অনলাইন ডেস্ক:
অগ্নিকাণ্ডের পর নিরাপত্তার স্বার্থে সচিবালয়ের কিছু কিছু ভবনে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে। এতে সেই ভবনগুলোতে ওঠার জন্য লিফটগুলো বন্ধ আছে। অনেক কর্মকর্তা-কর্মচারী সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠলেও দাফতরিক কাজকর্ম হচ্ছে না। তবে যেসব ভবনে বিদ্যুৎ আছে, সেগুলোতে স্বাভাবিক কাজকর্ম শুরু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) সকাল বেলা ১২টা পর্যন্ত অনেক দফতরেই কার্যক্রম শুরু হয়নি। ক্ষতিগ্রস্ত কক্ষগুলোতে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। বিশেষ করে সাত নম্বর ভবন পরিষ্কার করার কাজ চলছে।
ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের (ডিপিডিসি) রমনা জোনের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মহসীন আব্দুল্লাহ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আগুন লাগার কারণে নিরাপত্তার স্বার্থে আমরা বিদ্যুৎ বিতরণ বন্ধ করেছি। আগুন নেভাতে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা অনেক পানি ছিটিয়েছেন, এতে করে অনেক কক্ষের আসবাবপত্রসহ সব কিছু ভেজা অবস্থায় রয়েছে। এতে বিদ্যুৎ সংযোগ দিলে আবারও দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তাই গণপূর্ত অধিদফতর পিডব্লিউডি ও বিদ্যুৎ বিভাগের লোকজন এখন সেখানে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার কাজ শুরু করেছে।
পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার পর বিদ্যুৎ লাইন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে আবার সংযোগ দেওয়া হবে বলে জানান এই কর্মকর্তা।
এদিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে এসে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, সচিবালয়ের সাত নম্বর ভবনে রাত ১টা ৫০ মিনিটে ছয় তলায় প্রথমে আগুন লাগে। ১টা ৫২ মিনিটে ফায়ার সার্ভিসে খবর দেওয়া হয়। ১টা ৫৪ মিনিট থেকে ফায়ার সার্ভিস তাদের কাজ শুরু করে। সকাল ৮টা ৫ মিনিটে আগুন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আসে।’
এদিকে সচিবালয় ও আশপাশের এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। রাত থেকেই সেখানে অবস্থান নিয়েছেন সেনাবাহিনী, পুলিশ, র্যাব ও বিজিবিসহ আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্যরা। তারা সচিবালয়ের বিভিন্ন ফটকে অবস্থান নিয়েছেন।