নিজস্ব প্রতিনিধি :
র্যাব এর সাবেক ও বর্তমান সাত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে নজিরবিহীন ও অবমাননাকর মার্কিন নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ ও বিশ্বাসযোগ্য ব্যাখ্যা প্রদান করুন। দেশে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডসহ গুরুতর মানবাধিকার লংঘনের ঘটনা মার্কিন সার্টিফিকেটের অপেক্ষা রাখেনা।
গতরাতে শেষ হওয়া বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্মেলনে গৃহীত এক প্রস্তাবে বাংলাদেশে মানবাধিকার লংঘনের অভিযোগে র্যাব এর সাবেক ও বর্তমান সাত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা ও তাদের সম্পদ জব্দ করার ঘোষণার ব্যাপারে সরকারের পক্ষ থেকে পূর্ণাঙ্গ ব্যাখ্যা দেবার আহবান জানানো হয়েছে। প্রস্তাবে এই নিষেধাজ্ঞাকে বাংলাদেশের জন্য নজিরবিহীন ও চরম অবমাননাকর হিসাবে আখ্যায়িত করা হয়েছে।
প্রস্তাবে বলা হয় বাংলাদেশে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডসহ রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস ও মানবাধিকার লংঘনের ধারাবাহিক ঘটনাবলী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সার্টিফিকেটের অপেক্ষা রাখেনা। গত দুই দশক ধরে দেশের মানুষের এ সম্পর্কে ভয়াবহ অভিজ্ঞতা রয়েছে।
প্রস্তাবে বলা হয় “বাংলাদেশে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ঘটে না” সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের এই ধরনের বক্তব্য সত্যের অপলাপ। এভাবে কথা বললে সরকারের ন্যুনতম বিশ্বাসযোগ্যতা বলে আর কিছু থাকেনা।প্রস্তাবে বলা হয় যুক্তরাষ্ট্রে গুরুতর মানবাধিকার লংঘনের ঘটনা ঘটে বলে নিজেদের পাপ ও অপরাধ এড়িয়ে যাওয়ার কোন অবকাশ নেই। সেগুনবাগিচায় স্বাধীনতা হলে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য বহ্নিশিখা জামালীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাপ্তি অধিবেশনে বক্তব্য রাখেন পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক,কেন্দ্রীয় নেতা আকবর খান, আবু হাসান টিপু, আনছার আলী দুলাল, সজীব সরকার রতন, রাশিদা বেগম, শহীদুল আলম নান্নু,মাহমুদ হোসেন , ফিরোজ আহমেদ, সাইফুল ইসলাম, স্নিগ্ধা সুলতানা ইভা , অরবিন্দু বেপারি বিন্দু, আনোয়ার আহমদ অনু,শিকদার হারুন মাহমুদ,ডাঃ মাহবুবুর রহমান প্রমুখ।
সাংগঠনিক সম্মেলনে পার্টির ১০ম কংগ্রেসসহ সাংগঠনিক বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় কমিটিতে কো – অপসান
……………………………………………
সাংগঠনিক সম্মেলনে আনোয়ার আহমেদ অনু ও সিকদার হারুন রশীদ মাহমুদকে কেন্দ্রীয় কমিটির পূর্ণাংগ সদস্য এবং কামরুজ্জামান ফিরোজ ও জসিমউদদীন রাড়ীকে বিকল্প সদস্য হিসাবে কো-অপ্ট করা হয়েছে।
শ্রমিকশ্রেণীর আন্তর্জাতিক সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে সম্মেলন শেষ হয়েছে।