হোম খুলনাসাতক্ষীরা শ্যামনগরেরর জামায়ত নেতার আলাদিনের চেরাগ

শ্যামনগরেরর জামায়ত নেতার আলাদিনের চেরাগ

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 38 ভিউজ
নিজস্ব প্রতিনিধি:
সাতক্ষীরার শ্যামনগরের গাবুরার ডুমুরিয়া গ্রামের কৃষক হারুন গাজীর ছেলে গাবুরা ইউনিয়ন যুব জামায়াতের সভাপতি মোঃ ইয়াছিন আরাফাত হঠাৎ করেই কয়েক লাখ টাকার মালিক বনে  গেছেন।এ যেন আলাদিনের চেরাগ হাতে পাওয়ার মতো।

স্থানীয়রা জানান, ২০২৩ ও ২০২৪ সালের মাঝামাঝি নাগাদ নুন আনতে পানতা ফুরাতো জামাতেট যুবদল নেতা ইয়াছিন আরাফাতের। এসময় তিনি পাঁচ লক্ষাধিক টাকারও বেশি ঋণী ছিলেন। গত বছরেরর ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা দেশ ত্যাগের পর থেকে ইয়াছিন আরাফাত দলীয় প্রভাব খাটিয়ে নদী থেকে অবৈধভাবে বালি উত্তোলনকারী ও ঠিকাদারদের কাছ থেকে বিভিন্ন অনৈতিক সুবিধা নিয়ে কয়েক লাখ টাকার মালিক  বনে গেছেন।
স্থানীরা আরো জানাযন, আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে দলীয় প্রভাব খাটিয়ে ডুমুরিয়া খেয়াঘাট শ্রমিক লীগের হয়ে নিজের নামে ডেকে নেযন ইয়াছিন আরাফাত। এবং স্থানীয় নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনে সহায়তার মাধ্যমে  লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। ইতিপূর্বে বালু ব্যবসা নিয়ে একজন শ্রমিক সরদার কে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করার অডিও ভাইরাল হয়।  আগে তার চা খাওয়ার টাকা ছিলনা এখন সে ৩ লক্ষ টাকার বাইকে ঘুরে বেড়ান। ৬ লক্ষ টাকা দিয়ে বিলাসবহুল টুরিস্ট বোট কিনছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি জানান, গাবুরার হাজার কোটি টাকার স্থানী বাঁধ নির্মাণের মেগা প্রকল্প চলমান। আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর প্রকল্পের বিভিন্ন দুর্নীতি অনিয়ম নিয়ে ব্যাপক আলোচনা সৃষ্টি হয় গাবুরায়। ক্ষোভে ফেটে পড়ে সাধারণ মানুষ। কয়েক জায়গায় খারাপ কংক্রিট কাদাযুক্ত বালু সিমেন্ট কম দেয়া মাটির কাজের অনিয়ম সহ নানান অভিযোগে কয়েক জায়গায় কাজ বন্ধ করে ছাত্রজনতা। এমতাবস্থায় সাবেক সংসদ সদস্য গাজী নজরুল ইসলামের সমঝোতায় পানি উন্নয়ন বোর্ড ছাত্রজনতার সাথে বসে বিষয়টি সুরাহা করে। সে সময় অস্তিত্ব লড়াই নামক একটি সংগঠনের ব্যানারে ইয়াসিন আরাফাত ও আব্দুল্লাহ আল মামুন কে ছাত্রজনতার পক্ষে কাজের মান তদারকি করে পানি উন্নয়ন বোর্ড কে অবহিত করার দ্বায়িত্ব দেয়া হয়। আব্দুল্লাহ্ আল মামুন ব্যক্তিগত কাজে ব্যস্ত থাকায় সব দ্বায়িত্ব পালন করে ইয়াসমিন আরাফাত। সেখান থেকে ইয়াসিন আরাফাত কে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। অস্তিত্বের লড়াইয়ের ব্যানার ব্যবহার করে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাথে যোগসাজশে এই মেগা প্রকল্পের বাঁধে তার একচ্ছত্র আধিপত্য।
স্থানীয়রা এই অনিয়ম বন্ধে জেলা জামাত সহ সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
এ ব্যাপারে ইয়াছিন আরাফাত সাংবাদিকদের কাছে তার বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দূর্ণীতির কথা অস্বীকার করেই বলেন,যারা লোকের ভালো সহ্য করতে পারে না তাদের কাছ থেকে অনেক কথা শুনতে হয়।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন