জসিম উদ্দিন, বাগেরহাট :
পরিকল্পনা গ্রহন ও বাস্তবায়ন এর মধ্যে সম্মনয়হীনতার অভাবে সুন্দরবনে পর্যটক খাত বিকশিত হচ্ছেনা । একই সাথে এখাতের জড়িত কিছু ব্যাক্তির হয়রানির কারনে সুন্দরবনে পর্যটক আকৃষ্ট হচ্ছেনা। সুন্দরবনের ভিতরে কিছু উন্নোয়ন কর্মকান্ড চল্লেও মানসম্মত হোটেল, পর্যটক বহনের ব্যবস্থা বা দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আগত পর্যটকদের জন্য বিশ্রামাগার না থাকায় ফলে বনের প্রতি আগ্রহ নেই পর্যটকদের। এমন সব তথ্য উঠে আসে সুন্দরবনের পর্যটন খাতকে বিকশিত করতে ট্যুরিষ্ট পুলিশ কতৃক স্টেক হোল্ডারদের সাথে মত বিনিময় সভায়।
শনিবার (২০ জানুয়ারী) দুপুরে মোংলা বন্দরে হোটেল পশুরে অনুষ্ঠিত ওই মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ট্যুরিষ্ট পুলিশ বাংলাদেশ খুলনা রিজিয়নের পুলিশ সুপার মোঃ আনসার উদ্দিন। সভায় সুন্দরবনের পর্যটন খাতের নানা সমস্য ও সমাধানের বিষয়ে নানা উপায় তুলে ধরেন, খুলনা বিশ্ব বিদ্যালয়ের ফরেষ্টি ও উডটেকনোলজি বিভাগের প্রফেসর ডা. ওয়াসিউল ইসলাম।
এসময় সুন্দরবনের প্রতি পর্যটকদের আগ্রহ বাড়াতে করনীয় বিষয়ে বিভিন্ন যুক্তি উপস্থাপন করে বক্তব্য রাখেন,মোংলা পোট পৌর সভার মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ আবদুর রহমান, মোংলা সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মুশফিকুর রহমান তুষার, মোংলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কে এম আজিজুল ইসলাম,মোংলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি আহসান হাবিব হাসানসহ বিভিন্ন ষ্টেক হোল্ডারগন।
খুলনা বিশ্ব বিদ্যালয়ের ফরেষ্টি ও উডটেকনোলজি বিভাগের প্রফেসর ডা. ওয়াসিউল ইসলাম সভায় বলেন,দির্ঘ দিনের সুন্দরবন বা সুন্দরবনের আশ পাশের এলাকার তেমন কোন উন্নোয়ন হয়েছে বলে মনে হচ্ছেনা। এর এক মাত্র কারন মোংলা বন্দর কতৃপক্ষ ,বন বিভাগ,মোংলা পোট পৌরসভা, একই সাথে সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডাদের সম্মনয়হীনতায় সুন্দরবনের পর্যটনখাত সামনে এগুতে পারছেনা। তাই সুন্দরবনের পর্যটকখাত বিকশিত করতে একটি মাস্টার প্লান তৈরীর কাজ করছেন তারা।
মত বিনিময় সভায় ট্যুরিষ্ট পুলিশের খুলনাা রিজিয়নের পুলিশ সুপার মোঃ আনসার উদ্দিন বলেন, আমরা বাংলাদেশের পর্যটনখাতকে বিশ্বমানের করতে চাই। এজন্য সকলের সম্মোনিত উদ্যোগ গ্রহন করতে হবে। সেই উদ্যোগের সহযোগী হিসেবে কাজ করবে বাংলাদেশ ট্যুরিষ্ট পুলিশ।
সভায় মোংলা সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মুশফিকুর রহমান তুষার বলেন, সুন্দরবনের পর্যটন খাত বিকশিত করতে সব চেয়ে বেশি ভুমিকা পালন করতে হবে মোংলা বন্দর কতৃপক্ষ ও বন বিভাগকে। তাদের সম্মনয়হীনতা আজ এ খাত অনেক পিছিয়ে পড়েছে।
মোংলা থানায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে যোগদানের আগে ২০১৭ সালে পরিবার নিয়ে সুন্দরবনে গুরতে এসে নিজে হয়রানির শিকার হওয়ার বিষয়টি তুলে ধরে মোংলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কে এম আজিজুল ইসলাম বলেন, পর্যটনখাত বিকাশে একটি বড় বাধা হয়রানি। তাই এখাতের সাথে জড়িত সবাইকে পর্যটকদের সাথে খারাপ আচরন ও তাদের হয়রানি বন্ধ করতে হবে। এসময় পর্যটকদের হয়রানি করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানান তিনি।
মোংলা প্রেসক্লাবের সভাপতি আহসান হাবিব হাসান বলেন,দেশ দেশি-বিদেশী পর্যটকদের সুন্দরবন ভ্রমন করতে প্রথমে সুন্দরবনের ভালেঅ দিক গুলো তুলে ধরে প্রচারনা বাড়াতে হবে। সকল ভ্রমন আরাম দায়ক করতে হবে।প্রতিটি ট্যুরিষ্ট বহনকারী বোট গুলোতে পর্যটকবনের সংখ্যা নির্ধারন করে দিতে হবে।
সভায় বোট মালিকসহ অন্যান্য স্টেক হোল্ডারগন তাদের নানা সমস্যা তুলে ধরেন। সভায় আগামী দিন গুলোতে সুন্দরবনের পর্যটক খাতকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবন্ধ ভাবে কাজ করার পরিকল্পনা কথা জানান বক্তারা।