জাতীয় ডেস্ক :
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমান বলেছেন, আগামী ১০ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের সম্মেলন ডেকে লাভ নেই। ১০ তারিখ রাজপথ জনগণের দখলে থাকবে। থাকবে আন্দোলনকারীদের দখলে।
শনিবার (৫ নভেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের তৃতীয় তলার হল রুমে বাংলাদেশ এলডিপি আয়োজিত প্রতিবাদ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সরকারের পদত্যাগ, খালেদা জিয়ার মুক্তি ও নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনের দাবিতে এই প্রতিবাদ সভার আয়োজন করা হয়।
‘শেখ হাসিনার অধীনে কোনো নির্বাচন করতে দেয়া হবে না’ মন্তব্য করে আমান বলেন, ‘সংবিধান জনগণের জন্য, দেশের মানুষ রক্ত দিয়ে সেই সংবিধান পরিবর্তন করে নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার আনবে। সেই সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে।’
তিনি বলেন, বিএনপি কর্মীদের গ্রেফতার করে, মামলা সচল করে লাভ হবে না। আন্দোলনে দেশ অচল করে দেয়া হবে। গুলি আসলেও পিছপা হবে না বিএনপি।
বিএনপির গণসমাবেশে আওয়ামী লীগের বাধা না দেয়ার দাবি মিথ্যা উল্লেখ করে তিনি বলেন, তিনি (ওবায়দুল কাদের) বলেছেন বিএনপির সমাবেশে বাধা দেয়া হচ্ছে না। অথচ দেশের মানুষ সবাই দেখছে কি করা হচ্ছে। আজকে বরিশালে সবকিছু বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। বরিশাল আজকে অবরুদ্ধ। বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন, সেলিনা সুলতানা নিশিতাসহ অনেক নেতার গাড়িতে সরকারি দলের নেতা কর্মীরা হামলা করে প্রায় ২৫টি গাড়ি ভাঙচুর করেছে।
আমান উল্লাহ আমান বলেন, ‘খালেদা জিয়া সম্পর্কে শেখ হাসিনা যেকথা বলেছেন তাতে মনে হচ্ছে শেখ হাসিনার ভ্যানিটি ব্যাগের মধ্যে আইন। সেই আইন উনি নিজেই তৈরি করেন, নিজেই প্রয়োগ করেন। খালেদা জিয়াকে দয়া করে মুক্ত করেছেন। আবার বেশি বাড়াবাড়ি করলে ঢুকিয়ে দেবেন। বেশি বাড়াবাড়ি কী? শেখ হাসিনা, আপনি নির্বাচন করবেন আর আমরা সে ব্যাপারে কথা বলতে গেলে বাড়াবাড়ি? সেটা যদি বাড়াবাড়ি হয়, এর চেয়েও বেশি বাড়াবাড়ি হবে হাসিনার পতন ঘটানোর জন্য।’
তিনি বলেন, খালেদা জিয়াকে যে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়েছে এই মামলায় প্রতিটি মানুষ জামিন পায়, শুধু খালেদা জিয়া জামিন পায় না। উনি (শেখ হাসিনা) নিজের হাতে কিছু লোকজন নিয়োগ করে তাদের দিয়ে বিচার করাচ্ছেন।
ওবায়দুল কাদেরের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনাকে বলে দিচ্ছি। আপনাকে, আপনার নেত্রীকে এই সংবিধান পরিবর্তন করতে হবে। সেই সংবিধান পরিবর্তনের মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশে নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে। হাসিনার সরকারের অধীনে নয়। জেলে পাঠাবেন। জেলে না, আপনারা পালানোর পথ পাবেন না। কোথায় যাবেন সেটা জনগণ নির্ধারণ করবে। দলীয় নেতাকর্মী, গুণ্ডাপাণ্ডা কাউকে নামিয়ে লাভ হবে না। জনগণ সমূচিত জবাব দেবে।’
বাংলাদেশ এলডিপির সভাপতি আবদুল করিম আব্বাসীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন দলটির সিনিয়র সহসভাপতি আবদুল গনি, সহসভাপতি সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিম রওনক, মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম, অতিরিক্ত মহাসচিব তমিজ উদ্দিন টিটু, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, জাগপার একাংশের সভাপতি খন্দকার লুৎফর রহমান, বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সৈয়দ এহসানুল হুদা, ডেমোক্রেটিক লীগের মহাসচিব সাইফুদ্দিন মনি, কল্যাণ পার্টির অতিরিক্ত মহাসচিব নুরুল কবির পিন্টু, বাংলাদেশ এলডিপির অতিরিক্ত মহাসচিব এম এ বাশার টিটু, যুগ্মমহাসচিব চাষী এনামুল হক, মহানগর উত্তর আহ্বায়ক রাশেদুল হক, বাংলাদেশ এলডিপির যুবদলের আহ্বায়ক মোহাম্মদ ফয়সাল প্রমুখ।