রাজনীতি ডেস্ক :
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস সরকারের উদ্দেশে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, সরকারকে আর কোনো ছাড় দেয়া হবে না, এবার প্রতিরোধ হবে।
তিনি বলেন, বহু খুন, হত্যা দেখেছি। আর আমরা তা দেখতে চাই না। এবার প্রতিরোধ হবে, এবার প্রতিবাদ হবে।
শনিবার (১৬ জুলাই) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এই হুঁশিয়ারি দেন। জাতীয়তাবাদী যুব দল মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের উদ্যোগে যশোরের যুবদল নেতা বদিউজ্জামান ধনি হত্যার প্রতিবাদে এই বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
গত ১২ জুলাই যশোর শহরের বেচপাড়া চোপদারপাড়া এলাকায় যুবদলের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি বদিউজ্জামান ধনিকে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা।
মির্জা আব্বাস বলেন, আপনারা এখন প্রস্তুতি নিন, এই সরকারের পতন ঘটাতে হবে। এক বদিউজ্জামান ধনির হত্যার বিচার করে লক্ষ মানুষের হত্যার বিচার করা যাবে না এই সরকারের পতন না করা পর্যন্ত।
তিনি বলেন, বদিউজ্জামান ধনির খুনকে সরকার বিএনপির ওপর দিয়ে চালিয়ে দিতে চাচ্ছে। বলছে যে এটা অভ্যন্তরীণ কোন্দাল। কিন্তু আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, এটা কোনো অভ্যন্তরীণ কোন্দল নয়। এই হত্যাকাণ্ডটা আওয়ামী লীগ ঘটিয়েছে।
এ সময় হত্যাকাণ্ডের ঘটনার বিচার চেয়ে মির্জা আব্বাস বলেন, যদি এই হত্যাকাণ্ডের বিচার না হয় তবে বিএনপি এর বিচার করবে।
মির্জা আব্বাস বলেন, পত্রিকায় আজকে আসছে বিএনপি নাকি একটি পতিত দল। যিনি (ওবায়দুল কাদের) পতিত দল বলেছেন, তার সম্পর্কে দুই-একটা কথা না বললেই নয়। একসঙ্গে (১/১১ সময়কাল) জেলে ছিলাম। তিনি সারাদিন জেলখানায় কান্নাকাটি করতেন। ওই সময়ে অনেকের সামনেই কান ধরে বললেন, আমি জীবনে আর রাজনীতি করমু না। আজকে উনার মুখ থেকে বেরিয়েছে পতিত দল…। উনার সম্পর্কে কথা হয়েছে কাউয়া কাদের… তার মুখ থেকে বের হয়েছে পতিত দল কথা যার অর্থ আমি বুঝতে পারিনি।
তিনি বলেন, বিএনপি যদি পতিত দল হয়ে থাকে তাহলে এত ভয় কেন আপনাদের? আমাদেরকে মিছিল-মিটিং করতে দেন না। একটা পতিত দল মিছিল করবে, মিটিং করবে আপনাদের ভয়ের কি আছে?
মহানগর উত্তর যু্বদলের আহ্বায়ক শফিকুল ইসলাম মিল্টনের সভাপতিত্বে এবং উত্তরের সদস্য সচিব মোস্তফা জগলুল পাশা পাপেল ও দক্ষিণের খন্দকার এনামুল হক এনামের সঞ্চালনায় সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আবদুস সালাম, রুহুল কবির রিজভী, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, সাইফুল আলম নিরব, যুবদলের সভাপতি মামুন হাসান, সাধারণ সম্পাদক আবদুল মোনায়েম মুন্না, মহানগর বিএনপির আমিনুল হক, রফিকুল আলম মজনু, যুবদলের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি কামারুজ্জামান বাবুল, সাংগঠনিক সম্পাদক ইসাহাক সরকার প্রমুখ বক্তব্য দেন।
