মোংলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধি:
জনবান্ধব ও মেধাবী হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা হিসেবে সুখ্যাতি রয়েছে শিক্ষানুরাগী সরদার আব্দুল হান্নানের। কিন্তু স্বাধীনতা বিরোধী ট্যাগ লাগিয়ে কেসিসির সাবেক মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেকের ডিও লেটারে (আধা সরকারি সুপারিশ পত্র) অন্যায় ভাবে তাকে বদলী করে মোংলা পোর্ট পৌরসভার তৎকালীন মেয়র জুলফিকার আলী। ২০১২সালের ২০মার্চ তাকে তার পরিবার থেকে বিছিন্ন করে পাশ্ববর্তী মোড়েলগঞ্জ পৌরসভায় বদলী করা হয়। শারীরিকভাবে চরম অসুস্থ হয়ে অসহনীয় দুর্ভোগের মধ্যদিয়ে তাকে প্রতিদিন মোংলা থেকে মোড়েলগঞ্জ পৌরসভায় কাজে যোগদান করতে হয়। তবে দীর্ঘ কয়েক বছর পর সেই দুর্ভোগের অবসান হয়েছে।
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোঃ মাহবুব আলম স্বাক্ষরিত এক আদেশে ২০২৪সালের ১৭অক্টোবর হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা সরদার আব্দুল হান্নানকে মোড়েলগঞ্জ থেকে মোংলা পোর্ট পৌরসভায় বদলী করেন। সেই মোতাবেক ৩নভেম্বর তার যোগদান পত্র গৃহীত হলে ৫নভেম্বর মোংলা পোর্ট পৌরসভায় প্রথম কার্যদিবসের আনুষ্ঠানিক অফিস করেন তিনি।
এ সময় তাকে পৌরসভার অন্যান্য কর্মকর্তা, কর্মচারীসহ মোংলা-রামপাল ছাত্র প্রতিনিধির একটি দল ফুলেল শুভেচ্ছা দিয়ে অভিনন্দন জানান।
এ প্রসঙ্গে মোংলা পোর্ট পৌরসভায় সদ্য যোগদান করা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা সরদার আব্দুল হান্নান বলেন, ২০১২সালের ২০মার্চ পৌরসভার তৎকালীন মেয়র জুলফিকার আলীর রোষানলের শিকার হলে খুলনা সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক ডিও লিটার (আধা সরকারি সুপারিশ পত্র) দিয়ে অন্যায়ভাবে তাকে পার্শ্ববর্তী মোড়েলগঞ্জ পৌরসভায় বদলী করেন। মরণব্যাধি ক্যানসার রোগে আক্রান্ত হয়েও ওই দুই মেয়রের সকল প্রকার অন্যায় সহ্য করে তিনি তখন মোড়েলগঞ্জ পৌরসভায় যোগদান করি। তবে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় আবার তাকে তার পুরনো কর্মস্থল মোংলা পোর্ট পৌরসভায় বদলি করায় তিনি সন্তোষ প্রকাশ করেন।
তবে মোংলায় যোগদান করায় আবার তাকে এখান সরিয়ে দিতে একটি কুচক্রী মহল উঠেপড়ে লেগেছে। পৌরসভায় বিগত দিনে ওই মহলটির করা লাগামহীন দুর্নীতি ফাঁস হওয়ার ভয়ে তারা এই অপতৎপরতা চালাচ্ছেন বলেও জানান তিনি।