স্পোর্টস ডেস্ক:
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের হয়ে এখন সবচেয়ে বেশি হাফসেঞ্চুরি টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক লিটন কুমার দাসের। এর আগে সেটি ছিল এক সময়ের বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের। গতকাল সিলেটে বাংলাদেশ-নেদারল্যান্ডসের তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে ১৪তম হাফসেঞ্চুরি করেন লিটন। প্রথম ম্যাচে হাফসেঞ্চুরি করে সাকিবকে ছুঁয়েছিলেন তিনি।
এদিকে লিটন আরও এক পরিসংখ্যানে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে ছুঁয়েছেন। রিয়াদ ১৪১ ম্যাচে ৭৭টি ছক্কা হাঁকিয়েছেন। ২০ ওভারের খেলায় লিটন সেটি ছুঁয়ে ফেলেছেন মাত্র ১১০ ম্যাচে। আর একটি ছক্কা হাঁকালেই লাল-সবুজের জার্সিতে সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটে লিটন সর্বোচ্চ ছক্কার মালিক হবেন।
এদিকে ডাচ সিরিজে লিটন সর্বোচ্চ রানসংগ্রাহকও হয়েছেন। তিন ম্যাচে তিনি ব্যাট হাতে তুলেছেন ১৪৫ রান। তাতে এশিয়া কাপের প্রস্তুতিতে বাংলাদেশের অধিনায়ক সর্বোচ্চ নম্বরই পেয়েছেন বলা যায়। অথচ এই সিরিজের আগে তার ব্যাটিং নিয়ে ছিল বেশ দুশ্চিন্তা। এবার সেটি দূর করতে পেরেছেন।
সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচে টস জিতে শুরুতে বোলিং নিয়েছিলেন লিটন। তাতে বাংলাদেশের সব ব্যাটারকে পরখ করে দেখার সুযোগ হয়নি। তবে গতকালের ম্যাচে সেই সুযোগ করে দেন ডাচ অধিনায়ক স্কট এডওয়ার্ডস। তিনি টস জিতে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ে আমন্ত্রণ জানান। ৫ পরিবর্তন নিয়ে নামা টাইগার বাহিনীর হয়ে ওপেনিংয়ে নামেন লিটন ও সাইফ হাসান। ঝড়ো শুরুর পরে সাইফ ফিরলেও অধিনায়ক লিটন ব্যাট চালিয়েছেন তরবারির মতো। শেষ পর্যন্ত ৪৬ বলে ৭৩ রান করেন।
তবে ম্যাচটিতে হাতে যেন মাখন মেখে ফিল্ডিংয়ে নেমেছিল নেদারল্যান্ডস। শারিজ আহমেদ দুটি ক্যাচ মিস করার পর ক্যাচ ফেলেন টিম প্রিঙ্গলও। সাইফ একবার ও লিটন দুবার জীবন পান। এর বাইরে হতাশ করেছেন তাওহীদ হৃদয়। তাকে দেখে এক মুহূর্তের জন্য আত্মবিশ্বাসী মনে হয়নি। একাধিকবার বড় শট খেলার চেষ্টা করলেও ব্যাটে-বলে হয়ে উঠছিল না। শেষ পর্যন্ত বড় শট খেলতে গিয়েই তার মন্থর ইনিংস থেমে যায়। ১৪ বলে মাত্র ৯ রান করে ফেরেন তিনি। আগের দুই ম্যাচে ব্যাট হাতে নামার দরকার পড়েনি। শেষ ম্যাচে নেমে পারেননি সফল হতে।
শেষ দিকে জাকের আলী অনিক ও নুরুল হাসান সোহান হাত খুলে খেলার চেষ্টা করেন। দুজনে কয়েকটি দৃষ্টিনন্দন ছক্কা হাঁকান। কিন্তু একাধিকবার বৃষ্টির বাধায় সেই দৃশ্য কিছুটা মন্থর হয়ে ওঠে।