আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
শিশুদের প্রতি অবহেলার কারণে পাকিস্তানে শিশু নির্যাতন ও শিশুদের ওপর যৌন নিপীড়নের ঘটনা বেড়েই চলছে। শুধু ২০২২ সালেই দেশটিতে ধর্ষণ ও অন্যান্য নির্যাতনের মাত্রা ৩৩ শতাংশ বেড়েছে। পাশাপাশি একই বছরে অনলাইনে শিশু নির্যাতনের ক্ষেত্রেও তৃতীয় স্থান দখল করেছে পাকিস্তান। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সাংবাদিকদের সমন্বয়ে পরিচালিত নিউজ পোর্টাল জাস্ট নিউজ এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে।
শিশুদের বিরুদ্ধে যৌন সহিংসতা প্রতিরোধে কাজ করা এনজিও সাহিলের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে জানানো হয়, ২০২২ সালে পাকিস্তানে ৪ হাজার ২৫৩ শিশু যৌন ও অন্যান্য সহিংসতার শিকার হয়েছে, যা গড়ে দিনে প্রায় ১২টির মতো ঘটনা ঘটেছে। এটি যেকোনো দেশের জন্যই একটি ভয়াবহ পরিসংখ্যান।
এসব নিপীড়নের ভুক্তভোগীদের বেশিরভাগই মেয়ে এবং তাদের বয়স ছয় থেকে ১৫ বছরের মধ্যে। এ ছাড়া বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তারা নিকটাত্মীয়দের দ্বারা এসব নিপীড়নের শিকার হয়েছেন।
জাস্ট নিউজ বলছে, এই ধরনের ঘটনাগুলো নির্যাতিত শিশুদের মধ্যে মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যার বিশাল ঢেউ তৈরি করেছে। এই শিশুরা বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে উদ্বেগ, বিষণ্ণতা এবং আত্মসম্মান হারানোর মানসিক যন্ত্রণার শিকার হচ্ছে। দেশটিতে এটা মহামারির মতো বৃদ্ধি পাচ্ছে যেখানে সরকার সবচেয়ে কম যত্নবান।
সোশ্যাল মিডিয়া সাইট এবং ডার্ক ওয়েবের বিস্তারের সঙ্গে শিশু যৌন নির্যাতনের ভয়াবহতা বহুগুণ বেড়েছে, যেখানে শিশু পর্নোগ্রাফি দেদারসে বিক্রি হচ্ছে। অনলাইনে নির্যাতিত শিশুরাও শারীরিকভাবে নির্যাতিতদের সমান বয়সের। তাদের বয়স ৯ থেকে ১৩ বছরের মধ্যে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ইন্টারনেটে আপলোড করা শিশু নির্যাতনের দুই মিলিয়নেরও বেশি ঘটনা ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সির (এফআইএ) মাধ্যমে নথিভুক্ত করেছে। এই ধরনের অপরাধগুলো যাচাইয়ের দায়িত্ব পালন করছে তারা।