সংকল্প ডেস্ক:
মহামারি করোনাভাইরাস সংক্রমিত রোগ কোভিড-১৯ প্রতিরোধ সক্ষম ভ্যাকসিন আসলেও আগামী বসন্তে মানুষের জীবনযাপন স্বাভাবিক হবে না বলে সতর্ক করেছেন একদল বিজ্ঞানী। অথচ এই ভ্যাকসিনকেই সবচেয়ে কাঙিক্ষত বস্তু হিসেবে দেখা হয়; যা মহামারিকে নির্মূল করবে। খবর ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির।
যুক্তরাজ্যের রয়্যাল সোসাইটির মাধ্যমে সম্মিলিতভাবে একদল বিজ্ঞানী ও গবেষকরা এক প্রতিবেদনে বলছেন, ভ্যাকসিন কতটুকু কি করতে পারে এবং কবে নাগাদ; এ সম্পর্কে বাস্তববাদী হওয়া প্রয়োজন আমাদের। ভ্যাকসিন আসতে এক বছর সময় লাগতে পারে, ফলে ধীরে ধীরে প্রত্যাহার করতে হবে বিধিনিষেধগুলো।
বিশ্বজুড়ে বিজ্ঞানী ও গবেষকরা দুই শতাধিক সম্ভাব্য করোনা ভ্যকসিন তৈরি করেছে। কার্যকর ও সুরক্ষিত কিনা তা নিয়ে চলছে নানা স্তরে পরীক্ষা-নিরিক্ষা। বেশি কিছু রয়েছে পরীক্ষার শেষ ধাপে। কাজটি হচ্ছে তুমুল গতিতে।
প্রখ্যাত ইম্পেরিয়াল কলেজ অব লন্ডনের ন্যাশনাল হার্ট ও লাঙ ইনস্টিটিউটের ডা. ফিওনা কুলে ভ্যাকসিন নিয়ে আশার বাণী শোনালেও সতর্ক করেছেন। তিনি এ প্রসঙ্গে বলছেন, ‘মহামারির অবসানে একটি কার্যকর ভ্যকসিন অত আশা জাগানোর বিষয়, কিন্তু আমরা জানি ভ্যাকসিন তৈরির ইতিহাস নানা রকম ব্যর্থতায় পূর্ণ।’
ব্রিটিশ সরকারের বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টা ছাড়াও অনেকে আশাবাদী যে, চলতি বছরের মধ্যেই কিছু মানুষ ভ্যাকসিন পাবেন এবং আগামী বছরের শুরুতেই গণহারে ভ্যাকসিন দেয়ার কাজটি শুরু হবে। কিন্তু রয়্যাল সোসাইটির বিজ্ঞানীরা সতর্ক করে বলছেন, এটা একটা দীর্ঘ প্রক্রিয়া। সবার কাছে ভ্যাকসিন পৌঁছাতে অনেক সময় লাগবে।
ইম্পেরিয়াল কলেজ অব লন্ডনের ইমিউনোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক চার্লস ব্যাংহাম বলছেন, ‘আমরা জানি না কবে একটি কার্যকর করোনা ভ্যাকসিন আসবে এবং কতটা কার্যকর হবে। এর চেয়ে বড় প্রশ্ন হচ্ছে কত দ্রুত এটা সবার কাছে পৌঁছানো সম্ভব। যদি কার্যকরী হয়ও তাহলেও সহসাই জীবন স্বাভাবিক হচ্ছে না।’
ইম্পেরিয়াল কলেজ অব লন্ডনের কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের প্রধান অধ্যাপক নিলয় শাহ বলছেন, ‘যদি একটি কার্যকর ভ্যাকসিন আসেও তার মানে এই নয় যে কয়েক মাসের মধ্যে সবাই ভ্যাকসিনটি পেয়ে যাবে। সহসাই যে সব স্বাভাবিক হবে এমনটা নয়। সামনে আমাদের আরও অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে।’