হোম খুলনানড়াইল সন্ত্রাসের কবলে নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার তেলকাড়া গ্রাম আতঙ্কের জনপদে পরিনত

সন্ত্রাসের কবলে নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার তেলকাড়া গ্রাম আতঙ্কের জনপদে পরিনত

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 83 ভিউজ

নড়াইল অফিস:

সন্ত্রাসের কবলে নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার তেলকাড়া গ্রাম আতঙ্কের জনপদে পরিনত হয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রভাবাশালীরা এলাকায় একক আধিপত্য বিস্তার করতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে হামলা হুমকি ভাংচুর লুটপাট চালিয়ে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করায় চরম আতঙ্ক নিরাপত্তাহীনতার মাঝে দিন যাপন করছে সাধারণ মানুষ। এলাকার টিউবয়েল গুলো লুট করে নিয়ে যাওয়ায় পবিত্র মাহে রামজানে রোজা রাখতে , সুপেয় পানির তিব্র সংকটে এলাকার মানুষ অবর্ণনীয় কষ্টে পড়েছে। বন্ধ হয়ে গেছে শিশু কিশোরদের স্কুল পড়াশুনা। তবে পুলিশ পরিস্থিত নিজেদের নিয়ন্ত্রনে রাখতে তৎপর রয়েছে বলে দাবি করছে।

গ্রাম জুড়ে যত্রতত্র বাড়িঘরে হামলা ভাংচুরের চিহ্ন। আবালবৃদ্ধবনিতা সবার চোখেমুখে ভর করে আছে উদ্বেগ উৎকন্ঠা। ঘরের টিনেরচালা, বেড়া, ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ছিন্নভিন্ন করা হয়, গুড়িয়ে দেয়া হয় জানালা-দরজা। বসতঘর, রান্নাঘর, গোয়ালঘর, কোন কিছুই বাদ পড়েনি নারকীয় হামলা থেকে। অভিযোগ রয়েছে হামলা অব্যাহত রয়েছে, ভাংচুরের পাশাপাশি যথাসর্বস্ব লুটে নেয়া হচ্ছে। এমনকি বাপদাদার ভিটায় বসবাস করতে ধার্য করা হচ্ছে মোটা অঙ্কের চাঁদা। আতঙ্ক ছড়াতে ঘটছে আগুন দেয়ার ঘটনাও।

এলাকাবাসী জানায়, করগাতী গ্রামের লিয়াকত শেখের পক্ষের লোকজন এলাকায় একক আধিপত্য বিস্তারের লক্ষে দীর্ঘদিন ধরে সন্ত্রাসী তান্ডব চালিয়ে আসছে। এদের অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে ঐ গ্রামের ইউপি সদস্য নান্টু সিকদারের নেতৃত্বে এলাকাবাসী প্রতিবাদ মুখর হয়ে উঠলে সম্প্রতি লিয়াকত শেখের সন্ত্রাসী বাহিনী হামলে পড়েছে শান্তিপ্রিয় মানুষের উপর। সন্ত্রাসীদের সংঘবদ্ধ হামলার শিকার হচ্ছে একের পর এক বসতী। ভুক্তভোগীরা এ পৈশাচিকতার বিচার চেয়েছেন ।

লোহাগড়া থানা পরিদর্শক আব্দুল্লাহ্ আল মামুন বলেন, এলাকার আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের বিরোধ চলছে । আমরা ইউএও ,এমপি মহোদয়কে নিয়ে আমরা একটা সমাধানের চেষ্ঠা করেছি। পরবর্তীতে কিছুটা সমাধান হয়েছিল । এরমধ্যে দুসপ্থা আগে আবারো ঝামেলা শুরু হয়। আমরা যেয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে রাখার চেষ্ঠা করেছি। দুইপক্ষ থেকে মামলা হয়েছে । আমরা এজাহার ভুক্ত আসামী গ্রেফতারের চেষ্ঠা করছি । কয়েকজন গ্রেফতার আছে,শুনেছি পলাতক আসামীরা এলাকার এসেছে শুনে আমরা অভিযান পরিচালনা করেছি। থানা থেকে এলাকাটি দুরে হওয়ার কারণে যোগাযোগ ব্যবস্থা সুবিধার না। পরিস্থিতি সামাল দিতে আমরা তৎপর আছি।

ভূক্তভোগী এলাকাবাসীর দাবি, সন্ত্রাসী হামলায় এ পর্যন্ত ৩০টির অধিক ঘরবাড়ি বসতির ক্ষতি সাধন হয়েছে। নগদঅর্থ, স্বর্ণালংকার ফসলাদি, বাড়ির ব্যবহার্য নানা মালামালসহ লুটে নেয়া হয় ২০ লক্ষাধিক টাকা ।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন