রাজনীতি ডেস্ক:
সরকার নিজে ব্যবসা করবে না তবে তার পরিবেশ তৈরি করতে সাহায্য করবে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক।
শনিবার (১৭ জুন) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধু ইনোভেশন গ্র্যান্ট (বিগ) ২০২৩ এর গ্র্যান্ড ফিনালের অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।
‘সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আজকের এ ডিজিটাল বাংলাদেশ’- একথা উল্লেখ করে পলক বলেন, ‘সরকার নিজে ব্যবসা করবে না তবে ব্যবসা করার পরিবেশ এবং নতুন উদ্যোক্তাদের জন্য ব্যবসায়িক পরিবেশ সহজ করতে সাহায্য করবে।’
তিনি বলেন, আগে পত্রিকায় পাতায় প্রতিনিয়ত টেন্ডার নিয়ে শিরোনাম হতো, কখনও টেন্ডার বক্স ছিনতাই কিংবা কখনও টেন্ডারের জন্য মারামারি গোলাগুলি দেখা যেত। কিন্তু এখন আর এমন দৃশ্য দেখা যায় না। সরকারের ই-টেন্ডারের কারণে আজকে এসব আর দেখা যায় না।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি সালমান এফ রহমানকে উদ্দেশ করে পলক বলেন, ‘তার (সালমান) সঙ্গে যখনই আমার দেখা হয় তার কাছ থেকে আমি তিনটি জিনিস পাই- উপদেশ, পরামর্শ এবং দিকনির্দেশনা।’
পলক বলেন, প্রায় ৩০ শতাংশ স্টার্টআপ গত ছয় বছরে তৈরি হয়ে এখনও টিকে আছে; যাদের আইসিটি ডিভিশন থেকে ১০ লাখ টাকা দেয়া হয়েছিল। আইসিটি ডিভিশনের তিনটি লক্ষ্য হলো, ইকো সিস্টেমের উন্নয়ন, স্টার্টআপ পলিসি, ইনোভেটর এন্ট্রাপ্রেনারশিপ তৈরি করা।
সরকারের অর্থনৈতিক সহযোগিতার মাধ্যমে স্টার্টআপদের ফান্ডিংয়ে সহযোগিতা করা যায় সেই বিষয়ে কাজ করবে আইসিটি ডিভিশন। ২০২৫ সালের মধ্যে ৩০ লাখ তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থান তৈরির আশ্বাস দেন প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ।
একই অনুষ্ঠানে ‘শেখ হাসিনার বিবেক একদম পরিষ্কার’ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বলেন, বিদেশিরা কে কি বলছেন তা দেখার বিষয় না। সরকার যা করছে দেশের জন্য করছে আর দেশের উন্নয়নের জন্য করছে।
‘আমাদের দেশে বিশাল একটি জনসংখ্যা বাস করে। তাই যারা নতুন উদ্যোক্তা রয়েছেন তাদের জন্য বড় সফলতার জায়গা হলো এদেশের এ বড় জনসংখ্যা। সবাইকে প্রযুক্তির বিষয়ে সতর্ক করে তিনি বলেন, প্রযুক্তি অনেক দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে, প্রযুক্তির সঙ্গে মানুষ তাল মিলিয়ে চলতে পারবে কি না এটাই এখন বড় চ্যালেঞ্জ। প্রযুক্তির চ্যালেঞ্জ ভবিষ্যতে কিভাবে মোকাবিলা করব সেই বিষয়ে সবাইকে সচেতন হতে হবে,’ যোগ করেন তিনি।
তথ্যপ্রযুক্তি খাতের তরুণ উদ্যোক্তাদের উৎসাহিত করতে বিগ-২০২৩ এর আওতায় ৭ কোটি টাকা অনুদান দিয়েছে সরকার। ৫২টি স্টার্টআপ প্রতিষ্ঠানকে এ অর্থ দেয়া হয়েছে। ৫০টি প্রতিষ্ঠানকে ১০ লাখ করে ৫০ লাখ এবং যৌথভাবে বিজয়ী মার্কোপলো এআই ও ফ্রেবিক্স লাগবে লিমিটেডকে ১ কোটি করে ২ কোটি টাকা পুরষ্কার দেয়া হয়।