অনলাইন ডেস্ক:
সংস্কার কমিশনের সুপারিশ না পাওয়ার আগে সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণে সিদ্ধান্তে আসতে পারছেন না বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন।
রবিবার (২৯ ডিসেম্বর) নির্বাচন ভবনে নির্বাচন কমিশন সংস্কার কমিশনের প্রধানের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি এ তথ্য জানান।
এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন সংস্কার কমিশনের প্রধান আমাদের সঙ্গে আলোচনা করতে এসেছেন। তারা খুবই শিগগিরই প্রতিবেদন দিয়ে দেবেন। আমাদের কোনও সুপারিশ বা বক্তব্য আছে কিনা তা জানতে চেয়েছেন। আমরা বিভিন্ন বিষয়ে যেটা ফিল করছি সেগুলো জানিয়েছি।’
কোন কোন বিষয়ে আলোচনা হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণ সংক্রান্ত কিছু আছে, ভোটার তালিকা সংক্রান্ত কিছু বিষয় আছে। এছাড়া যেগুলো নির্বাচনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সেগুলোর বিষয়ে আমাদের কিছু সুপারিশ থাকবে। উনারা সুপারিশ করুক আর না করুক, আমাদের তা অ্যাড্রেস করতে হবে। তা না হলে আমরা সীমানা পুনর্নির্ধারণ করতে পারছি না। ভোটার তালিকায় যেহেতু যুবকদের আনতে চাই, সেহেতু এখানেও কিছু পরিবর্তন আনতে হবে। আমরা তাদের বিষয়গুলো জানতে চাইনি। আমাদের কী প্রয়োজন সেগুলো বলেছি।’
রাজনৈতিক দলগুলো ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন চাচ্ছে, এটা কি সম্ভব এবং প্রধান উপদেষ্টাও বলে দিয়েছেন এটা নির্বাচন কমিশনের এখতিয়ার-এমন বিষয় সামনে আনলে সিইসি বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা মহোদয় তো ঘোষণা দিয়েছেনই- মিনিমাম সংস্কার করা হলে এ বছরের (২০২৫) শেষের দিকে আর সংস্কার যদি সত্যিকার অর্থ করতে হয় তাহলে পরের বছরের জুন মাস এসে (নির্বাচন) যাবে। আমারা উনার বক্তব্যের আলোকে প্রস্তুতি নিয়ে রাখছি, সেটা যখনই হোক না কেন।’
নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন প্রধান ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘সংস্কার প্রতিবেদন ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে সরকারের কাছে দেওয়ার চেষ্টা করবো, তা না হলে জানুয়ারির তিন তারিখের মধ্যে দিয়ে দেবো।’
সাক্ষাতের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সংস্কার কমিশনের প্রধান হিসেবে ওনাদের কাছে জানতে চেয়েছি, ওনাদের কোনও প্রস্তাব আছে কিনা।’
কোনও প্রস্তাব দিয়েছে কি, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘কমিশন তো স্টেকহোল্ডার। ওনাদের কাছে জানতে হবে। ওনাদের কোনও সুপারিশ আছে কিনা সুষ্ঠু-নিরেপক্ষ নির্বাচনের ক্ষেত্রে।’