হোম জাতীয় সম্পত্তির বিরোধে বাবার মরদেহ দাফনে সন্তানদের বাধা!

জাতীয় ডেস্ক :

ফেনীর দাগনভূঞায় সন্তানদের সম্পত্তি বিরোধের জেরে মৃত্যুর ১৪ ঘণ্টা পরও আটকে থাকে ফেনী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক ৯০ বছর বয়সী হাজি আবু আহমেদ মাস্টারের দাফনের কাজ।

বৃহস্পতিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দাফনের পর বিরোধ নিষ্পত্তির আশ্বাস দেওয়া হলে তার দাফন সম্পন্ন হয়।

পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত মধ্যরাতের দিকে দাগনভূঞা পৌর শহরের আমানউল্যাহপুর গ্রামের হাসপাতাল রোডের জননী ম্যানশনে বার্ধক্যজনিত কারণে মৃত্যুবরণ করেন সাবেক এই শিক্ষক। তিনি উপজেলার উদরাজপুর গ্রামের মনু হাজি বাড়ির বাসিন্দা।

নিহতের পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মরহুম মাস্টার আবু আহমেদের ৭ ছেলে ও ২ মেয়ে রয়েছেন। ছেলে নেছার হাফেজ, সোহেল, কাউছার, হেলাল ও দুই মেয়ে জেসমিন আক্তার এবং গোলশান আরাকে সব সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করে মরহুমের স্ত্রী ফিরোজা বেগম, ছেলে ইমাম উদ্দীন পারভেজ, এনায়েত উল্যাহ ফরহাদ ও নেয়ামত উল্যাহকে সমুদয় সম্পত্তি রেজিস্ট্রি করে দেন। জীবিতাবস্থায় মাস্টার আবু আহমেদ সম্পত্তিবঞ্চিতদের কোনো সম্পত্তি না দেওয়ায় সম্পত্তিবঞ্চিত সন্তানেরা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন।

পরে তারা সম্পত্তির বিষয় সমাধান না হওয়া পর্যন্ত তাদের পিতা আবু আহমেদ লাশ দাফনে বাধা দেন। এ সময় ভাই-বোনদের মাঝে সম্পত্তির বিষয় নিয়ে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরদিন বুধবার ঘটনাস্থল থেকে এক প্রতিবেশী জাতীয় জরুরি সেবা ‘৯৯৯’-এ কল করলে সেখান থেকে দাগনভূঞা থানাকে অবহিত করা হয়।

খবর পেয়ে দাগনভূঞা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাসান ইমাম ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও নিহতের সন্তানদের নিয়ে থানার ওসি বৈঠকে বসে সম্পত্তির বিষয়টি পরবর্তী সময়ে সমাধান করার আশ্বাস প্রদান করেন। এই আশ্বাসে ১৪ ঘণ্টা পর মরহুমের পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।

থানার ওসি হাসান ইমাম বলেন, ‘দাফনে বাধা দেওয়ার বিষয়টি শুনে ঘটনাস্থলে গিয়ে দাফনের ব্যবস্থা করি। সম্পত্তির বিষয় নিয়ে পরে সবাইকে নিয়ে বৈঠকের মাধ্যমে সমাধান করা হবে।’

 

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন