।

এদিকে, শিক্ষার্থীদের অসুস্থ হয়ে পড়ার খবর পেয়ে তাদের অভিভাবকরা বিকাল ৫টার দিকে তাদেরকে উদ্ধার করে তালা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক ডা. সবুজ বিশ্বাস জানান, ৮—১০ জন ছাত্রীকে এক সাথে ভর্তি করা হয়। প্রাথমিকভাবে তাদের অসুস্থ হওয়ার কারণ জানা না গেলেও ধারণা করা হচ্ছে দীর্ঘক্ষণ তারা পানি ও খাদ্য গ্রহণ করতে না পারায় মানসিক ও শারীরিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়ে। এরপর রাত ১১টার দিকে তারা একটু সুস্থ্য হলে তাদের বাড়িতে নিয়ে যান তাদের অভিভাবকরা।

অভিভাবকরা জানান, দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বিদায় অনুষ্ঠানের জন্য সকল শিক্ষার্থীর কাছ থেকে খিচুড়ি রান্নার জন্য চাঁদা তোলা হয়। ওই খিচুড়ি খাওয়ানোর কথা বলে বিদায় অনুষ্ঠানে সকল শিক্ষর্থীকে বদ্ধ রুমে আটকিয়ে রাখা হয়। দীর্ঘক্ষণ রুমের মধ্যে শিক্ষার্থীদের আটকিয়ে রাখা হলেও এসময়ে তাদের পানি বা অন্য কোনও খাদ্য দেয়া হয়নি। দীর্ঘক্ষণ একটি রুমে আটকে রাখার কারণে তারা অসুস্থ হয়ে পড়ে। এঘটনায় অভিভাবকরা ক্ষোভ প্রকাশ করে প্রধান শিক্ষক মোবারক হোসেনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

এ ব্যাপারে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোবারেক হোসেন শিক্ষার্থীদের অসুস্থ হয়ে পড়ার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, স্কুলের সকল শিক্ষক বিদায় অনুষ্ঠান নিয়ে ব্যস্ত থাকায় তাদের দিকে নজর রাখা হয়নি। অসুস্থ ছাত্রীরা সকালে কিছু না খেয়ে আসার কারণে এমনটি হতে পারে।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন