নিজস্ব প্রতিনিধি:
সাতক্ষীরার শ্যামনগরে বিশ্ব কীটনাশক মুক্ত দিবস উপলক্ষে কৃষিতে ক্ষতিকর কীটনাশক ও রাসায়নিক দ্রব্যের ব্যবহার হ্রাসকরণের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (৩ডিসেম্বর) সকাল ১১টায় শ্যামনগর প্রেসক্লাবের সামনে সুন্দরবন স্টুডেন্ট সলিডারিটি টিম, সবুজ সংহতি, যুব স্বেচ্ছাসেবী সমন্বয় কমিটি ও বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান বারসিক যৌথভাবে এ মানববন্ধনের আয়োজন করে।
মানববন্ধনে অংশ নিয়ে বক্তারা বলেন, কৃষিতে রাসায়নিক কীটনাশকের ব্যবহার দিনদিন বেড়েই চলেছে। এ কারণে জীববৈচিত্র যেমন হুমকির মুখে, তেমনি জনস্বাস্থ্যও চরম ঝুঁকিতে পড়ছে। নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনের জন্য রাসায়নিক কীটনাশকের ব্যবহার কমিয়ে জৈব বালাইনাশকের ব্যবহার বৃদ্ধি করতে হবে। জীববৈচিত্র, পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় সচেতন হতে হবে। সরকারকেও বিষয়টি প্রচারে আনতে উদ্যোগী হতে হবে।
মানববন্ধনে সবুজ সংহতির আহবায়ক কুমুদ রঞ্জন গায়েনের সভাপতিত্বে ও যুব সংগঠক স.ম ওসমান গনী সোহাগের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, সুন্দরবন স্টুডেন্ট সলিডারিটি টিমের সদস্য সচিব মো. সাঈদুল ইসলাম, যুব স্বেচ্ছাসেবী সমন্বয় কমিটির সদস্য মো. শামীম হোসেন, সোনামুগারী কৃষক-জেলে কল্যাণ সমিতির সভাপতি কোহিনুর বিবি, কৃষক-গবেষক দলের সভাপতি মো. হাবিবুর রহমান, সবুজ সংহতির যুগ্ম আহŸায়ক পীযুষ বাউলিয়া পিন্টু, সাংবাদিক শেখ আফজালুর রহমান, বারসিক এর আঞ্চলিক সমন্বয়কারী রামকৃষ্ণ জোয়ারদার প্রমুখ।
প্রসঙ্গত ঃ ১৯৮৪ সালে ভারতের মধ্যপ্রদেশের একটি পেস্টিসাইড কারখানায় ভয়াবহ রাসায়নিক দুর্ঘটনা সংঘটিত হয়। যা ভোপাল ট্র্যাজেডি নামে পরিচিত। এতে ৫ লাখের বেশি মানুষ অত্যান্ত বিষাক্ত মিথাইল আইসো সায়ানেট গ্যাসের সংস্পর্শে আসেন এবং সরকারি হিসেবে ২ হাজার ২৫৯ জন মানুষ মৃত্যুবরণ করেন। এরপর থেকে ৩ ডিসেম্বর বিশ্ব কীটনাশক মুক্ত দিবস পালিত হয়ে আসছে। দিবসটি পালনের মূল উদ্দেশ্য সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে কীটনাশকের ব্যবহার কমিয়ে পরিবেশ ও স্বাস্থ্যগত ঝুঁকির মাত্রা কমিয়ে আনা।