খেলাধূলা ডেস্ক :
ছয় বছর পর বাংলাদেশ সফরে এসেই বিতর্ক সৃষ্টি করেছে পাকিস্তান ক্রিকেট দল। গত সোমবার (১৫ নভেম্বর) মিরপুরের একাডেমি মাঠে পতাকা উড়িয়ে অনুশীলন করার পরই ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়। তবে ক্ষোভের পরও পরের দুদিনও তারা পতাকা উড়ানো অব্যাহত রেখেছে।
এদিকে, গণমাধ্যমে সরব আলোচনা এবং তোপের মুখে এবার অনুশীলনের সময় পতাকা টানাতে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) কাছে অনুমতি চেয়েছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)।
তবে এ বিষয়ে নিশ্চিত হতে সময় নিউজের পক্ষ থেকে বিসিবির ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বেশ কয়েকবার যোগাযোগ করেও কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। তারা ফোনও রিসিভ করেননি। উল্লেখ্য, মিরপুরে পাকিস্তানের পতাকা উত্তোলন নিয়ে বিসিবি এখনো পর্যন্ত কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি।
পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ডেইলি জঙ্গের বরাতে জিও নিউজ বুধবার (১৭ নভেম্বর) জানিয়েছে, অনুশীলনের সময় পতাকা টানাতে পিসিবির তরফে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের কাছে অনুমতি চাওয়া হয়েছে। তবে কবে অনুমতি চাওয়া হয়েছে সে বিষয়ে স্পষ্ট করা হয়নি।
পাক ক্রিকেট বোর্ডের একজন মুখপাত্র গণমাধ্যমকে বলেন, দ্বিপাক্ষিক সিরিজের সময় উভয় দেশের পতাকা প্রদর্শন একটি সাধারণ বিষয়। দল চাইলে অনুশীলনের সময়ও পতাকা টানাতে পারে। এতে কারো আপত্তি থাকার কথা নয়। তারপরও এই ঘটনা নিয়ে যেহেতু বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে, তাই আনুষ্ঠানিক অনুমতি চাওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড পাকিস্তানকে পতাকা উড়ানোর অনুমতি না দিলে কী হবে, সংবাদমাধ্যমের খবরে এ ব্যাপারে বলা হয়েছে, পিসিবি পতাকা উড়ানোর সিদ্ধান্ত পুনর্মূল্যায়ন করবে।
দেশের শীর্ষ মিডিয়া হাউস সময় নিউজ পাকিস্তানের পতাকা উড়িয়ে অনুশীলন করার বিষয়টি নিয়ে সর্বপ্রথম প্রশ্ন তুলেছিল। এছাড়া বিশেষজ্ঞদের মতামতও প্রচার করা হয়। এরপরই যেন নড়েচড়ে বসে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)।
পাকিস্তানের পতাকা উত্তোলন ইস্যুতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও ক্ষোভ জানান অনেকে। দেশটি যখন পাকিস্তান এবং সামনে যেহেতু লাল-সবুজের বিজয়ের মাস, আর তাই আলোচনার মাত্রা ছাড়াল বহুগুণে। তবে কেউ কেউ আবার এর সপক্ষেও যুক্তি দেখাচ্ছেন। এমন পরিস্থিতিতেই মঙ্গলবার (১৬ নভেম্বর) গণমাধ্যমকে আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেয় পাকিস্তান ক্রিকেট দল।
তাদের পক্ষ থেকে দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের হেড কোচ হিসেবে সাকলায়েন মুশতাক দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে জাতীয় দলে পতাকা লাগানোর প্রচলন শুরু হয়েছে। সর্বপ্রথম নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ঘরের মাঠে দ্বিপাক্ষিক সিরিজে এটি চালু হয়েছিল। এরপর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও তা অনুসরণ করা হয়েছে।
অনুমতি ছাড়া ভিন দেশের পতাকা টানানো বাংলাদেশের আইন পরিপন্থী। যার জন্য সর্বোচ্চ এক বছরের সাজা হতে পারে বলে পতাকা বিধানে উল্লেখ রয়েছে।
অনুমতি ছাড়া ভিন দেশের পতাকা টানানো বাংলাদেশের আইন পরিপন্থী। যার জন্য সর্বোচ্চ এক বছরের সাজা হতে পারে বলে পতাকা বিধানে উল্লেখ রয়েছে। সেক্ষেত্রে মামলা করলে পাকিস্তান এ শাস্তি পেতে পারে বলে জানান, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সুবীর নন্দী দাস।
