স্পোর্টস ডেস্ক:
ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচের টিকিট নিয়ে কয়েকদিন ধরেই আলোচনা চলছিল। মূল্য কমিয়ে, বিশেষ সুবিধা দিয়েও বিক্রি হচ্ছিল না ইন্টার মায়ামি আর আল আহলি ম্যাচের টিকিট। তবে সব শঙ্কা কাটিয়ে কানায় কানায় পূর্ণ হার্ডরক স্টেডিয়ামেই পর্দা ওঠে ক্লাব ফুটবলের বৈশ্বিক এ টুর্নামেন্টের।
দর্শক পূর্ণ থাকলেও উদ্বোধনী ম্যাচটা কিছুটা ম্যাড়মেড়ে কেটেছে। দুদল বেশ কয়েকটি সুযোগ তৈরি করলেও গোলের দেখা পায়নি কোনো দল। তাতে গোলশূন্য ড্রতেই শেষ হয়েছে মায়ামি-আহলির ম্যাচ।
ম্যাচের প্রথমার্ধে বল দখলের লড়াইয়ে মায়ামি কিঞ্চিৎ এগিয়ে থাকলেও আক্রমণে এমএলএসের ক্লাবটির ওপর ছড়ি ঘুরিয়েছে আহলি। এ সময় মায়ামি ৪ শট নিয়েছিল বটে, কিন্তু কোনোটাই গোল হওয়ার মতো ছিল না। অন্যদিকে আহলি শট নিয়েছে ৮টি। এছাড়া ৬টি বড় সুযোগ তৈরি করেছিল মিশরের ক্লাবটি। গোলকিপার অস্কার উস্তারির দৃঢ়তায় প্রথমার্ধে কোনো বিপদে পড়তে হয়নি মায়ামিকে।
বিরতির পর যেন আড়মোড়া ভাঙে মায়ামির। বল দখলের পাশাপাশি আক্রমণেও দাপট দেখাতে থাকে হ্যাভিয়ের মাশ্চেরানোর দল। ৫১ মিনিটে গোলের খুব কাছে চলে গিয়েছিল মায়ামি। আহলির বক্সের ভেতরের জটলায় বল পেয়ে শট নিয়েছিলেন তাদেও আলেনদে। কিন্তু এগিয়ে আসা আহলি গোলকিপার মোহাম্মদ এল শেনওয়ারির দারুণ সেভে বেঁচে যায় মিশরের ক্লাবটি।
৫৭ মিনিটে সেগোভিয়ার কাছে বল পেয়ে বক্সের বাইরে থেকে শট নিয়েছিলেন মেসি। আর্জেন্টাইন মহাতারকার শট ঠেকাতে খুব বেশি বেগ পেতে হয়নি শেনওয়ারিকে। ৪ মিনিট পর মেসির পাসে সহজ সুযোগ হাতছাড়া করেন মার্সেলো ওয়েগান্ত।
৬৩ মিনিটে বক্সের বাইরে মেসিকে ফাউল করলে ফ্রি-কিক পায় মায়ামি। ওই ফ্রি-কিকে অল্পের জন্য গোলের দেখা পায়নি মাশ্চেরানোর দল। মেসির ফ্রি-কিকটি পোস্ট ঘেঁসে বেরিয়ে যায়।
এর মাঝে অবশ্য দুবার দূরপাল্লার শট নিয়েছিল আল আহলি। দুবারই দারুণ দক্ষতায় ঠেকিয়ে দিয়েছেন মায়ামি গোলকিপার উস্তারি।
৭৭ মিনিটে আরেকবার বড় সুযোগ পেয়েছিল আহলি। বক্সের ডান প্রান্ত দিয়ে একক প্রচেষ্টায় আক্রমণে উঠেছিলেন হোসেন এল শাহাত। কিন্তু মিশরের লেফট উইঙ্গারের প্রচেষ্টা কর্নারের বিনিময়ে ঠেকায় মায়ামি।
নির্ধারিত সময়ের ৫ মিনিট আগে বক্সের বাঁপ্রান্ত থেকে দারুণ ক্রস করেছিলেন মেসি। আর্জেন্টাইন মহাতারকার ক্রসে হেড করেছিলেন ফ্র্যাব্রিক পিকাল্ট। হাইতি তারকার হেড জালে ঢোকার আগ মুহূর্তে হাত লাগিয়ে বল বারের ওপর দিয়ে পাঠিয়ে দেন শেনওয়ারি।
ম্যাচের যোগ করা সময়ের শেষ মুহূর্তে প্রায় গোলের দেখা পেয়েছিল মায়ামি। কিন্তু এবারও যুক্তরাষ্ট্রের ক্লাবটির সামনে বাঁধা হয়ে দাঁড়ায় শেনওয়ারি। কর্নারে সতীর্থের সঙ্গে বল দেওয়া নেওয়া করে বক্সের বাইরে থেকে কোনাকুনি শট নিয়েছিলেন মেসি। আর্জেন্টাইন অধিনায়কের দূরের পোস্ট আর বারের মাঝের অংশ দিয়ে বল প্রায় ঢুকে যাচ্ছিল জালে। শেষ মুহূর্তে লাফিয়ে উঠে কোনোমতে বলে হাত লাগান শেনওয়ারি। আহলি গোলকিপারের হাতে লেগে দিক বদলে বারে লেগে বল বেরিয়ে যায়।
ফিরতি কর্নারেও বক্সের ভেতর থেকে শট নিয়েছিলেন ফ্যালকন। মায়ামির উরুগুয়ে ডিফেন্ডারের শট এ যাত্রায় শেনওয়ারির মাথায় লেগে বেরিয়ে যায়। একইসঙ্গে নিশ্চিত হয়ে যায়, ড্র নিয়েই মাঠ ছাড়তে হবে মেসিদের।