শৈলকুপা(ঝিনাইদহ) প্রতিনিধি :
অবশেষে ঝিনাইদহের শৈলকুপা ছাড়লেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউএনও) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম। তাকে পরিকল্পনা কমিশনের শিল্প ও শক্তি বিভাগের সিনিয়র সহকারি প্রধান হিসেবে বদলী করা হয়েছে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এপিডি অনুবিভাগের উপ-সচিব আলিয়া মেহের স্বাক্ষরিত এ বদলীর আদেশ বৃহস্পতিবার (২৯ অক্টোবর) জারী করা হয়। স¤প্রতি ঘর নির্মাণ নিয়ে নানা অনিয়ম আর দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অর্থায়নে ‘জমি আছে ঘর নাই’ আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পে শৈলকুপা উপজেলায় ৩৭টি ঘর নির্মাণের শুরু থেকে দুর্ণীতির অভিযোগ ওঠে। উপকারভোগীরা অভিযোগ তোলে নিন্মমানের ইট, বালি, সিমেন্ট দিয়ে ঘর নির্মাণ কাজ চলে।
নির্মানাধীন অবস্থায় ধ্বসে পড়ে বিভিন্ন এলাকার ৫টি ঘর। গণমাধ্যমে এসব নিয়ে ফলাও করে সংবাদ প্রকাশ হয়। যা গত সপ্তাহে অনুসন্ধানে নামে দুদক। দুদক সরেজমিন অনুসন্ধানের এক সপ্তাহের মাথায় ইউএনও বদলী হলেন। এর এক সপ্তাহ আগে ঘর নির্মানের সাথে জড়িত ইউএনওর কার্যালয়ের অফিস সহকারী মিন্টু ও আরেক অফিস সহকারী আক্তার হোসেনকে শৈলকুপা থেকে সরিয়ে অন্যত্র বদলী করা হয়। শৈলকুপার পিআইওর সাথেও এর আগে বিরোধে জড়িয়ে পড়েছিলেন ইউএনও মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।
তিনি গত ১ বছরের কিছু সময় আগে ঝিনাইদহের হরিনাকুন্ডু উপজেলা থেকে বদলী হয়ে শৈলকুপায় আসেন। শৈলকুপা এসে একের পর এক নানা বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন। স্যোশাল মিডিয়াসহ গণমাধ্যমে বিস্তর লেখালেখি হয়। অবশ্য ইউএনও মাঝে মধ্যে তার ফেসবুক আইডিতে এসব ঘটনাকে মিথ্যাচার দাবি করে আত্মপক্ষ সমর্থন করে ব্যাখ্যা দেন।