নিজস্ব প্রতিনিধি:
সাতক্ষীরায় পৃথক ঘটনায় পানিতে ডুবে চার শিশুর মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) এসব মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।
মৃতের স্বজনরা জানান, আশাশুনি উপজেলার বড়দল ইউনিয়নে পানিতে ডুবে ঈশিতা সানা নামে দেড় বছরের এক শিশুর করুন মৃত্যু হয়েছে। সোমবার আনুমানিক দুপুর ২টায় ইউনিয়নের বামনডাঙ্গা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত শিশু ঐ গ্রামের মহেন্দ্র নাথ সানার মেয়ে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য প্রসেনজিৎ সরকার জানান, মহেন্দ্র নাথের বড় মেয়ে মমতা সানা (৪) ও ছোট মেয়ে ঈশিতা সানা সবার অজান্তে বাড়ির পাশে এক পুকুরে যায়। এসময় ঈশিতা পানিতে পড়ে গেলে বড় বোন মমতা তাকে পানি থেকে উঠানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। পরে তার মৃতদেহ পানি থেকে তোলা হয়।
সোমবার দুপুরে কলারোয়ায় কেড়াগাছিতে পানিতে ডুবে ইকরাম খার দুই বছর বয়সী ছেলে ইরফান খাঁ এর মৃত্যু হয়েছে।
শিশু ইরফানকে গোছল করানোর জন্য তার বাবা ঘরের বাইরে এনে রাখে। কিছুপর তাকে আর খুজে পাওয়া যাচ্ছিল না। একপর্যায়ে বাড়ির রান্না ঘরের পাশের একটি ডোবায় শিশুটির মৃতদেহ পাওয়া যায়।
সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার চন্ডিপুর গ্রামে মো. ফয়সাল হোসেন (১৬) নামের এক মানসিক প্রতিবন্ধী কিশোরের পানিতে ডুবে মৃত্যু হয়েছে। সে একই গ্রামের মোটরসাইকেল ড্রাইভার শাহিনুরের ছেলে।
প্রতিবেশী মো. মাহবুবুর রহমান জানান, ফয়সাল মানসিক প্রতিবন্ধী ছিল এবং মৃগীর রোগী ছিল। রবিবার সন্ধ্যায় স্থানীয় চায়ের দোকানে ফয়সাল প্রতিদিনের মত বসেছিল। কেউ একজন তাকে ১০ টাকা দিলে সে খাবার কিনে খেতে খেতে বাড়ির দিকে যায়। কিন্তু সে বাড়িতে না পৌঁছালে সারা রাত তার পরিবার এবং প্রতিবেশীরা সম্ভাব্য সকল স্থানে খোঁজ খবর করে। কিন্তু কোথাও না পেয়ে সকালে আবার খোঁজা খোঁজির একপর্যায়ে সোমবার বেলা ১২টার দিকে পার্শ্ববর্তী ডোবায় শেওলায় মধ্যে ফয়সালের পা দেখতে পাওয়া যায়। পরে ফয়সালকে মৃত অবস্থায় ডোবা থেকে উদ্ধার করা হয়।
কালিগঞ্জের ইন্দ্রনগর গ্রামের সিরাজুল ইসলামের ১৯ মাস বয়সী মেয়ে নাসিমা খাতুনকে বাড়ির উঠানে না পেয়ে সোমবার দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে বাড়ির পুকুরে ভাসমান মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। সিরাজুল ইসলাম বেডিসন ফার্মাসিউটিক্যাল লিঃ এর এরিয়া ম্যানেজার।