হোম রাজনীতি সংসদ ভেঙে দিয়ে পুনরায় নির্বাচন দিতে হবে : ইসলামী আন্দোলন

সংসদ ভেঙে দিয়ে পুনরায় নির্বাচন দিতে হবে : ইসলামী আন্দোলন

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 74 ভিউজ

রাজনীতি ডেস্ক:

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেছেন, নামমাত্র সংসদ ভেঙে দিতে হবে। জাতীয় সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। একটি অবাধ, সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে। গণবিচ্ছিন্ন হওয়া ডামি নির্বাচনে জনগণ এমনকি আওয়ামী লীগের লোকজনও ভোট দেয়নি।

শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) বায়তুল মোকাররম উত্তর গেটে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের উদ্যোগে বিক্ষোভপূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, সরকারের একতরফা ও পাতানো নির্বাচন জনগণ ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছে। এই সংসদ অবৈধ সংসদ। এই সরকার অবৈধ সরকার। অবৈধ সরকারকে ক্ষমতা থেকে নামাতে জনগণ বাধ্য করবে। এমন আন্দোলনের ঢেউ তোলা হবে, সরকার পালাবার সুযোগও পাবে না।

মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেন, ট্রান্সজেন্ডার বা সমকামিতা শুধু ইসলামেই নয়, অন্যান্য ধর্মেও বৈধ নয়। খ্রিস্ট ধর্মে বলা হয়েছে, সমকামীরা ঈশ্বরের গজবপ্রাপ্ত। হিন্দুধর্মে বলা হয়েছে, সমকামী মহিলা হলে আঙুল কেটে বা মাথা ন্যাড়া করে দেওয়া এবং ২০০ রুপি জরিমানা করা। সমকামী পুরুষ হলে পানিতে ডুবিয়ে মারা। বাংলাদেশে সংবিধানে সমকামীদের ১০ বছর কারাদণ্ডের বিধান এমনকি মৃত্যুদণ্ডের বিধানও আছে। ইসলামে সমকামিতা হারাম। কেননা কোনো পশুও সমলিঙ্গের কোনো পশুর সাথে কাম-বাসনায় লিপ্ত হয় না।

মহাসচিব মাওলানা ইউনুছ আহমাদ আরও বলেন, ট্রান্সজেন্ডার হলো সমকামিতার অপর নাম। ট্রান্সজেন্ডারকে যারা পছন্দ করে তারা দেশের দুশমন, ইসলামের দুশমন ও মানবতার দুশমন। দেশীয় ও আন্তর্জাতিক দুশমনদের বিরুদ্ধে জনতার আন্দোলন শুরু হয়েছে, এ আন্দোলন চলবে।

যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান বলেন, আমরা ধারাবাহিকভাবে এ অবৈধ সরকারের বিরুদ্ধে, ডামি সরকারের বিরুদ্ধে ও ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে আসছি। এই পার্লামেন্ট অবৈধ পার্লামেন্ট। এ পার্লামেন্ট এক ব্যক্তির পার্লামেন্ট। এক ব্যক্তি যা চায়, তাই করতে হবে এবং তাই করছে।

ঢাকা মহানগর উত্তর সভাপতি প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ বলেন, এ সরকারকে দ্রুত ক্ষমতা ছেড়ে চলে যেতে হবে। ট্রান্সজেন্ডারের নামে সমকামিতাকে প্রমোট করার চেষ্টা করা হলে জনগণ তা রুখে দিবে। আমরা সমকামিতাকে প্রতিষ্ঠিত হতে দেব না। জাতি হিসেবে আমরা চরম লজ্জিত। ট্রান্সজেন্ডার যাদের ভালো লাগে, তারা নিষিদ্ধ পল্লীতে যেতে পারেন। তবুও আমাদের দেশের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের ধ্বংস হতে দেব না।

সংগঠনের ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সভাপতি মাওলানা ইমতিয়াজ আলম বলেন, প্রধানমন্ত্রীসহ সরকারি দলের কোনো মন্ত্রীদের লজ্জা নেই। এ লজ্জা সরকারের, মন্ত্রীদের না হলেও দেশের জনগণের লজ্জা অনুভূত হয়। জাতি হিসেবে আমরা আজ চরমভাবে লজ্জিত। একটি ভুয়া ও ডামি নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত এই সংসদও ডামি সংসদ। এই সরকারের সকল মন্ত্রী এমপিও ডামি হিসেবে পরিচিত।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম, মাওলানা আরিফুল ইসলাম, আলহাজ আলতাফ হোসেন, ডা. শহিদুল ইসলাম, মুফতি মানসুর আহমদ সাকী, কেএম শরীয়াতুল্লাহ, মুফতী ফরিদুল ইসলাম, হাফেজ মাওলানা মাকসুদুর রহমান, ফজলুল হক মৃধা, মুফতি নিজামুদ্দিন, মাওলানা আল আমিন সোহাগ, মুফতি হাফিজুল হক ফাইয়াজ, আব্দুর রহমান, এম জসিম খাঁ কে এম নাসির উদ্দিন।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন