হোম অন্যান্য ‘সমন্বয়ক’ রিয়াদের বাসা থেকে আড়াই কোটির চেক ও এফডিআরের নথি উদ্ধার

‘সমন্বয়ক’ রিয়াদের বাসা থেকে আড়াই কোটির চেক ও এফডিআরের নথি উদ্ধার

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 47 ভিউজ

নিউজ ডেস্ক:
রাজধানীর গুলশানে আওয়ামী লীগ নেত্রীর বাসায় চাঁদাবাজি করতে গিয়ে গ্রেফতার বৈষ্যম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতা আব্দুর রাজ্জাক বিন সুলাইমান রিয়াদের বাসা থেকে প্রায় আড়াই কোটি টাকার চেক ও এফডিআরের নথি উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় রাজধানীর কলাবাগান থানায় একটি নতুন মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।

বুধবার (৩০ জুলাই) রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উপ-কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান।

তিনি বলেন, সম্প্রতি গুলশানে সাবেক এক সংসদ সদস্যের বাসায় চাঁদাবাজির অভিযোগে পাঁচ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা বর্তমানে রিমান্ডে রয়েছেন। তাদের মধ্যে রিয়াদের বাসা থেকে ২ কোটি ২৫ লাখ টাকার চেক উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় কলাবাগান থানায় একটি পৃথক মামলা রজু প্রক্রিয়াধীন।

এর আগে সোমবার (২৮ জুলাই) রাতে রিয়াদের বাসায় অভিযান চালায় পুলিশ। অভিযানে ২ কোটি ২৫ লাখ টাকার চেক উদ্ধার করা হয়। একইসঙ্গে প্রায় ২০ লাখ টাকার এফডিআর নথি উদ্ধার করে পুলিশ।

গত ২৬ জুলাই রাজধানীর গুলশান-২ নম্বরে আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি শাম্মী আহমেদের বাড়িতে চাঁদা আনতে গিয়ে গ্রেফতার হন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তিন নেতাসহ পাঁচ জন। ওই ঘটনায় গুলশান থানায় একটি মামলা হয়। সিদ্দিক আবু জাফরের দায়ের করা মামলায় রিয়াদ ছাড়া অন্য আসামিরা হলেন– কাজী গৌরব অপু, সাকাদাউন সিয়াম, সাদমান সাদাব, মো. ইব্রাহিম হোসেন ও আমিনুল ইসলাম।

এদিকে, মামলা হলে পুলিশ তাদের গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠায়। একইসঙ্গে গ্রেফতার ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। শুনানি শেষে আদালত তাদের চার জনকে জিজ্ঞাসাবাদে সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। আরেকজন অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় তাকে কিশোর সংশোধনাগারে পাঠানো হয়। বর্তমানে রিমান্ডে থাকা চার জন হলেন– আব্দুর রাজ্জাক বিন সুলাইমান রিয়াদ, সাকাদাউন সিয়াম, সাদমান সাদাব ও মো. ইব্রাহিম হোসেন।

অন্যদিকে সাংগঠনিক নীতিমালা ও শৃঙ্খলাপরিপন্থি কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঢাকা মহানগর শাখার আহ্বায়ক ইব্রাহিম হোসেন মুন্না, সদস্য মো. সাকাদাউন সিয়াম ও সাদাবকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সভাপতি রিফাত রশিদ ও সাধারণ সম্পাদক হাসান ইনাম এই সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেন এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সব পর্যায়ের নেতাকর্মীদের তাদের সঙ্গে কোনোরকম সাংগঠনিক সম্পর্ক না রাখার জন্য নির্দেশনা দেন।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন