হোম খুলনানড়াইল সময়ের দাবী নড়াইলের বীর শ্রেষ্ট নূর মোহাম্মাদ ষ্টেডিয়ামকে পূনার্ঙ্গ ষ্টেডিয়ামে রুপান্তর করার

মোস্তফা কামাল, নড়াইল :

নড়াইলের বীর শ্রেষ্ট নূর মোহাম্মাদ ষ্টেডিয়াম । ১৯৯৬ সালে নড়াইল জেলা ষ্টেডিয়াম থেকে নাম পরিবর্তন হয়ে নূর মোহাম্মাদ নামে করা হলেও লাগেনি উন্নয়নের কোন ছোয়া। আলাদা কোন মাঠ না থাকায় প্রতিদিন এই একই মাঠে অনুশীলন করতে হয় ফুটবল, হ্যান্ডবল, ক্রিকেট, আরচারী, কাবাডী, ভারউত্তোলন সহ প্রায় ১০টি ইভেন্টের। ফলে সঠিক ভাবে অনুশীলন করতে না পারায় ব্যহত হচ্ছে খেলোয়াড়েদের মান উন্নয়নের। খেলোয়াড়, প্রশিক্ষক সকলের দাবী দ্রæত বীর শ্রেষ্ট নূর মোহাম্মাদ ষ্টেডিয়ামকে পূনার্ঙ্গ ষ্টেডিয়ামে রুপান্তর করার।

প্রায় ছয় একর আয়তনের এই খেলার মাঠটির নাম ছিল নড়াইল ষ্টেডিয়াম। স্বাধীনতার ২ যুগ পর নড়াইলের সূর্য্য সন্তান বীর শ্রেষ্ট নূর মোহাম্মাদ নামে ১৯৯৬ সালে নড়াইল জেলা ক্রীড়া সংস্থা নড়াইল জেলা ষ্টেডিয়ামের নাম পরিবর্তন করে বীর শ্রেষ্ট নূর মোহাম্মাদ নামকরন করে। বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনে নড়াইল জেলার বিশেষ অবদান থাকার পরেও বীর শ্রেষ্ট নূর মোহাম্মাদ ষ্টেডিয়ামে কোন উন্নয়নের ছোয়া লাগেনি। অথচ ভলিবল, ক্রিকেট, মহিলা হকি, কুস্তি, কাবাডী, টেবিল টেনিসে বিশেষ অবদান রেখে চলেছে নড়াইলের ক্রীড়াঙ্গনে। ক্রীড়াঙ্গনে প্রতিদিন প্রতি নিয়মিত নতুন নতুন খেলোয়াড় তৈরী সূতিগর হিসাবে পরিচিত নড়াইল। সকলের দাবী বীর শ্রেষ্ট নূর মোহাম্মাদ ষ্টেডিয়ামকে পূনাঙ্গ ষ্টেডিয়ামে রুপান্তর করলে সঠিক ভাবে অনুশীলন করতে পারলে বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনে আরো বেশী অবদান রাখতে পারবে নড়াইলের খেলোয়াড়রা । পূর্ণাঙ্গ ষ্টেডিয়ামে রুপান্তরিত হলে এই সঙ্গে সব ধরণের খেলা এবং প্রশিক্ষনের সুযোগ পাবে খেলোয়াড়রা। ১৯৯৬ সালের আগে ষ্টেডিয়ামের চারিদিকে খোলা ছিল, সেই খোলা মাঠে স্থানীয় খেলোয়াড়েরা খোলতো ফুটবল । ২০০০ সালের পর থেকে অপরিকল্পিতি ভাবে মাঠটি ধীরে ধীরে সংস্কার করলেও পরিকল্পনা করা হয়নি মাঠের কোন মান উন্নয়ন। নিয়মিত প্রশিক্ষন সহ এখন এই মাঠে জাতীয় পর্যায়ের অনেক খেলা অনুষ্ঠিত হয়। খেলা হলে বন্ধ রাখতে হয় প্রশিক্ষন আর প্রশিক্ষন অনিয়মিত হয়ে পড়লে মানের ধারাবাহিকতা থাকেনা। তাই খেলোযাড় আর প্রশিক্ষকদের দাবী জিমনেশিয়াম সহ ইনডোর ইভেন্টের জন্য ইনডোর ষ্টেডিয়াম নির্মাণ করে জেলার ক্রীড়ার মান উন্নয়ন ও খেলোয়াড় তৈরীতে সুযোগ করে দিতে পারলে ক্রীড়াঙ্গনে আরো অনেক বেশী অংশগ্রহন ও অবদান রাখতে পারবে এ জেলার খেলোযাড়েরা।

মহিলা কাবাড়ি দলেন কোচ তরিকুল ইসলাম শান্ত বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী প্রতিশ্রুতি ছিল বীরশ্রেষ্টদের নামে যে ষ্টেডিয়াম আছে সেগুলো অত্যাধুনিক করার । দীর্গদিন ধরে আমরা এই দাবীটা করে আসছি । আমাদের নড়াইলে ১৮টি ইভেন্টে ওপর প্যাকটিস হয়। মহিলা কাবডির জন্য কোন প্যাকটিসের ভালো জায়গা নাই । বাগানের মধ্যে ঘিরে প্যাটিস করি। আমাদের দাবী দ্রুত যেন মাঠটি অত্যাধুনিকায়ন করা হোক।

ক্রিকেট কোচ মোহাম্মাদ মামুন জানান, পূনার্ঙ্গ ষ্টেডিয়াম না হওয়ার কারণে খোলোযারবরা বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা থেকে বি ত হচ্ছে। আমারা দ্রুত বাস্তবায়ন চাই।

আর এই বিষয়ে জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারন সম্পাদক আশিকুর রহমান মিকু জানালেন, বীর শ্রেষ্ট নূর মোহাম্মাদ ষ্টেডিয়ামকে পূনার্ঙ্গ ষ্টেডিয়ামে রুপান্তর করার কথা প্রায় ৪৭ কোটি টাকার প্রকল্প পাশ হয়েছে, আগামী সংসদ নির্বাচনের পর এর কাজ শুরু হবে বলে আশা করছেন তিনি।

জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারন সম্পাদক আশিকুর রহমান মিকু এই বক্তব্যে ক্রিড়ামোদীরা দেরীতে হলেও আশার আলো দেখছেন নড়াইলের খোলোযারদের দাবী দ্রুত বাস্তবায়িত হোক এই প্রকল্প।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন