হোম এক্সক্লুসিভ সাকিবের দাবি: রিয়াদ বাদ পড়লেও ৭০ রান বাঁচিয়েছে মুশফিককে

স্পোর্টস ডেস্ক:

ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ঘরের মাঠের সিরিজের পর দল থেকে বাদ পড়েছিলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। এরপর সাইলেন্ট কিলার খ্যাত রিয়াদের জাতীয় দলের ক্যারিয়ারের সেখানেই ইতি দেখেছিল অনেকেই। একই সিরিজে বাদ পড়ার কথা ছিল বাংলাদেশের ইতিহাসের অন্যতম সেরা খেলোয়াড় মুশফিকুর রহিমেরও। কিন্তু রান করে টিকে গিয়েছিলেন এই উইকেটকিপার ব্যাটার। নিউজিল্যান্ড সিরিজে সুযোগ পেয়ে বিশ্বকাপের টিকিট পেয়েছেন রিয়াদ। তবে তার আরও বেশি দেওয়ার ছিল বলে মনে করেন সাকিব।

বিশ্বকাপের আগে সবচেয়ে আলোচিত চরিত্র ছিলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ইংল্যান্ড সিরিজের পর রিয়াদ বাদ পড়লেও জাতীয় দলকে বিদায় জানাননি। বরং দলে ফেরার জন্য নিরলস পরিশ্রম চালিয়ে গেছেন। বিশ্বকাপে বাংলাদেশের প্রথম সেঞ্চুরিয়ান আশার আলো দেখতে পেয়েছিলেন ৭ নম্বর পজিশনে একের পর এক খেলোয়াড়ের ব্যর্থতায়। আফিফ হোসেন থেকে শুরু করে সৌম্য সরকার, শেখ মেহেদী, শামীম পাটোয়ারীদের খেলিয়েও এই পজিশনের জন্য ভরসা করার মতো কাউকে পাওয়া যায়নি।

ক্যারিয়ারের একটা সময় ৭ নম্বরে খেলেছিলেন রিয়াদ। তাই তার নামও এসেছে বিবেচনায়। অবশেষে বিশ্বকাপের আগে নিউজিল্যান্ড সিরিজে ডাক পান তিনি। সেখানে দুই ইনিংসে ছয় নম্বরে ব্যাট করে যথাক্রমে ৪৯ ও ২১ রান করেন। তামিম ইকবাল বিশ্বকাপ দলে ডাক না পাওয়ায় যখন অনেক আলোচনা তখন অনেকটা নিঃশব্দেই বিশ্বকাপ স্কোয়াডে ঢুকে পড়েছেন রিয়াদ।

তবে শুধু রিয়াদ নন, ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সেই সিরিজে বাদ পড়তে পারতেন দেশের ইতিহাসের অন্যতম সেরা মুশফিকুর রহিমও। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তৃতীয় ওয়ানডেতে ৭০ রানের ইনিংস না খেললে রিয়াদের পরিণতি হতে পারত মুশফিকেরও।

দেশের একটি স্পোর্টস চ্যানেলে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এমন বিস্ফোরক তথ্য দিয়েছেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। তিনি বলেন, ‘রিয়াদ ভাই ইংল্যান্ডের সাথে ৩য় ওয়ানডে খেলে বাদ পড়ে। ঐ সিরিজের ঐ শেষ ম্যাচের কথা আমার খুব ভালোভাবে মনে আছে। রিয়াদ ভাই এবং মুশফিক ভাই দুজনই ঐ সিরিজের পর বাদ পড়ত। দুজনের লাস্ট ইনিংস ছিল। আমি অন্তত ড্রেসিংরুমে জানতাম। যে খারাপ করবে, বাদ পড়ে যাবে।’

রিয়াদ বাদ পড়ার পর ঘরের মাঠে ও ইংল্যান্ডের মাঠে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে হেসেখেলে জয় পায় বাংলাদেশ। দল জয় পাওয়ায় উইনিং কম্বিনেশন ভাঙা হয়নি বলে দাবি করেন সাকিব, ‘ঐ সময়ের আগপর্যন্ত মুশফিক ভাই’র সময়টা ভালো যাচ্ছিল না। লাকিলি মুশফিক ভাই ৭০ রান করে। পরের সিরিজ থেকে উনি ছয়ে ব্যাটিং করে আর রান করা শুরু করে আলহামদুলিল্লাহ্‌। রিয়াদ ভাই ঐ ইনিংসে ভালো করতে পারেনি। তারপর থেকে রিয়াদ ভাই বাদ পড়ে। তাই আয়ারল্যান্ডের দুই সিরিজে উনি ছিলেন না বা এরপরও দলে ছিলেন না। আবার আয়ারল্যান্ডের সাথে দুটা সিরিজই জিতেছি। যেকোনো দলই হোক যখন জিততে থাকবে তখন তো স্বাভাবিকভাবেই ঐ দলই থাকে। স্বাভাবিকভাবেই রিয়াদ ভাই ছিল না। এতে আমি দোষও দেখি না গুণও না।’

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন