হোম খুলনাকুষ্টিয়া সাজিদ হত্যার বিচারের দাবিতে ঐক্যবদ্ধ ইবির শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা 

সাজিদ হত্যার বিচারের দাবিতে ঐক্যবদ্ধ ইবির শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা 

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 37 ভিউজ
ইবি প্রতিনিধি:
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থী সাজিদ আব্দুল্লাহ হত্যার বিচারের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনের চত্বরে এটি অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল পর্যায়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা অংশ নেয়।
মানববন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনপিপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন জিয়া পরিষদের কেন্দ্রীয় মহাসচিব অধ্যাপক ড. এমতাজ হোসেন, ইউট্যাব ইবি শাখার সভাপতি অধ্যাপক ড. তোজাম্মেল হোসেন, সাদা দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. এ কে এম মতিনুর রহমান, জিয়া পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম এবং জামায়াতপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন গ্রীণ ফোরামের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমান উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, শাখা ছাত্রদল, ছাত্রশিবির, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন ও জমিয়তে তালাবায়ে আরাবিয়ার নেতৃবৃন্দ সহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা বলেন, প্রশাসন এখনো সাজিদের খুনিদেরকে আইনের আওতায় আনতে পারেনি। আমরা জানতে চাই আর কতদিন তদন্ত চলবে? কতদিন আমাদের এভাবে আশ্বাস দেওয়া হবে? আমরা আর কোনো আশ্বাসে থাকতে চাই না। এই মাসের ১৭ তারিখ সাজিদ আব্দুল্লাহ হত্যার ৫ মাস পূর্ণ হবে। এর মধ্যে প্রশাসন খুনিদেরকে গ্রেফতার করতে না পারলে সেদিনই আমরা ভিসির কার্যালয় ঘেরাও করব। ১৭ তারিখই শেষ দিন।
অধ্যাপক ড. তোজাম্মেল হোসেন বলেন, গত বছরের আগস্টে আমরা যে ফ্যাসিস্টকে বিতাড়িত করেছি, সেই ফ্যাসিস্ট আমলেও দিনে-দুপুরে ক্যাম্পাসের ভিতরে এ ধরণের খুন হতে পারে নাই। আমরা সোচ্চার ছিলাম। এর আগে দুটি গুম হয়েছিল অলিউল্লাহ, মোকাদ্দাস। তাদের জন্য আমরা দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রাম করেছি শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকে। সেটা যদি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে হতো তাহলে অবশ্যই এর বিচার আমরা আদায় করে নিতে পারতাম, সেই অবস্থা আমাদের ছিল। অনতিবিলম্বে এই সাজিদের হত্যাকারীর বিচার হোক এবং যারা এর সাথে জড়িত তাদেরকে গ্রেফতার হোক।
অধ্যাপক ড. এমতাজ হোসেন বলেন, আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্যাক্টস ফাইন্ডিং কমিটির আহ্বায়ক ছিলাম। দ্রুত সময়ের মধ্যেই রিপোর্ট জমা দিয়েছি। কিন্তু প্রায় পাঁচ মাস পার হলেও খুনিদের গ্রেফতারে কোনো দৃশ্যমান অগ্রগতি নেই। যা শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিশ্বাসের সংকট তৈরি করেছে। সাজিদের হত্যার বিচার না হওয়া পর্যন্ত ইবির পবিত্র মাটি কলঙ্কমুক্ত হবে না। এত দীর্ঘ সময় লাগার পেছনে কারও ব্যক্তিগত স্বার্থ বা নেপথ্যে প্রভাব থাকতে পারে।
উল্লেখ্য, গত ১৭ জুলাই বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহ আজিজুর রহমান হল পুকুর থেকে আল কুরআন অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ২০২১-২২ বর্ষের শিক্ষার্থী সাজিদের লাশ উদ্ধার করা হয়। ভিসেরা রিপোর্ট অনুযায়ী সাজিদকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন