বিনোদন ডেস্ক:
কানাডার প্রধানমন্ত্রী ট্রুডো ও তার স্ত্রী সোফির বিচ্ছেদের পর এবার ঘর ভাঙছে পপ সম্রাজ্ঞী ব্রিটনি স্পিয়ার্সেরও। স্বামী স্যাম আজগারির সঙ্গে খুব শিগগিরই ডিভোর্সের পথে হাঁটবেন এ গায়িকা।
বিচ্ছেদের বিষয়টি চূড়ান্ত হওয়ায় এরই মধ্যে নিজের বাগদানের আংটি খুলে ফেলেছেন ব্রিটনি। অথচ ভালোবেসেই এ জুটি বাঁধা পড়েছিলেন সংসারজীবনে।
২০১৭ সালের নিউ ইয়ারে স্যাম আজগারির সঙ্গে সম্পর্কের কথা আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছিলেন ব্রিটনি স্পিয়ার্স। এর ৪ বছর পর ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে স্যাম ব্রিটনিকে হাঁটু গেড়ে বিয়ের প্রস্তাব দেন। বিয়ের প্রস্তাবে অনেকটাই আবেগী হয়ে পড়েন ব্রিটনি। এরপরই ২০২২ সালে ঘর বাঁধেন দুজন। কিন্তু বিয়ের মাত্র ১৪ মাসের মাথায়ই বিবাহিত সম্পর্কের ইতি ঘটালেন ব্রিটনি আর স্যাম।
মার্কিন সাময়িকী ভ্যারাইটির প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ব্রিটনির বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ তুলেছেন স্যাম। স্ত্রীর পরকীয়া নাকি হাতেনাতে ধরে ফেলেছেন তিনি। বিষয়টি নিয়ে ঝামেলার এক পর্যায়ে তাদের সম্পর্ক গড়ায় হাতাহাতিতে। তারপরই স্যাম ঠিক করেন, ডিভোর্সের পথে হাঁটবেন তিনি।
জানা গেছে, ব্রিটনির স্বামী স্যাম এরই মধ্যে বাড়ি ছেড়ে চলে গেছেন। এখন থেকেই আলাদা থাকতে শুরু করেছেন। কয়েক মাস ধরেই এড়িয়ে চলছিলেন ব্রিটনিকে।
এদিকে নেটিজেনরা বলছেন, বিচ্ছেদের পর ব্রিটনির থেকে আর্থিক সুবিধা পেতে পারে স্যাম। আর এ কারণেই স্বামী স্যাম ব্রিটনিকে ডিভোর্স দিচ্ছেন। আরেক দল নেটিজেন বলছেন, সম্পর্কে তৃতীয় ব্যক্তি থাকাতেই বিচ্ছেদ চাইছেন স্যাম।
এর আগে দুবার বিয়ে ভেঙেছিল ব্রিটনির। ২০০৪ সালে ছোটবেলার বন্ধু জ্যাসন আলেকজান্ডারকে বিয়ে করেছিলেন এই গায়িকা। কিন্তু এ বিয়ে বেশি দিন টেকেনি। একই বছর নৃত্যশিল্পী কেভিন ফেডারলিনকে বিয়ে করেন ব্রিটনি। ২০০৭ সালে ওই সংসারের ইতি টানেন গায়িকা। যদিও ওই সংসারে তাদের দুটি সন্তান ছিল।