বেনাপোল প্রতিনিধি :
বিএনপি – জামায়াত এর বন্ধুদের পাশে বসিয়ে সভা করে সীমান্ত শহর বেনাপোল থেকে সরকার বিরোধী কোন ধরনের আন্দোলনের নীল নকশার পরিকল্পনা হচ্ছে এ ধরনের ্আশঙ্কা প্রকাশ করেছে ছাত্রলীগ। এই আশঙ্কার কথা আজ বুধবার বিকালে বেনাপোল পৌর আওয়ামীলীগ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ব্যাক্ত করা হয়। বাংলাদেশ ছাত্রলীগ শার্শা উপজেলা ও বেনাপোল পৌর সভার শাখা যৌথভাবে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন বেনাপোল পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি আশাদুজ্জামান তনি। উপস্থিত ছিলেন শার্শা উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আমিনুর রহমান লিটন, সাধারন সম্পাদক আকুল হোসাইন, যুগ্ম সাধারন সম্পাদক সাইফুজ্জামান সজল, সাংগঠনিক সম্পাদক দ্বিন ইসলাম, দপ্তর সম্পাদক আরিফুর রহমান. পৌর স্বেচ্ছাসেবকলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক হারুনুর রশীদ, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহরিয়ার নিয়াজ নাজমুল, স্কুল বিষয়ক সম্পাদক সুমন আহমেদ প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনে বিস্ময় প্রকাশ করে বলা হয় শার্শা উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক নুরুজ্জামান এর বেনাপোলস্থ ব্যাক্তিগত ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে গত মঙ্গলবার ( ১৩ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। যা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ায় সকলের দৃষ্টি গোচর হয়েছে। দেখা গেছে এই সভায় শার্শা উপজেলা বিএনপির সভাপতি খায়রুজ্জামান মধু উপস্থিত ছিলেন। যিনি বেনাপোল পৌরসভার নাগরিক নন। তিনি শার্শার কামারবাড়ির বাসিন্দা। ”বেনাপোল পৌরসভা পেশাজীবী সংগঠন” এর ব্যানারে ওই সভাটি অনুষ্ঠিত হয়। এই সভার লক্ষ বেনাপোল পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠান করা। এই সভায় বিএনপির পক্ষ থেকে অত্র পৌরসভার মেযর পদে মনোনয়ন প্রত্যাশী বাংলাদেশ জাতিয়তাবাদী যুবদলের বিভাগীয় সহ- সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামান লিটনও উপস্থিত ছিলেন। পৌর বিএনপির সাধারন সম্পাদক সাহাবুদ্দিন সহ তার সঙ্গীয়রাও উপস্থিত ছিলেন। সভায় এরকম উপস্থিতি মুজিব আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী নেতা কর্মীদের বিস্মিত করেছে বটে।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয় নির্বাচন একটি সাংবিধানিক অধিকার। নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব নির্বাচন অনুষ্ঠান করা। বেনাপোল পৌরসভা ও বেনাপোল ইউনিয়ন এর সীমানা সংক্রান্ত জটিলতার মামলা আদালতে রয়েছে। এরকম জটিলতা দ্রুত নিস্পত্তি হোক: নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক এটা আমরাও চাই। যশোর জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক আশরাফুল আলম লিটন বর্তমানে পৌরসভার প্রথম নির্বাচিত মেয়র। স্বাধীনতার পর একটানা চল্লিশ বছর এই অঞ্চলটি একটি ইউনিয়ন ভুক্ত অবহেলিত এলাকা ছিল। সেখান থেকে মেয়র লিটন এর অক্লান্ত পরিশ্রমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার দিক নির্দেশনা মুলক সহযোগিতায় এই পৌরসভাটি দেশ বাসীর কাছে একটি দৃষ্টি নন্দন পৌরসভা হিসেবে দৃশ্যমান হয়েছে। যা বর্তমান মুক্তিযদ্ধের চেতনার ধারক সরকারের ভাবমুর্তি বেশ বৃদ্ধি করে দিতে সক্ষম হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে বিস্ময় প্রকাশ করে আরো বলা হয় সম্প্রতি বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সভানেত্রী দেশ রত্ন শেখ হাসিনা সহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ যে পর্যবেক্ষন প্রকাশ করছেন তাতে দেখা যায় এক শ্রেনীর হাইব্রিড অনুপ্রবেশকারী দলের বিভিন্ন শাখা প্রশাখায় অনুপ্রবেশ করে তাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী দাপট দেখাচ্ছে।