নিজস্ব প্রতিনিধি :
সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও মানবাধিকার কর্মী অ্যাড. সুলতানা কামাল বলেছেন, সন্ত্রাস দিয়ে সন্ত্রাস দমন করা যায় না। জনগণের করের পয়সায় কেনা বুলেট, জনগণের ওপর প্রয়োগ কেন করা হচ্ছে, সেটি আমরা জানতে চাই।
তিনি আরও বলেন, মার্কিন নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি কয়েকজন কর্মকর্তার ওপরেই শুধু নয়, বরং তা সরকারের ওপরে বর্তায়। কারন এই বিষয়ে সরকার দায় স্বীকার করে বলেনি যে রাষ্ট্রের নির্দেশে এসব ঘটনা ঘটেছে কি ঘটেনি। সুলতানা কামাল আরও বলেন, বর্তমান সরকার শুধুমাত্র উন্নয়নের কথাই বলছে কিন্তু দেশে মানবাধিকার পরিস্থিতি অত্যন্ত গভীর সংকটে রয়েছে।
মঙ্গলবার বিকালে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে ‘মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশন’ আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এ্যাড. সুলতানা কামাল।
জেলা মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশনের এইচআরডিএন প্রকল্পের সভাপতি আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক অ্যাড. সাইদুর রহমান, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভাপতি মমতাজ আহমেদ বাপী, ফাউন্ডেশনের সহ-সভাপতি মাধব চন্দ্র দত্ত, আইডিয়াল পরিচালক নজরুল ইসলাম প্রমুখ।
সুলতানা কামাল আরও বলেন, মানবাধিকার সুরক্ষার দায়িত্ব সরকারের। কিন্তু সরকার কেবলমাত্র উন্নয়নের কথাই বলে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে সাম্য, মর্যাদা ও ন্যায়বিচার ভিত্তিক রাষ্ট্র গঠনের লক্ষ্যে। সেখানে উন্নয়নের বিষয়টি জোরালো নয় উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, সম্প্রতি ঝালকাঠিতে লঞ্চের ইঞ্চিনে আগুন লেগে কতগুলো প্রান চলে গেল। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী কি একবারও ডেকে নৌপরিবহন মন্ত্রীকে জিজ্ঞেস করেছেন, যে কেন এই ঘটনা ঘটলো ? তিনি বলেন, দেশে এ ধরনের কোন ঘটনা ঘটলে সরকার ক্ষতিগ্রস্থদের আর্থিক সহায়তা দিয়ে দায় সারতে চায়।
বর্তমান সরকারকে উদ্দেশ্য করে তিনি আরও বলেন, মানবাধিকার উন্নয়নের বিভিন্ন কাজ করতে না পেরে তারা কেবল গলাবাজিই করছে এবং সড়কসেতু নির্মান করেছেন বলে প্রচার করছেন। মানবাধিকার উন্নয়নে তারা কোন কাজ করছেন না উল্লেখ করে তিনি বলেন, তাহলে আপনারা চেয়ারে বসে আছেন কেন? জনগন কেনই বা আপনাকে ভোট দেবে? বাংলাদেশ উন্নয়নের সূচকে অনেকদূর এগিয়েছে জানিয়ে সুলতানা কামাল বলেন, মানবাধিকার সূচকে বাংলাদেশ ক্রমেই নিচের দিকে যাচ্ছে।