হোম জাতীয় সংসদ এলাকায় ‘নাচে আলো নাচে…বাজে আলো বাজে’

সংকল্প ডেক্স :

দিনের আলো কেটে গিয়ে বিকেল নামার সঙ্গে সঙ্গে সাজানো আলো নাচছে। গাইছে আলো। তার রং বেরঙ দ্যুতি মন কেড়ে নিচ্ছে। লাল-সবুজ আলোয় ফুটে উঠছে বাংলাদেশের মানচিত্র, আমাদের জাতীয় পতাকা, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিকৃতি।

বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর লিখেছিলেন, আলো আমার, আলো ওগো, আলো ভুবন-ভরা/আলো নয়ন-ধোওয়া আমার, আলো হৃদয়-হরা॥/ নাচে আলো নাচে, ও ভাই, আমার প্রাণের কাছে–/ বাজে আলো বাজে, ও ভাই হৃদয়বীণার মাঝে–/

নোবেল জয়ী কবির এই গানই যেন প্রস্ফুটিত হচ্ছে জাতীয় সংসদ ভবন ও এর চত্বর এবং মানিক মিয়া এভিনিউয়ে অবস্থিত এমপিদের থাকার ভবনগুলোতে। শুধু কী তাই, সংসদ ভবনে নতুন করে স্থাপন করা গোলাপ বাগানেও আলোর ফোয়ারা বইছে।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে এই আলোকসজ্জা করা হয়েছে সংসদ ভবন এলাকায়। ইতোমধ্যে এই আলোকসজ্জা ঘুরেও দেখেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সংসদ ভবনে এমন ভাবে আলোকসজ্জা করা হয়েছে যেন লাল সবুজের খেলা। সংসদ ভবন থেকে বের হচ্ছে লাল আলোকচ্ছটা। আর বাইরে সবুজ আলো। সংসদ ভবনের গায়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিচ্ছবি ভেসে উঠছে লেজার রশ্মির মাধ্যমে। সংসদের লেকে আলো ফেলায় টলমল করছে পানি।

আর সংসদের দক্ষিণ প্লাজার সিড়িতে বাংলাদেশের মানচিত্র ছাড়াও বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী লেখা হয়েছে। কোথাও কোথাও লেখা আছে জয় বাংলা। আর সংসদের মাঠে গোলাপ বাগানও আলোকসজ্জায় সাজিয়ে তোলা হয়েছে। সংগীতের তালে তালে জ্বলছে আর নিভছে বাতি। দেখে মনে হয় যেন আলোও বাংলার গান গাইছে। বঙ্গবন্ধুর গান গাইছে। মানিক মিয়া এভিনিউ দিয়ে যাতায়াত করা পথিকরা এসব দৃশ্য দেখে থমকে দাঁড়াচ্ছেন। তুলছেন ছবি।

এ প্রসঙ্গে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী জাগো নিউজকে বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কারণে আজ আমরা স্বাধীন দেশ পেয়েছি। তার দর্শনই ছিল শোষণ ও বৈষম্যমুক্ত সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠা করা। সাধারণ মানুষের অধিকার আদায়ে আমৃত্যু সংগ্রাম করেছেন তিনি। এজন্য জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে সংসদে আলোকসজ্জা করা হয়েছে।

এর আগে শনিবার (২০ মার্চ) রাতে জাতীয় সংসদের আলোকসজ্জা দেখতে সংসদ এলাকায় যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রাত ৯টা ৪০ মিনিটে প্রবেশ করে প্রায় অর্ধঘণ্টা তিনি সংসদ এলাকায় ঘুরে ঘুরে আলোকসজ্জা দেখেন। এসময় প্রধানমন্ত্রী নিজের মোবাইলে এর স্থিরচিত্র ধারণ ও ভিডিও করেন। করোনাকালীন সতর্কতার কারণে এ সময়ে তার কাছে কাউকে যেতে দেয়া হয়নি।

s

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন