জাতীয় ডেস্ক:
সচিবালয়ে বাড়ছে বিদেশি কূটনীতিকদের আনাগোনা। সোমবার (২২ জানুয়ারি) সকালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন ঢাকায় নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত। এ সময় দুদেশের সাইবার ও সীমান্ত নিরাপত্তা বাড়াতে একসঙ্গে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করা হয়।
অপরদিকে, আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন ভারতের হাইকমিশনার। এসময় আইনমন্ত্রী বলেন, নির্বাচনের পর কূটনৈতিক সংকটের আশঙ্কা করা হলেও, বিদেশিদের সমর্থন ও সহযোগিতায় দেশ এগিয়ে যাচ্ছে।
সোমবার (২২ জানুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন ঢাকায় নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন। এ সময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে চীনের পক্ষ থেকে গ্রেট ওয়াল কোমেমোরেটিভ পদক তুলে দেন তিনি।
এ সময়, বিদেশিদের সঙ্গে বাংলাদেশের সুসম্পর্ক বজায় থাকবে জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও অবাধ হওয়ায় নির্বাচনের পর এখন পর্যন্ত কোনো দেশ বিরূপ মন্তব্য করেনি। বাংলাদেশ ও চীন যৌথভাবে সাইবার নিরাপত্তা, সীমান্ত নিরাপত্তাসহ বিভিন্ন বিষয়ে একসঙ্গে কাজ করবে।
অপরদিকে, নতুন সরকারের সঙ্গে চীন আগামী পাঁচ বছর সহযোগিতা আরও বাড়াবে জানিয়ে ইয়াও ওয়েন বলেন, চায়না বাংলাদেশ সহযোগিতা সম্পর্ক আরও জোরদারের পাশাপাশি দুদেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী একসঙ্গে কাজ করবে।
একইদিন আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের সঙ্গে সচিবালয়ে বৈঠক করেন ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের হাই কমিশনার প্রণয় ভার্মা। বৈঠক শেষে আইনমন্ত্রী বলেন, নির্বাচনের আগে কূটনৈতিক সংকট নিয়ে যে দুশ্চিন্তা ছিল তা এখন আর নেই।
গত দশ বছরে ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্ক অনেক উন্নত হয়েছে জানিয়ে ভবিষ্যতে এই সুসম্পর্ক অব্যাহত থাকবে বলে জানান ভারতীয় হাইকমিশনার। বাণিজ্য-বিনিয়োগসহ পারস্পরিক সম্পর্ক আরও এগিয়ে দুটি দেশ কাজ করছে বলেও জানান তিনি।