আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
কিয়েভের আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় হামলা জোরদার হওয়ায় এখন সর্বাত্মক রুশ হামলার জন্য প্রস্তুত হচ্ছে ইউক্রেনের রাজধানী। শনিবার (১২ মার্চ) ইউক্রেনের প্রায় সব অঞ্চলেই শোনা গেছে বিমান হামলার সতর্কসংকেত।
সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা জানায়, রুশ বাহিনী ইউক্রেনের খারকিভ, চেহেরনিভ, সুমি ও মারিউপোলের মতো শহরগুলো ঘিরে রেখেছে। সেখানে চালানো হচ্ছে একের পর এক বোমা হামলা। এ ছাড়া কিয়েভের আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় রুশ ও ইউক্রেনীয় বাহিনীর মধ্যে চলছে ব্যাপক লড়াই। রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা বলছেন, রাশিয়ার সেনারা যেভাবে হামলার মাত্রা বাড়িয়েছে, চূড়ান্তভাবে তা কিয়েভে সর্বাত্মক হামলারই ইঙ্গিত।
এদিকে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ দখলে নিতে হলে বোমা হামলা চালিয়ে সবাইকে হত্যা করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।
এর আগে, ইউক্রেনে পশ্চিমা অস্ত্রবহর উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়েছে রাশিয়া। শনিবার (১২ মার্চ) রাশিয়ার উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই রিয়াবকভ দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে দেওয়া ভাষণে বলেছেন, আমরা যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্ক করে দিয়েছি যে বিভিন্ন দেশ থেকে ইউক্রেনে অস্ত্র পাঠানো শুধু একটি বিপজ্জনক পদক্ষেপ নয়, এটি এমন একটি পদক্ষেপ যা এই অস্ত্রবহরগুলোকে বৈধ লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করতে পারে।
পশ্চিমারা ইউক্রেনের সেনাদের কাঁধে বহনযোগ্য আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা, ট্যাংক ধ্বংস করার ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ করছে জানিয়ে রুশ উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ওয়াশিংটন মস্কোর সতর্কতাকে গুরুত্বের সঙ্গে নেয়নি। ফলে ইউক্রেনের বিষয়ে কোনো ‘আলোচনা প্রক্রিয়ায়’ যাচ্ছে না রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র।
রাশিয়া অভিযান শুরু করার আগে অর্থাৎ মস্কো যখন ইউক্রেন সীমান্তে সেনা মোতায়েন করছিল, তখন থেকেই বারবার পশ্চিমা শক্তির কাছে সামরিক সহায়তা চেয়ে আসছেন ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। তিনি সতর্ক করে দিয়েছিলেন যে মস্কো শুধু সীমান্তেই থেমে থাকবে না।
এদিকে রুশ সামরিক অভিযানের হাত থেকে বাঁচতে প্রতিদিনই ইউক্রেন ছেড়ে পালাচ্ছেন হাজার হাজার মানুষ। জাতিসংঘের তথ্য বলছে, অভিযান শুরুর পর এ পর্যন্ত ২৫ লাখের বেশি মানুষ প্রতিবেশী দেশ পোল্যান্ড ও রোমানিয়াসহ বিভিন্ন দেশে আশ্রয় নিয়েছেন।