বিনোদন ডেস্ক:
চলতি মাসের ১৬ তারিখ বলিউড অভিনেতা সাইফ আলি খানের ওপর হামলার ঘটনায় এবার নদিয়া থেকে গ্রেপ্তার হলেন এক নারী। পিটিআই সংস্থার খবর অনুযায়ী, সূত্র থেকে খবর পেয়ে সোমবার (২৭ জানুয়ারি) মুম্বাই পুলিশ তল্লাশি চালায় নদিয়া জেলার বিভিন্ন এলাকায়। শেষমেশ চাপড়া অঞ্চল থেকেই পুলিশের জালে ধরা পড়ে ওই নারী।
পুলিশ সূত্রে খবর, গ্রেপ্তার হওয়া এই নারীর সঙ্গে সাইফের হামলার ঘটনার মূল অভিযুক্ত শরিফুল ইসলাম শেহজাদের যোগ রয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, এই নারীর সাহায্যেই বাংলাদেশ থেকে ভারতে পা দেয় শরিফুল।
আরও জানা গেছে, গ্রেপ্তার হওয়া নারী আসলে মুর্শিদাবাদের আন্দুলিয়া গ্রামের বাসিন্দা। তাকে বর্তমানে ট্রানজিট রিমান্ডে মুম্বাইয়ে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
গত ১৬ জানুয়ারি মধ্যরাতে নিজের বাড়িতেই সাইফ আলি খানকে আক্রমণ করেন অজ্ঞাত পরিচয়ের এক ব্যক্তি। এলোপাথারি কোপানো হয় নায়ককে। যদিও এই ঘটনার প্রায় পুরোটাই সকলের জানা এখন।
ভয়ঙ্কর কাণ্ডের পর বেশ কয়েক দিন হাসপাতালেই ভর্তি ছিলেন নায়ক। এখন অনেকটাই সুস্থ। বাড়ি ফিরেছেন অভিনেতা। ইতোমধ্যেই সেই রাতের ঘটনা নিয়ে বিস্তর জলঘোলা হয়েছে। কিন্তু বুধবার মধ্যরাতে কী ঘটেছিল তা সঠিক একমাত্র সাইফই বলতে পারতেন।
কারণ সে রাতে ওই পরিস্থিতিতে নায়কই মোকাবিলা করেছিলেন হামলাকারীকে। বাড়ি ফিরে পুলিশের কাছে সেই রাতের ঘটনার পুনঙ্খানুপুঙ্খ বর্ণনাও দিয়েছেন সাইফ। বয়ান রেকর্ড করেছে মুম্বাই পুলিশ।
এরপর ২৩ জানুয়ারি সন্ধ্যায় নিজের বক্তব্য পুলিশকে জানিয়েছেন অভিনেতা। সাইফ তার বয়ানে বলেন, ‘সেই রাতে তখন আমি আর কারিনা ছিলাম ১১ তলায় নিজেদের শোওয়ার ঘরে। রাতে আচমকাই শুনতে পাই ছোট ছেলে জাহাঙ্গীরের চিত্কার।’
সাইফ জানিয়েছেন, ছেলের চিত্কার শুনে সঙ্গে সঙ্গে তার ঘরে যান সাইফ এবং কারিনা। সেখানেই ছিলেন হামলাকারি। গৃহকর্মী আলিয়ামা ফিলিপসও ভয়ে পেয়ে চিত্কার করছিলেন। আর ভয়ঙ্কর কাঁদছিলেন জেহ।
তখনই সেই হামলাকারিকে থামানোর চেষ্টা করেন তিনি। তখনই সেই ব্যক্তি সাইফের পিঠে, ঘাড়ে এবং হাতে বেশ কয়েক বার ছুরির আঘাত করেন। তারপরেও সাইফ অনুপ্রবেশকারীকে ঘরের ভেতরে ঠেলে দেন।